একদিকে যেখানে মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট আম্রপালী হোম বায়র্সকে স্বস্তির নিঃশ্বাস দিয়েছে, অন্যদিকে আম্রপালীকে নিয়ে কিছু এমন খোলসা হয়েছে যে সকলেই হতবাক হয়ে গিয়েছেন। খবরের মতে সুপ্রিম কোর্ট তদন্তে পেয়েছে যে ফ্ল্যাট খরিদ্দারদের টাকা মহেন্দ্র সিং ধোনি আর তার স্ত্রী সাক্ষী ধোনির কোম্পানিকে ট্রান্সফার করা হয়েছে।
আম্রপালী হোম বায়ার্সের টাকা দেওয়া হয়েছে ধোনির কোম্পানিকে
আম্রাপালী হোম বায়ার্স মামলায় কেসের তদন্ত করা ফরেন্সিক অডিটর্স পবন কুমার আগরওয়াল আর রবীন্দ্র ভাটিয়া সুপ্রিম কোর্টে একটি রিপোর্ট পেশ করেছেন, যেখানে এই বিষয়ে খোলসা করা হয়েছে যে আম্রপালী গ্রুপ ফ্ল্যাট ক্রেতাদের টাকা ইলিগ্যালভাবে দুটি কোম্পানিকে ট্রান্সফার করেছে। যে দুটি কোম্পানিকে টাকা ট্রান্সফার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একটি কোম্পানি ধোনির স্ত্রী সাক্ষীর নামে রয়েছে। ফরেন্সিক অডিটর্সরা পেয়েছেন যে আম্রপালী গ্রুপের কোম্পানি ২০০৯ থেকে ২০১৫র মধ্যে রহিতী স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেডকে ৪২.২২ কোটি টাকা দিয়েছে। অন্যদিকে দ্বিতীয় কোম্পানি যাকে টাকা দেওয়া হয়েছে সেটি ছিল আম্রপালী মাহী ডেভলপর্স প্রাইভেট লিমিটেড। যার ডাইরেক্টর পদে রয়েছেন সাক্ষী ধোনি।
ভুয়ো এগ্রিমেন্টের সাহায্যে দেওয়া হয়েছে টাকা
ফরেন্সিক অডিটর্স দ্বারা তদন্ত করতে গিয়ে পাওয়া গেছে যে দুই কোম্পানির মধ্যে টাকা ভুয়ো এগ্রিমেন্ট দ্বারা ট্রান্সফার করা হয়েছে। দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের রিপোর্টের মোতাবেক সবচেয়ে বেশি এগ্রিমেন্ট ২০০৯এর মধ্যে করা হয়েছে। এটা সেই সময় ছিল যখন স্বয়ং মহেন্দ্র সিং ধোনি কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর ছিলেন। সেই সময় ধোনি কোম্পানির কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা নিয়েছিলেন।
আইপিএল ২০১৫ চলাকালীন হয়েছিল সবচেয়ে বেশি এগ্রিমেন্ট
রিপোর্টের অনুসারে জানা গিয়েছেন যে আইপিএল ২০১৫ চলাকালীণ ধোনি এই কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসডর ছিলেন। সেই সময় আম্রপালী গ্রুপের মানুষদের ভীষণই প্রয়োগ করা হয়েছিল যাতে কোম্পানির প্রচার এবং প্রসার হতে পারে। সেই সময় যে এগ্রিমেন্ট হয়েছিল সেটা প্লেন কাগজে আম্রপালী আর রহিতী স্পোর্টস কোম্পানির মধ্যে হয়েছিল। এর মধ্যে চেন্নাই সুপার কিংসের কোথাও কোনো ভূমিকা ছিল না। এই কারণে এই পুরো মামলাটি সন্দেহজনক হয়ে উঠেছে।
কোম্পানির কাছ থেকে নেওয়া হবে টাকা ফেরত
সুপ্রিম কোর্টের বেঞ্চ জানিয়েছে যে,
“ফ্ল্যাট ক্রেতাদের টাকা অবৈধভাবে আর ভুল উপায়ে রহিতী স্পোর্টস ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড আর মাহির কোম্পানিকে পাঠানো হয়েছিল। তা উসুল করা হবে, কারণ এই দুজনের মধ্যে করা এই সমঝোতা আইনানুগভাবে সঠিক নয়”।