IPL 2025: গত বছর আইপিএলের (IPL) লীগ পর্বের অধিকাংশ সময়েই পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে ছিলো রাজস্থান রয়্যালস (RR)। শেষ ল্যাপে এসে পরপর কিছু ম্যাচ হেরে চাপে পড়েছিলেন বটে সঞ্জু স্যামসন’রা, কিন্তু তা সামলে উঠে শেষমেশ পৌঁছেছিলেন শেষ চারে। নক-আউট যুদ্ধে বেঙ্গালুরুকেও হারিয়েছিলো রাজস্থান। শেষমেশ তাদের দৌড় থামে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ার ম্যাচে। অর্থাৎ ফাইনাল থেকে ঠিক একধাপ আগে। এবার বাকি পথটুকু অতিক্রম করতে পারবে তারা, স্বপ্ন দেখেছিলেন সমর্থকেরা। আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছিলো কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid) যোগদান। তবে অষ্টাদশতম আইপিএল যত এগিয়েছে ততই ব্যবধান বেড়েছে স্বপ্ন ও বাস্তবের। একের পর এক ম্যাচ হেরে শেষমেশ ট্রফির দৌড় থেকে ছিটকেই গিয়েছে রাজস্থান। এই ব্যর্থতার দায় চাপছে তিন তারকার কাঁধে।
Read More: IPL-এর মাঝেই ‘প্রাণনাশের’ হুমকি পেলেন মোহম্মদ শামি, হলেন পুলিশের দ্বারস্থ !!
সঞ্জু স্যামসন-

দলের ব্যর্থতার দায় এড়াতে পারেন না অধিনায়ক সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। গোটা মরসুম জুড়ে তাঁকে ভুগিয়েছে চোট-আঘাত। আইপিএলের (IPL) প্রথম তিনটি ম্যাচে কেবল ব্যাটার হিসেবে খেলেছিলেন কেরলের ক্রিকেটার। আঙুলের চোটের কারণে কিপিং করতে পারেন নি। ফিল্ডিং-এর সময় ডাগ-আউটেই বসতে হয়েছিলো তাঁকে। এরপর ন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাকাডেমি তাঁকে উইকেটকিপিং করার ছাড়পত্র দিলেও বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে বুকে চোট পেয়ে সম্পূর্ণ টুর্নামেন্ট থেকেই ছিটকে যান তিনি। যে কয়টি ম্যাচ খেলতে পেরেছেন তাতে ব্যাটার হিসেবেও তাঁর পরিসংখ্যান আহামরি নয়। ৭ ম্যাচে ওপেন করতে নেমে করেছেন ২২৪ রান। অর্ধশতরানের সংখ্যা কেবল ১টি। সঞ্জু’র চোট-আঘাত ও রানখরা তাঁর দল রাজস্থানকেও নিঃসন্দেহে অনেকখানি পিছনে ঠেলে দিয়েছে।
ধ্রুব জুরেল-

তালিকায় দ্বিতীয় নাম হতে পারে উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ধ্রুব জুরেলের (Dhruv Jurel)। উত্তরপ্রদেশের তরুণকে এবারের আইপিএলে ১৪ কোটি টাকা খরচ করে ‘রিটেন’ করেছে রাজস্থান রয়্যালস। তাঁকে আটকে রাখতে গিয়ে জস বাটলার বা যুজবেন্দ্র চাহালের টি-২০ সুপারস্টারদের হাতছাড়া করেছে ফ্র্যাঞ্চাইজি। সেই আস্থার যথেষ্ট প্রতিদান দিতে পারেন নি বছর ২৪ -এর ক্রিকেটার। মূলত ‘ফিনিশার’ হিসেবে তাঁকে ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিলো কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের (Rahul Dravid)। কিন্তু একাধিক ম্যাচে দল’কে বৈতরণী পার করাতে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে উইকেট ছুঁড়ে দিয়ে এসে চাপে ফেলেছেন রাজস্থানকে (RR)। এই মরসুমে ১২ ম্যাচ খেলে কেবলমাত্র ২৪৯ রান করেছেন ধ্রুব। তাঁর ব্যর্থতাও পয়েন্ট তালিকায় রয়্যালসদের ঠেলে দিয়েছে পিছনের দিকে।
জোফ্রা আর্চার-

তালিকায় তৃতীয় নামটি হতে পারে জোফ্রা আর্চারের (Jofra Archer)। রাজস্থানের হয়ে খেলেই উত্থান ক্যারিবিয়ানজাত ইংল্যান্ড পেসারের। ২০১৮ থেকে ২০২০’র মধ্যে ৪৬ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ২০২০ সালে হয়েছিলেন মোস্ট ভ্যালুয়েবল প্লেয়ারও। এরপর তিনি যোগ দেন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে। দুই মরসুম সেখানে বিশেষ ভালো কাটে নি তাঁর। চোট-আঘাত সমস্যা ভুগিয়েছিলো তাঁকে। ২০২৫-এর মেগা নিলামে তাঁকে দলে ফেরায় রাজস্থান। কিন্তু সেই পুরনো আর্চারকে আর ফিরে পাওয়া যায় নি রাজস্থান রয়্যালস (RR) জার্সিতে। মরসুমের প্রথম কয়েকটি ম্যাচে রীতিমত হতশ্রী পারফর্ম করেন তিনি। ৪ ওভারে ৭৬ রান হজম করার অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ডও করে বসেন তিনি। পরে ফর্মের খানিক উন্নতি হয় ঠিকই। কিন্তু কখনই ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে দেখা যায় নি তাঁকে। ১২ ম্যাচ খেলে নিয়েছেন মাত্র ১১ উইকেটই।