IND vs ENG: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতীয় দলের পারফরম্যান্স খুবই সাধারণ হয়েছে। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে দাপটের সঙ্গে জয়লাভ করেছে ভারতীয় দল। তবে তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছে ইংল্যান্ড দল। রাজকোটে সিরিজের প্রথম ম্যাচ জিতল ইংল্যান্ড। কলকাতা এবং চেন্নাইতে রান তাড়া করেই জয় এসেছিল ভারতীয় শিবিরে। তবে টিম ইন্ডিয়া আজকের ম্যাচে ব্যাট হাতে সেরা প্রদর্শন দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষ করে মিডিল ওভারে ভারতীয় দলের ব্যাটসম্যানরা রান বানাতে ব্যার্থ হয়েছেন।
আজকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে আবার একবার ভারতীয় স্পিনারদের বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল ইংলিশ দলের ব্যাটিং। মাত্র ৫ রানের মাথায় উইকেট হারিয়ে ফেলেন ফিলিপ সল্ট (Philip Salt)। যদিও ২৮ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন বেন ডাকেট। ক্যাপ্টেন জস বাটলার ২২ বলে ২৪ রানের ইনিংস খেলেন। যদিও, বাঁকি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন আজ বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের পরিচিত দিয়েছেন। ২৪ বলে ১টি চার এবং ৫টি ছক্কায় ৪৩ রানের ইনিংস খেলেছেন। প্রথম ইনিংসে ভারতীয় দলের টপ পারফর্মার ছিলেন বরুণ চক্রবর্তী। তিনি ২৪ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নিয়েছেন। তাছাড়া দুই উইকেট পান হার্দিক পান্ডিয়া ও একটি করে উইকেট পেয়েছেন অক্ষর ও বিষ্ণু।
Read More: IND vs ENG 3rd T20i: ব্যাটিং বিপর্যয়ে চূর্ণ সিরিজ জয়ের স্বপ্ন, তৃতীয় টি-২০তে ২৬ রানের ব্যবধানে হার টিম ইন্ডিয়ার !!
তৃতীয় ম্যাচে ভারতকে পরাস্ত করলো ইংল্যান্ড
১৭১ রানে শেষ হয়েছিল ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংস। দ্বিতীয় ইনিংসে টিম ইন্ডিয়া এই রান তাড়া করতে এসে পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল। সঞ্জু ৩, অভিষেক ২৪ এবং স্কাই ১৪ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এছাড়া, হার্দিক পান্ডিয়া ৪০, অক্ষর ১৫, তিলক ১৮ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। প্রাক্তন ক্যাপ্টেন হার্দিক পান্ডিয়া চেষ্টা চালালেও শেষ পর্যন্ত জয় আসেনি। ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বাধিক ৩ উইকেট নিয়েছেন জেমি ওভারটন। নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতীয় দল ১৪৫ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। ভারতের এই পারফরমেন্সের পর ক্যাপ্টেন সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা জানিয়ে দিয়েছেন।
ম্যাচ শেষে মন্তব্য করে স্কাই বলেছেন, “আমার মনে হয়েছিল দিনের পরে একটু শিশির পড়বে। আমার মনে হয় হার্দিক এবং অক্ষর যখন ব্যাটিং করছিলেন তখন খেলাটা আমাদের হাতেই ছিল। তবে কৃতিত্ব আদিল রশিদকে যায়, তিনি সত্যিই ভালো বোলিং করেছেন। সে কারণেই তিনি একজন বিশ্বমানের বোলার। তিনি আমাদের ম্যাচে বদল আনতে দেননি। আমাদের দলেও অনেক স্পিনার ছিল, এমন ধরনের খেলা থেকে আমরা সবসময় কিছু না কিছু শিখে থাকি। ব্যাটিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমাদের শিখতে হবে। আমাদের ভুল থেকে শিখতে হবে। আমি নিশ্চিত শামি সামনে আরও ভালো করবে। তিনি (বরুণ চক্রবর্তী) অনুশীলনের সময় সত্যিই কঠোর পরিশ্রম করছেন। আমরা কঠোর প্রচেষ্টা চালাবো এবং পরের ম্যাচে ফিরে আসবো।“