সূর্যকুমার যাদবের (Surya Kumar Yadav) মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যানকে অনাকদিনই খুঁজছিল টিম ইন্ডিয়া। আসলে তার মতো প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান মাঠের চারপাশে একাধিক শট খেলা এবং রান তোলার শিল্পটা ভালোই জানেন। সূর্যকুমার যাদব দীর্ঘ সময়ের জন্য ঘরোয়া ক্রিকেট এবং আইপিএলে তার দলের পক্ষে তার সেরা পারফরমেন্স অব্যাহত রেখেছিলেন, তারপরে তিনি টিম ইন্ডিয়াতে জায়গা করে নেন। দক্ষিণ আফ্রিকার বিখ্যাত ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স মাঠের প্রতিটি কোণে শট মারার জন্য পরিচিত ছিলেন। এবি ডি ভিলিয়ার্সের সঙ্গেও তুলনা করা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। তারাও মাঠের প্রতিটি কোণায় বড় শট খেলে। সূর্যকুমার যাদবকে বলা হয় ৩৬০ ডিগ্রি প্লেয়ার।
টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অনেক ম্যাচ জিতেছেন
সূর্যকুমার যাদব এখনও পর্যন্ত টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ওডিআই এবং টি-২০ ক্রিকেট ফর্ম্যাটে খেলেছেন। সূর্যকুমার যাদব ভারতের হয়ে ৭টি ওডিআই এবং ১৪টি টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি এই ওয়ানডেতে ৫৩.৪০ গড়ে ২৬৭ রান করেছেন, আর টি-টোয়েন্টিতে তিনি ৩৯.০০ গড়ে ৩৫১ রান করেছেন। সূর্যকুমার যাদবও তার মারকুটে ব্যাটিং দিয়ে টিম ইন্ডিয়ার হয়ে অনেক ম্যাচ জিতেছেন। সূর্যকুমার যাদবের ম্যাচ উইনার হিসাবে উঠে আসা টিম ইন্ডিয়ার মিশন টি-২০ বিশ্বকাপ ২০২২ এবং বিশ্বকাপ ২০২৩-এর জন্য দুর্দান্ত স্বস্তি দেয়। ব্যাটিংয়ের সময় সূর্যকুমার যাদবের স্ট্রাইক রেট অসাধারণ। চলতি বছরের অক্টোবর-নভেম্বরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া টি২০ বিশ্বকাপ ২০২২-এ টিম ইন্ডিয়াকে ট্রফি দিতে পারেন, ঠিক যেমন যুবরাজ সিং ২৮ বছর পর ২০১১ বিশ্বকাপে ভারতকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন।
সূর্যকুমারের ব্যক্তিগত জীবন বেশ রোমান্টিক
সূর্যকুমার যাদব ২০১২ সালে মুম্বাইয়ের পোদ্দার ডিগ্রি কলেজে দেবীশার সাথে দেখা করেছিলেন। তখন সূর্যের বয়স ছিল ২২ বছর আর দেবীশা দ্বাদশ পাস করে কলেজে আসেন। সেখান থেকেই দুজনের সম্পর্ক শুরু হয় এবং শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালে দুজনেই বিয়ে করেন। সূর্যের যখন দেবীশার সাথে দেখা হয়েছিল তখন তিনি বি.কমের ছাত্র ছিলেন।
সূর্যকুমার যাদবের ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলতে গেলে তিনি খুবই রোমান্টিক। সূর্যকুমার যাদব দীর্ঘ ডেটিং করার পর ২০১৬ সালে দেবীশাকে বিয়ে করেন। দেবীশা দক্ষিণ ভারতের, যার কারণে সূর্যকুমার যাদবের সাথে তার বিয়েও হয়েছিল দক্ষিণের রীতি অনুযায়ী। সূর্যের ব্যাটিং পাগল করে দেবীশাকে। সূর্য কুমার তার প্রথম দিকে ব্যাডমিন্টন খেলতেন এবং তার বাবা তাকে দুটি খেলার মধ্যে বেছে নিতে বলেছিলেন। পরে তিনি অশোক আর কামাত এবং বিলাস গডবোলের দ্বারা প্রশিক্ষিত হন। সূর্যকুমারের বাবা-মা আশা করেছিলেন একদিন তিনি ভারতের হয়ে খেলবেন এবং তার স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।