Hasan raza and mohammed shami
Hasan Raza and Mohammed Shami | Image: Twitter

TOP 3: ২০২৩ সাল’টা ক্রিকেটের জন্য একটা দুর্দান্ত বছর হিসেবে সোনালী অক্ষরে লেখা থাকবে। বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি, অ্যাসেজের মত প্রতিদ্বন্দ্বীতা পূর্ণ টেস্ট সিরিজ চাক্ষুস করতে পেরেছেন অনুরাগীরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালে ভারত-অস্ট্রেলিয়া যুদ্ধ মন কেড়েছে দর্শকদের। এপ্রিল-মে মাসে আইপিএলের আগুনে উত্তাপ বেড়েছে অনেকখানি। পঞ্চাশ ওভারের ফর্ম্যাটেও ভারত-অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ডের মত হাড্ডাহাড্ডি সিরিজ দেখা গিয়েছে। উপমহাদেশে প্রতিদ্বন্দ্বীতার ঝড় তুলেছে এশিয়া কাপ। অক্টোবর-নভেম্বর মাসে ক্রিকেটজনতা বুঁদ থেকেছে বিশ্বকাপে। একাধিক ফর্ম্যাটে ব্যাটে-বলে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দিয়ে যেমন বিনোদনের পারদ চড়িয়েছেন তারকা ক্রিকেটাররা, তেমনই মাঝেমধ্যে তাল কেটেছে নানাবিধ বিতর্কিত মন্তব্যে। তেমনই তিন মন্তব্য রইলো এই প্রতিবেদনে।

Read More: ১.৬ কোটি টাকা প্রতারণা করা খেলোয়াড় এবার পুলিশের জালে, সমস্যায় ঋষভ পন্থ !!

হাসান রাজা-

Hasan Raza | ক্রিকেট | Image: Twitter
Hasan Raza | Image: Twitter

বিশ্বকাপের সময় বল হাতে দুর্দান্ত পারফর্ম করছিলেন ভারতীয় পেসার’রা। লাইন-লেন্থে নিয়ন্ত্রণ রেখে প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের নাভিশ্বাস তুলে দিতে দেখা গিয়েছিলো মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), মহম্মদ সিরাজ, জসপ্রীত বুমরাহদের (Jasprit Bumrah)। ভারতীয় পেসারদের সাফল্য সহ্য হয় নি পড়শি দেশ পাকিস্তানের ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের একটা বড় অংশের। তাঁরা নানা ভাবে শামি-বুমরাহদের কৃতিত্বকে খাটো করতে উঠেপড়ে লেগেছিলেন। এই সময় প্রাক্তন পাকিস্তান ক্রিকেটার হাসান রাজার এক মন্তব্য নিয়ে হইচই পড়ে গিয়েছিলো ক্রিকেটদুনিয়ায়। রাজা (Hasan Raza) বলেছিলেন যে ভারতকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা আইসিসি। সেই কারণেই সাফল্য পাচ্ছেন না বোলাররা।

এক টেলিভিশন চ্যানেলে রাজা (Hasan Raza) দাবী করেন যে ভারতকে বিশেষ বল দিচ্ছে আইসিসি। যা কিনা বাড়তি সুইং করে। বলের মধ্যে থাকা ‘চিপ’-এর সাহায্যে তার আচরণ নিয়ন্ত্রণ করা যায়। সেই কারণেই বাকি দলগুলির চেয়ে ভালো বোলিং করতে পারছেন শামি-সিরাজ’রা (Mohammed Siraj)। হাসান রাজার এহেন মন্তব্যে অবশ্য হাসির রোল পড়ে গিয়েছিলো ক্রিকেটজনতার মধ্যে। এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিতেও দেরী করেন নি তাঁরা। পাকিস্তানের এক টেলিভিশন শো’তে বল নির্বাচনের পদ্ধতির পুঙ্খানুপুঙ্খ পদ্ধতি বুঝিয়ে হাসান রাজার দাবীকে নস্যাৎ করেন কিংবদন্তি ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram)।

সিকান্দার বখত-

Sikander Bakht | ক্রিকেট | Image: Twitter
Sikander Bakht | Image: Twitter

২০২৩-এর বিশ্বকাপ চলাকালীন আরও একটি বিতর্কিত মন্তব্য উড়ে এসেছিলো পাকিস্তানের ক্রিকেটমহল থেকে। ভারতের উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানিয়েছিলেন আরও এক পাক প্রাক্তনী। ২৬ টেস্ট এবং ২৭ ওডিআই খেলা সিকান্দার বখত (Sikander Bakht) একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ভারতের দিকে টস দুর্নীতির আঙুল তোলেন। তিনি বলে বসেন, “(টসের সময়) রোহিত শর্মা কয়েনটা অনেকখানি দূরে ছুঁড়ে দেন। প্রতিপক্ষ অধিনায়ক অত দূরে গিয়ে আর দেখেন না আদৌ সঠিক সিদ্ধান্ত দেওয়া হলো নাকি হলো না। এটার কি কোনো নির্দিষ্ট কারণ রয়েছে?” পরে নিজের মন্তব্যের অংশটুকু তিনি ট্যুইটারেও শেয়ার করেন।

সিকান্দার বখতের (Sikander Bakht) এই বক্তব্য’ও অবশ্য হালে পানি পায় নি। পাকিস্তানের জনপ্রিয় টিভি শো ‘দ্য প্যাভিলিয়নে’ বসে ওয়াসিম আক্রম (Wasim Akram), মিসবাহ উল হকের মত কিংবদন্তিরা এহেন মন্তব্যের তীব্র প্রতিবাদ করেন। ভারতীয় পেসার মহম্মদ শামি’ও (Mohammed Shami) হাসান রাজা, সিকান্দার বখতদের মত প্রাক্তনীদের একহাত নেন। বলেন, “পাকিস্তানের কিছু খেলোয়াড় আমাদের সাফল্য সহ্য করতে পারেন নি। তারা উদ্ভট সব অভিযোগ করেছেন। আমি মোটেই এমনটা করি না। উলটে ‘দুয়া’ করি সকলের সাফল্যের জন্য। আপনি যদি অন্যের সাফল্য উদযাপন করতে পারেন, আপনিই খেলোয়াড় হিসেবে উন্নতি করবেন।”

রবি শাস্ত্রী-

Ravi Shastri | ক্রিকেট | Image: Getty Images
Ravi Shastri | Image: Getty Images

বিশ্বকাপ চলাকালীন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক ও কোচ রবি শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) একটি মন্তব্য ঘিরে ব্যাপক জলঘোলা হয়। ভারত-পাক ক্রিকেট সম্পর্কেও বাড়ে জটিলতা। বিশ্বকাপে ধারাভাষ্যের কাজে ব্যস্ত ছিলেন শাস্ত্রী। আহমেদাবাদে ভারত বনাম পাকিস্তানের খেলা চলাকালীন শাহীন শাহ আফ্রিদির (Shaheen Shah Afridi) দিকে তোপ দাগেন তিনি। সম্প্রচারকারী সংস্থা স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তরুণ বাম হাতি পেসার সম্পর্কে তিনি বলেন, “শাহীন শাহ আফ্রিদি মোটেই ওয়াসিম আক্রম নয়। ও ভালো বোলার, নতুন বলে উইকেট’ও নিতে পারে,কিন্তু ওর মধ্যে বিশেষ কিছু নেই। ভালো বোলার, তবে স্পেশ্যাল নয়। এই সত্যিটা মানতেই হবে।”

পাক ক্রিকেটমহলে শাহীনকে (Shaheen Shah Afridi) ভবিষ্যতের তারকা বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ওয়ান ডে ক্রিকেটে ১০০ উইকেটের মাইলস্টোন পেরিয়ে গিয়েছেন তিনি। পঞ্চাশ ওভারের খেলায় দ্রুততম ১০০ উইকেট নেওয়া ক্রিকেটারদের তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। তাঁর সম্পর্কে শাস্ত্রীর (Ravi Shastri) মূল্যায়ন মেনে নিতে পারেন নি পড়শি দেশের একঝাঁক বিশেষজ্ঞ ও ক্রিকেটপ্রেমী। সোশ্যাল মিডিয়ায় শাস্ত্রীর উদ্দেশ্যে কটাক্ষের বাণ ধেয়ে আসে নিয়মিত। এরপর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে শাহীন পাঁচ উইকেট নেওয়ার পর’ও প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের উদ্দেশ্যে কটাক্ষের তীর ছোঁড়েন পাক ভক্তেরা।

Also Read: IND vs AFG: আফগান সিরিজের জন্য ঘোষাণা হয়ে গেল ভারতীয় স্কোয়াড, অধিনায়কের দায়িত্বে শুভমান গিল !!

Leave a comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *