শ্রীলঙ্কা এবং নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সীমিত ওভারের সিরিজের পর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলবে ভারত। গত দুইবার বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির আসত বসেছিলো অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে। কঠিন পরিস্থিতিতে সব হিসেবনিকেশ উলটে দুইবারই ট্রফি জিতে ফিরেছিলো ভারতীয় দল। ২০২৩-এ ভারতে আসছে অস্ট্রেলিয়া। ট্রফি পুনরুদ্ধারে মরিয়া অজিরা। প্যাট কামিন্সের (Pat Cummins) নেতৃত্বে লাবুশেন (Marnus Labuschagne) ,স্মিথ, ওয়ার্নাররা (David Warner) দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং দক্ষিণ আফ্রিকাকে টেস্টে উড়িয়ে দিয়েই ভারতের বিমান ধরবেন তাঁরা। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ক্রমতালিকায় এক নম্বরে রয়েছে কামিন্সের দল। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের সাইকেলে মাত্র ১ টা টেস্ট হেরেছে তারা। ওভালে জুন মাসে টেস্টে সেরার শিরোপার জন্য লড়াইতে নামা প্রায় নিশ্চিত অস্ট্রেলিয়া। বর্তমানে ভারত রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। ফাইনাল নিশ্চিত করতে রোহিত শর্মাদের জিততে হবে অন্তত ৩টি টেস্ট। কঠিন এই লড়াইতে ভারতকে পিছিয়ে দিতে পারে তিন ক্রিকেটারের ফর্ম। শক্তিশালী অজিদের বিরুদ্ধে তাঁদের ব্যর্থতা ভারতের WTC স্বপ্ন চুরমার করে দিতে পারে।
কে এল রাহুল-

ব্যাট হাতে গত কয়েকটা মাস দুঃস্বপ্নের মত কাটছে কে এল রাহুলের (KL Rahul)। দীর্ঘদিন রান নেই কর্ণাটকের ওপেনারের ব্যাটে। টি-২০ বিশ্বকাপ, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ হোক বা টেস্ট ম্যাচ, ব্যাট হাতে হতাশই করেছেন রাহুল। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে রোহিত শর্মা না থাকায় রাহুলের হাতেই তুলে দেওয়া হয়েছিলো নেতৃত্বের ভার। অধিনায়কের জুতোয় পা গলিয়েও অধিনায়কচিত পারফর্ম্যান্স দেখাতে পারেন নি তিনি। চট্টগ্রাম টেস্টে দুই ইনিংসে করেছিলেন যথাক্রমে ২২ এবং ২৩। মীরপুরে ঘূর্ণি পিচে আরও অসহায় লেগেছিলো তাঁকে। দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১০ এবং ২ রান করেই সাজঘরে ফিরতে হয়েছিলো তাঁকে। টেস্টে রাহুলের ব্যাট থেকে অর্ধশতক এসেছিলো গত বছরের গোড়ায়, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। তারপর থেকে ক্রিকেটের দীর্ঘতম ফর্ম্যাটে তাঁকে শান্তই লেগেছে বাইশ গজে। ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হওয়ার ফলে তাঁকে দলের বাইরে দেখতে চেয়ে সোচ্চার হয়েছেন অনেকেই। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে রাহুলের (KL Rahul) ফর্মে বিরাট উন্নতি না হলে সমস্যায় পড়তে পারে ভারতীয় দল।