আগামী ৩০ শে মে থেকে ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসে শুরু হতে চলেছে এবারের বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আসর। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ, তাই এবারের বিশ্বকাপ।জয়ের অন্যতম ফেবারিট ইংল্যান্ড। শুধু ঘরের মাঠে খেলা বলেই কাপ জয়ের ক্ষেত্রে ফেবারিট নয় মর্গ্যানরা। সাম্প্রতিক সময়ে একদিবসীয় ক্রিকেটে দারুন ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলো তারা। ইংল্যান্ড ছাড়া এবারের কাপ জয়ের অন্যতম দাবিদার ভারত। এছাড়াও এই লিস্টে খুব একটা পিছিয়ে নেই, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ,ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দল গুলো।
১৯৭৫ এর শুরু হয় পুরুষদের বিশ্বকাপ। ইতিমধ্যে আমরা সাক্ষী থেকেছি ১১ টি সংস্করনে। সাক্ষী থেকেছি একের পর এক উত্তেজনায় পরিপূর্ণ ম্যাচের।যেখানে কখনও অপ্রত্যাশিত ভাবে ফিরে এসেছে কোনও দল ম্যাচে , আবার কখনও দলের জন্য দুরন্ত পারফরম্যান্সের মধ্যে দিয়ে রাতারাতি হয়ে উঠেছেন তারকা।আসুন চোখ রাখা যাক বিশ্বকাপের এমনই উত্তেজনায় পরিপূর্ণ সেরা দশটি ম্যাচের দিকে।
১. অস্ট্রেলিয়া বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ১৯৭৫

১৯৭৫ এ প্রথম বিশ্বকাপের ফাইনাল এক অন্য মার্গে পৌছেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতায়।সেই সময় বিশ্ব ক্রিকেটে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করেছিল ক্লাইভ লয়েডের দল।ক্রিকেটে শুরু হওয়া সদ্য নতুন এই ফর্ম্যাটের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ানশিপের শুরু থেকেই স্বভাবতই দারুন ছন্দে পাওয়া যায় লয়েডের দলকে।টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই অন্যান্য দল গুলোকে দাপটের সাথে হারিয়ে ফাইনালে তারা মুখোমুখি হয় অস্ট্রেলিয়া দলের।ফাইনালে দুই অন্যতম শক্তিশালী দলের লড়াই দেখতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ লর্ডসের স্টেডিয়াম।দেখে বোঝার উপায় নেই যে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ অথচ ঘরের ছেলেরা নেই ফাইনালে।
এখনও অবধি বিশ্বকাপে সংগঠিত ফাইনাল গুলোর মধ্যে অন্যতম সেরা মনে করা হয় প্রথম বারের ফাইনাল ম্যাচ কে।ম্যাচের শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ঋতিমতো সমস্যায় ইন্ডিজ ব্যাটিং লাইন- আপ।দ্রুত উইকেট খুইয়ে যখন তাদের অবস্থা ৩ উইকেটে ৫০, ঠিক তখন অধিনায়কোচিত ইনিংস খেললেন লয়েড।রোহান কানহাইয়ের সাথে জুটি বেঁধে চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন ১৪৯ রান।শেষ অবধি ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর দাড়ায় ২৯১ । জবাবে ব্যাট করতে দারুন শুরু করলেও ,মাত্র ১৭ রান দূরে থমকে যেতে হয় অস্ট্রেলিয়া কে।তাদের হয়ে দারুন খেলেন ইয়ান চ্যাপেল (৬২ ), সেই দিন ওয়েস্ট ইন্ডিজ কে প্রথম বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ এনে দিতে ভিভ রিচার্ডসের দুরন্ত ফিল্ডিং এর গুরুত্ব ছিলো অপরিসীম, অব্যর্ধ টিপে অজিদের তিনটি উইকেট তিনি তুলে নিয়েছিলেন রান – আউট করেই।