ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতি বর্তমানে বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাব ফেলেছে। ফলে এই উত্তেজনা ক্রিকেট মাঠেও এসে পড়তে বেশি দেরি হয়নি। পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল জনপ্রিয় ফ্রাঞ্চাইজি লিগ পাকিস্তান সুপার লিগ (PSL)। যুদ্ধের আবহে এই টুর্নামেন্ট নিজেদের দেশে বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। ফলে তারা জানিয়ে দেয় যে পিএসএলের বাকি ম্যাচগুলি আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। কিন্তু এবার ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্যে ক্ষমতা দখলের দিক দিয়ে ক্রিকেটেও এগিয়ে থাকলো ব্লু ব্রিগেডরা। পিসিএল (PSL) আরব আমিরাতে হবে কিনা তা নিয়ে এবার গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সামনে এলো।
Read More: জাতীয় দলের হটসিটে নতুন কোচ, তিন ফর্ম্যাটেই সামলাবেন দায়িত্ব !!
আরব আমিরাতে হবে না পিএসএল-

কাশ্মীরে জঙ্গি হামলার ঘটনার প্রত্যাঘাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তানের মাটিতে ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায়। এর ফলে ৯ টি জঙ্গি ঘাঁটি সম্পূর্ণ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। এর উত্তরে পাকিস্তান ভারতের সীমানায় নজিরবিহীনভাবে হামলা চালানোর চেষ্টা করছে। এইরকম যুদ্ধ পরিস্থিতির মধ্য ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পাকিস্তান দেশের মাটিতে পিএসএল (PSL) স্থগিত করে দেয়। কিন্তু পিসিবি (PCB) জানিয়ে দেয় যে এই টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলি আরব আমিরাতে অনুষ্ঠিত হবে। তবে আমিরত ক্রিকেট বোর্ডের সূত্র অনুযায়ী যুদ্ধের পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করতে আরব আমিরাতে পাকিস্তান সুপার লিগ আয়োজন করা হবে না। ভারতের সঙ্গে আবর আমিরাতের সম্পর্ক যথেষ্ট ভালো। সম্প্রতি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ভারতের ম্যাচগুলি আরব আমিরাতে আয়োজন করা হয়েছিল। এছাড়াও বিসিসিআই করোনা পরিস্থিতির মধ্যে আইপিএল আরব আমিরাতে আয়োজন করেছিল। অন্যদিকে আইসিসির (ICC) সদর দপ্তর এই দেশে অবস্থিত। বর্তমানে আইসিসির প্রধান হলেন জয় শাহ (Jay Shah)। ফলে সব মিলিয়ে আবর আমিরাত কোনোভাবেই পিএসএল আয়োজন করে ভারতের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে চাইছে না।
স্থগিত হয়ে গেল আইপিএল-

এই বছর ২২ মার্চ থেকে ভারতের মাটিতে জনপ্রিয় টি-টোয়েন্টি লিগ আইপিএল শুরু হয়েছিল। তারপর ৫০-এর ওপর ম্যাচ সফলভাবে টুর্নামেন্টে আয়োজিত হয়। কিন্তু সম্প্রতি ভারত-পাক যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য পাঞ্জাব কিংস বনাম দিল্লি ক্যাপিটালসের (PBKS vs DC) ম্যাচ চলাকালীন ধর্মশালায় বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর পরেই বিসিসিআই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসে ২০২৫ আইপিএল স্থগিত রাখার সিধান্ত নেয়। এক বিবৃতিতে বিসিসিআই (BCCI) বলে, “ক্রিকেট জাতীয় আবেগ হলেও দেশের সার্বভৌমত্ব, অখন্ডতা এবং দেশের নিরাপত্তা সবার আগে। বিসিসিআই (BCCI) ভারতকে সুরক্ষিত রাখার জন্য দৃঢ়ভাবে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।” এক সপ্তাহ পরে এই টুর্নামেন্ট নিয়ে পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড।