বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান তামিম ইকবালও সেই খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন থেকেছেন যারা এই উচ্চতায় পৌঁছতে যথেষ্ট চড়াইউৎরাইয়ের মুখোমুখি হয়েছেন। তামিম ২০০৭ এ জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে নিজের কেরিয়ারের শুরু করেন। কিন্তু এর আগে তাকে একবার দলে নির্বাচিত করা হয়েছিল, কিন্তু ডেবিউ না করিয়েই তাকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। এরপর তিনি রাস্তাতেই কেঁদে ফেলেন।
বোর্ডের আধিকারিকরা তোলেননি ফোন
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ওপেনার তামিম ইকবালকে দলে জায়গা করে নেওয়ার জন্য যথেষ্ট মুশকিলের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। ডেবিউর আগে একটি যন্ত্রণাদায়ক ঘটণা স্মরণ করে ইকবাল ক্রিকফ্রেঞ্জিকে জানিয়েছেন, ‘আমি একটি মাইক্রো কার পাই। হঠাত করেই সেই মাইক্রো কারটি ইস্টন প্লাজার সামনে দাঁড়ায় আর তারা আমাকে বলে যে গাড়ি থেকে নীচে নাম। তারপর যখন আমি তাকে প্রশ্ন করি কেন? তো তিনি বলেন যে গাড়ি থেকে নামো আর বোর্ডের আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলো। আমি গাড়ির বাইরে বেরোই আর অন্যদের সঙ্গে রওনা হই। আমি রোডেই দাঁড়িয়ে থাকি। আমি বোর্ডের এক আধিকারিককে কল করি, কিন্তু তিনি আমার ফোন তোলেননি। এরপর আমি নিজের ভাইকে কল করি আর যা কিছু আমার সঙ্গে ঘটেছে সেই ব্যাপারে জানাই। এরপর আমার ভাইও বোর্ডের আধিকারিকদের কল করে। কিন্তু ওকেও কোনো জবাব দেওয়া হয়নি আর ও আমাকে দ্রুত ফিরে আসার জন্য বলে। ও আমাকে বলে যে তামিম তুমি অন্য কোনো দলের সন্ধান করো, সম্ভবত এখন ওরা তোমাকে দলে নেবে না”।
রাস্তাতেই কাঁদতে থাকি
৩১ বছরের তামিম ইকবাল আগে বলেন, “আমি ওই রাস্তাতে প্লাজার সামনে দাঁড়্যে জোরে জোরে কাঁদতে থাকি। প্রায় এক বছর আগে যখন আমি ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম, আমি জায়গাটা দেখি আর কার থেকে বাইরে বেরোই। আর ব্যাস ওই ঘটনাকে স্মরণ করার জন্য সেখানে দাঁড়িয়েছিলাম”।
তামিম হলেন দলের ওপেনিং ব্যাটসম্যান
তামিম ইকবাল ২০০৭ এ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ডেবিউ করেন। এরপর ওপেনিং ব্যাটসম্যানকে এগিয়ে যাওয়ার জন্য যথেষ্ট সংঘর্ষ করতে হয়। তামিমের পরিসংখ্যান লক্ষ্য করা হলে, তিনি তার খেলা ৬০টি টেস্ট ম্যাচে ৯টি সেঞ্চুরির সঙ্গে ৪৪০৫ রান করেন। ২০৭টি একদিনের ম্যাচে ৭২০২ রান করেন আর ৭৮টি টি-২০ ম্যাচে তিনি ১৭৫৮ রান করেন।