লঙ্গার ভার্সনে সাধারণত কোনো ব্যাটসম্যান দেখেশুনে ঠাণ্ডা মাথায় ব্যাট করার সুযোগ পেয়ে থাকে। অন্যদিকে খোলস পাল্টে ফরম্যাট যখন হয়ে আসে ওয়ানডেতে তখনই ব্যাটসম্যানদের খেলার ধরণ বদলাতে হয়। ম্যাচের পরিস্থিতি বুঝে আক্রমণ করা কিংবা দ্রুত উইকেটের পতন ঘটলে চাপ সামাল দেওয়াই প্রধান কাজ হয়ে থাকে ব্যাটসম্যানদের জন্য।
আজকে জানবো এমনই তিনজন ক্রিকেটারের কথা যারা রানের খাতা খোলার আগেই আউট হওয়া ছাড়া একদিনের ক্রিকেটে সর্বোচ্চ সংখ্যক ইনিংস খেলেছেন।
১. কেপলার ওয়েসেলস
দুই দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ওয়ানডে ক্রিকেট খেলা প্রথম ক্রিকেটার ওয়েসেলস এই ফরম্যাটে খেলেছেন ১০৯টি ম্যাচ। যেখানে ৩৪ এরও বেশি গড়ে রান করেছেন ৩৩৬৭। একদিনের ক্রিকেটে ১৯৮৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার জার্সি গায়ে অভিষেক ম্যাচে ৭৯ রান করেন বামহাতি এই ব্যাটসম্যান। ১১ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১০৪টি আন্তর্জাতিক ওয়ানডে ম্যাচেই রানের দেখা পেয়েছেন এই ওপেনিং ব্যাটসম্যান।
২. মার্টিন ক্রো
কিউই ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা ব্যাটসম্যানদের তালিকায় থাকা ক্রো রঙিন পোশাকে একদিনের ক্রিকেটে খেলেছেন খেলেছেন ১৪৩টি ম্যাচ। তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ওয়ানডে ফরম্যাটে ৪টি শতকের পাশাপাশি রয়েছে ৩৪টি অর্ধশতকও। অন্যদিকে ৩৮.৫৫ গড়ে তাঁর রানসংখ্যা হচ্ছে ৪৭০৪।
১৯৯২ বিশ্বকাপের কিউই অধিনায়ক ১১৯টি একদিনের ম্যাচ খেলেছেন শূন্য রানে আউট হওয়া ব্যতীত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি ঘটে।
৩. রাহুল দ্রাবিড়
সাদা পোশাকে আপোষহীনভাবে ব্যাট চালানো ক্রিকেটার রাহুল দ্রাবিড় ক্রিকেট বিশ্বে ‘দ্যা ওয়াল’ নামেই পরিচিতি লাভ করেন। লঙ্গার ভার্সনে সেরাদের সেরার তালিকায় থাকলেও সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটে ধুঁকতে দেখা গেছে অনেক সময়ই এই ব্যাটসম্যানকে।
আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ওয়ানডে ফরম্যাটে সর্বমোট ৩৪৪ ম্যাচ খেলে ৩৯.১৭ গড়ে ১২টি শতক ও ৮৩টি অর্ধশতকের সাহায্যে ১০০০০’র চেয়ে বেশি রান করেন টিম ইন্ডিয়ার এই ব্যাটসম্যান। রাহুল দ্রাবিড় ১৯৯৯ সাল থেকে শুরু করে টানা চার বছরে তাঁর ক্যারিয়ারে ১২০টি ম্যাচে শূন্য রানে আউট হননি একবারও। ২০০৪ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তাঁর ক্যারিয়ারের সর্বশেষ ওয়ানডে ম্যাচটি খেলেন।