ক্রিকেটকে ঘিরে অর্থনৈতিক পরিমন্ডল একাধিক বিষয়ে উন্নতি ঘটানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিসিসিআই (BCCI) বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধশালী ক্রিকেট বোর্ড। ফলে এই বোর্ডের টাইটেল স্পন্সর হওয়ার জন্য অসংখ্য প্রতিষ্ঠিত কোম্পানি আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে। সাম্প্রতিক সময়ে ভারতীয় ক্রিকেটারদের জার্সিতে ড্রিম-১১’এর লোগো খুবই পরিচিত হয়ে উঠেছিল। কিন্তু বর্তমানে এই কোম্পানির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হওয়ার কারণে চাপের মুখে পড়েছে কর্মকর্তারা। এর মধ্যেই এবার এই জনপ্রিয় কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি পাকা করতে চলেছে তারা।
Read More: “MS ধোনিকে প্রশ্ন করব…” বিস্ফোরক মনোজ তিওয়ারি, বঙ্গতারকা কাঠগড়ায় তুললেন ‘ক্যাপ্টেন কুল’কে !!
ড্রিম-১১’এর সঙ্গে সম্পর্ক শেষ-

আগামী ৯ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে এই বছরের এশিয়া কাপ (Asia Cup 2025)। তবে এই টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার আগে স্পন্সরশিপ নিয়ে চিন্তার মধ্যে রয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিসিসিআইয়ের (BCCI) সঙ্গে ড্রিম-১১’এর চুক্তি ২০২৩ সাল থেকে শুরু হয়। এই স্পন্সরশিপ চুক্তি শেষ হওয়ার কথা ছিল ২০২৬ সালে। তবে তার আগেই অনলাইন গেমিং’এর ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আনার জন্য নতুন আইন পাস হওয়ায় বর্তমানে পরিস্থিতির পরিবর্তন ঘটেছে।
সমস্ত অনলাইন ফ্যান্টাসি গেমিং অ্যাপেগুলিকে নিষিদ্ধ করেছে ভারত সরকার। এরপরই বোর্ডের সচিব দেবজিৎ সাইকিয়া (Devajit Saikia) স্পষ্ট করে দিয়েছেন যে তাদের সঙ্গে ড্রিম-১১’এর চুক্তিটি শেষ হয়ে গেছে। ভবিষ্যতে আর এই ধরনের কোনো কোম্পানির সঙ্গে স্পন্সরশিপ চালানো হবে না বলেও জানানো হয়। যা নিয়ে বর্তমানে ক্রিকেট মহলে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে।
আগ্ৰহ দেখিয়েছে এই কম্পানি-

এই রকম পরিস্থিতির মধ্যেই আশার খবর সামনে এসেছে। সূত্র অনুযায়ী বিশ্বের অন্যতম সফল অটোমোবাইল কোম্পানি টয়োটা মোটরস (Toyota Motor) ভারতীয় দলের নতুন স্পনসর হওয়ার জন্য আগ্রহ দেখিয়েছে। জাপানের বিখ্যাত এই গাড়ি প্রস্তুতকারী সংস্থা টয়োটা কিরলোস্করের সঙ্গে একটি জয়েন্ট ভেঞ্চারের অধীনে ভারতে কাজ করে। তাদের গত অর্থবর্ষে ৫৬,৫০০ কোটি টাকার বেশি আয় ছিল। এই কোম্পানিটিই বর্তমানে ভারতের নতুন টাইটেল স্পন্সর হতে চায়।
সম্প্রতি টয়োটা মোটরস ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের টাইটেল স্পন্সর হয়েছে। এর আগে তারা অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের সঙ্গেও যুক্ত ছিল। তবে এর সঙ্গেই একটি ফিন-টেক কোম্পানিও টাইটেল স্পন্সর হওয়ার বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে জানা যাচ্ছে। ফলে এশিয়া কাপের আগেই নতুন সংস্থার সঙ্গে খুব দ্রুত চুক্তি স্বাক্ষর করতে পারে বিসিসিআই (BCCI)। তবে এই চুক্তি কতো তাড়াতাড়ি স্বাক্ষর হবে এখন সেটার দিকেই তাকিয়ে আছে ক্রিকেট মহল।