করোনা মহামারীর প্রথম ঢেউ থেকে বেরিয়ে আসার পর টিম ইন্ডিয়া এই মুহূর্তে নতুন খেলোয়াড়দের প্রমাণ করার সুযোগ দিচ্ছে। এখনও পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেট থেকে শুরু করে টি-২০ আর ওয়ানডে, তিন ফর্ম্যাটেই বেশকিছু অচেনা মুখকে সুযগ দেওয়া হয়েছে যারা স্রেফ ঘরোয়া টুর্নামেন্টেই ভালো প্রদর্শন করছিলেন। এদের মধ্যে বেশকিছুজন নিজেদের দুর্দান্ত প্রদর্শনের সৌজন্যে মানুষের মনে নিজেদের একটা বিশেষ জায়গা তৈরি করে ফেলেছেন। তবে নির্বাচকদের এই ধারা এখনও থামেনি বরং বজায় রয়েছে।
ভারতীয় দলে তরুণদের জায়গা দেওয়ার ধারা বজায়

সবার আগে অস্ট্রেলিয়া সফরে বেশকিছু তরুণ মুখকে জায়গা দেওয়া হয়েছিল। এরপর এই ধারা ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ঘরোয়া সিরিজ পর্যন্ত বজায় রাখা হয়েছিল। এই অবস্থায় যখন আবারও টিম ইন্ডিয়া আন্তর্জাতিক সফরের প্রস্তুতি নিচ্ছে তো কিছু তরুণ মুখ সুযোগ পেয়েছেন। গত শুক্রবারই বিসিসিআই ভারতীয় দলের ইংল্যান্ড সফরের জন্য ২৪ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে।
এদের মধ্যে ৪জন অতিরিক্ত খেলোয়াড়কে ব্যাকআপ হিসেবে দলে শামিল করা হয়েছে। অন্যদিকে ২০জন প্রধান দলের অংশ। নির্বাচিত ৪জন স্ট্যান্ডবাইয়ের অধ্যে একজন হলেন ২৫ বছর বয়সী অভিমণ্যু ঈশ্বরণও। তিনি প্রথম এমন ব্যাটসম্যান যাকে দ্বিতীয়বার টিম ইন্ডিয়ায় সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
ওপেনার হিসেবে অভিমণ্যুর কাছে রয়েছে দুর্দান্ত টেকনিক

আসলে টিম ইন্ডিয়ায় নির্বাচন অভিমণ্যু ঈশ্বরণ বাংলার রঞ্জি দলের সদস্য। যিনি ২৩ বছর বয়সেই অধিনায়কত্বের দায়িত্ব পেয়েছিলেন। ওপেনার হিসেবে অভিমণ্যু গত ২-৩ বছর ধরে নিয়মিত আলোচনার কেন্দ্রে থেকেছেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যান অভিমণ্যুর জনপ্রিয়তার একটি বিশেষ কারণ তার দীর্ঘ আর ম্যাচ জেতানো ইনিংসও।
নিজের দুর্দান্ত প্রদর্শনের সৌজন্যেই তিনি তারাকাদের উপস্থিতি সত্ত্বেও মাত্র ২৩ বছর বয়সে অধিনায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। বর্তমানে তাকে ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে স্ট্যান্ডবাই হিসেবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অবাক করার মতো বিষয় হল পৃথ্বী শকে উপেক্ষা করে অভিমণ্যুকে ব্যাকআপ ওপেনার হিসেবে দলে রাখা হয়েছে।
৬টি ম্যাচে অভিমণ্যু ৮৬১ রান করে দেখিয়েছিল বড়ো কৃতিত্ব

তবে ওপেনার হিসেবে ঈশ্বরণকে দলে শামিল করার বেশকিছু প্রধান কারণও ছিল। তার ব্যাটিং টেকনিক তাকে এই দায়িত্বের জন্য মজবুত করে তুলেছে। এখনও পর্যন্ত ওপেনার হিসেবে তিনি দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছেন। আসলে গত কিছু ঘরোয়া মরশুমের কথা বলা হলে তিনি দলের হয়ে রঞ্জি ট্রফি থেকে শুরু করে বিজয় হাজারে ট্রফিতেও গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
২০১৮ থেকে ২০১৯ রঞ্জি মরশুমে অভিমন্য এমন একমাত্র ব্যাটসম্যান ছিলেন যিনি বাংলার হয়ে সবচেয়ে বেশি রান করেছিলেন। মাত্র ৬টি ম্যাচে ব্যাটিং করে তিনি ৮৬১ রান করেন। মজার কথা হল এর মধ্যে তার ব্যাটিং গড় ৯৫ এরও বেশি ছিল। তিনি নিজের এই ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি করেছিলেন। এরপর থেকেই তিনি নিয়মিত টিম ইন্ডিয়ায় জায়গা করে দেওয়ার দাবিদারদের তালিকাভুক্ত ছিলেন।