আইপিএল এমন একটি টি-২০ লীগ যা বেশকিছু তরুণ খেলোয়াড়ের কেরিয়ার গড়ে দিয়েছে। আইপিএলে এমন কিছু প্লেয়ারও ছিলেন যারা স্রেফ একটি ম্যাচেই নিজের দলের হয়ে ভালো প্রদর্শন করতে পেরেছেন। অন্য ম্যাচগুলিতে তাদের প্রদর্শন বিশেষ কিছুই ছিল না। আজ আমর আমাদের এই বিশেষ প্রতিবেদনে আপনাদের এমন পাঁচজন খেলোয়াড়ের ব্যাপারেই জানাব।
পল বলথাটি
আইপিএল ২০১১য় একটি ম্যাচ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব আর চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে চেন্নাই প্রথমে ব্যাট করে পাঞ্জাবের সামনে ১৮৯ রানের বিশাল লক্ষ্য রাখে। এই লক্ষ্য তাড়া করে পাঞ্জাবের ওপেনার পল বলথাটি ৬৩ বলে ১২০ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। তিনি নিজের এই ইনিংসসে ১৯টি চার এবং ২টি দুর্দান্ত ছক্কা মেরেছিলেন। তবে তিনি এই একটি ম্যাচের পর কখনোই আইপিএল ভালো প্রদর্শন করতে পারেননি।
মনবিন্দর বিসলা
মনবিন্দর বিসলা আইপিএল ২০১২র ফাইনালে কেকেআরের হয়ে ৪৮ বলে ৮৯ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছিলেন আর নিজের দলকে আইপিএল ২০১২র চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন। মনবিন্দর বিসলা নিজের এই ঝোড়ো ইনিংসে ৮টি বাউন্ডার এবং ৫টি ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু তিনি এই ইনিংসটি ছাড়া আইপিএলে আর বিশেষ কিছুই করতে পারেননি।
কেভন কুপার
কেভন কুপার আইপিএলে নিজের স্বপ্নের অভিষেক করেছিলেন। ওয়েস্টইন্ডিজের কুপার আইপিএল ২০১২য় রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথমে ব্যাট হাতে ৩ বলে ১১ রান করেন। এরপর তিনি নিজের চার ওভারে মাত্র ২৬ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছিলেন আর রাজস্থানের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। তাকে এই ম্যাচে ম্যান অফ দ্যা ম্যাচও ঘোষিত করা হয়ছিল। এরপর তিনি কখনোই আইপিএলে নিজের এই প্রদর্শন পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি।
অভিষেক নায়ার
আইপিএল ২০০৯ এর প্রথম ম্যাচই মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স আর চেন্নাই সুপার কিংসের মধ্যে খেলা হয়েছিল। এই ম্যাচে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের হয়ে অভিষেক নায়ার ১৪ বলে ৩৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে শিরোনামে এসেছিলেন। তিনি এই ম্যাচে চেন্নাইয়ের বোলার অ্যান্ড্রু ফ্লিনটপকে পরপর তিনটি ছক্কা মেরেছিলেন। তবে তি ই এই ইনিংস ছাড়া আর কখনো আইপিএলে বিশেষ কিছু প্রদর্শন করতে পারেননি।
কামরান খান
কামরান খানও আইপিএল ২০০৯ এ রাজস্থান রয়্যালসের হয়ে খেলে একটি ম্যাচে কেকেআরের বিরুদ্ধে দুর্দান্ত বোলিং করেছিলেন। এই ম্যাচে রাজস্থান প্রথমে ব্যাট করে ১৫০ রান করেছিল, কিন্তু কামরানের ভয়ঙ্কর বোলিংয়ের সামনে কেকেআরের দলও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫০ রানই করতে পারে আর ম্যাচ টাই হয়ে যায়। এই ম্যাচে কামরান নিজের ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে মোট ৩টি উইকেট নিয়েছিলেন। এরপর তিনি নিজের দলকে সুপার ওভারেও জয় এনে দিয়েছিলেন। তবে নিজের এই দুর্দান্ত প্রদর্শনের পরে তিনি আর কখনোই ভালো প্রদর্শন করতে পারেননি।