TOP 5: ওল্ড ট্র্যাফোর্ড টেস্টের প্রথম দিনে ক্রিস ওকস’কে রিভার্স স্যুইপ মারতে গিয়েছিলেন ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant)। সংযোগ হয় নি ব্যাটে-বলে। লাল রঙের ডিউক বল সজোরে এসে আছড়ে পড়ে তাঁর পায়ের পাতায়। জুতো খুললে দেখা যায় যে বেশ ফুলে গিয়েছে তাঁর ডান পা। কেটে রক্তও পড়ছে সেখান থেকে। ফিজিও’র শুশ্রূষাতেও ক্রিজে ফিরতে পারেন নি তিনি। শেষমেশ মাঠ ছাড়তে হয় একটি গলফ্ কার্টে চেপে। স্ক্যানে মেটাটার্সাল হাড়ে চিড় ধরা পড়েছিলো ঋষভের (Rishabh Pant)। তাঁকে চলতি সিরিজে যে ফের দেখা যাবে সেই সম্ভাবনা উড়িয়ে দিয়েছিলেন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু সকলকে চমকে দিয়ে টেস্টের দ্বিতীয় দিন মাঠে নামেন ঋষভ (Rishabh Pant)। যন্ত্রণা উপেক্ষা করেই করেন ৫৪। মানসিক দৃঢ়তার অসামান্য উদাহরণ গতকাল দিলেন তিনি, তা ক্রিকেটজনতাকে মনে করিয়েছে আরও পাঁচ যোদ্ধার কথা।
Read More: IND vs ENG 4th Test: বাজবলের ধারে ছিন্নভিন্ন ভারত, ৩৫৮-র জবাবে দ্বিতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ড স্কোরবোর্ডে ২২৫ !!
অনিল কুম্বলে-

২০০২ সালে অ্যান্টিগাতে সাত নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমেছিলেন অনিল কুম্বলে (Anil Kumble)। ক্যারিবিয়ান পেসার মার্ভেন ডিলনের একটি বাউন্সার হেলমেটের গ্রিল এড়িয়ে আছড়ে পড়ে তাঁর চোয়ালে। হাড় ভেঙেছিলো তাঁর। তড়িঘড়ি তাঁকে দেশে ফেরানোর ব্যবস্থা হয়। বেঙ্গালুরুতে অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা ছিলো তারকা লেগস্পিনারের। কিন্তু সকলকে চমকে দেন কুম্বলে। চোয়ালে ব্যান্ডেজ বেঁধে মাঠে নামেন তিনি। অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বল’ও তুলে দিয়েছিলেন তাঁর। টানা ১৪ ওভারের স্পেল সেদিন করেছিলেন ডান হাতি লেগস্পিনার। ফিরিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং-এর মূলস্তম্ভ ব্রায়ান লারা’কে (Brian Lara)। সেই অসমসাহসী পারফর্ম্যান্স সম্পর্কে কুম্বলে নিজে জানিয়েছিলেন, “আমি নিজের সেরাটা দিয়েছি। এখন অন্তত এই ভাবনাটুকু নিয়ে দেশে ফিরতে পারব।”