ভারতীয় ক্রিকেট দলের প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীরের (Gautam Gambhir) অধীনে সাদা বলের ক্রিকেটে বেশ অগ্রগতি করেছে টিম ইন্ডিয়া। তবে, লাল বলের ক্রিকেটে ভারতের পরিস্থিতি একেবারেই ভিন্ন। ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজে ০-২ ব্যাবধানে সিরিজ হেরেছে টিম ইন্ডিয়া, যার পরেই একেরপর এক প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে সমাজ মাধ্যমে। রোহিত শর্মা (Rohit Sharma), বিরাট কোহলি (Virat Kohli) ও রবিচন্দ্রন অশ্বিনের (Ravichandran Ashwin) মতন অভিজ্ঞদের দল থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হচ্ছে সব স্তরে। অশ্বিন তার ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি দাবি জানিয়ে দিয়েছেন যে তাঁরা তাদের ভবিষ্যৎ নিয়ে পরিষ্কার কোনও পাননি। এই অনিশ্চয়তাই নাকি তাঁদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে পরাজয় হজম হচ্ছে না অশ্বিনের
উল্লেখ্য, ভারতীয় দলের কিংবদন্তি স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন অস্ট্রেলিয়ায় বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির মাঝপথেই টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে অশ্বিন মন্তব্য করে বলেন, “দলের ট্রানজিশনের জন্য স্পষ্ট কোনও রোডম্যাপ থাকা দরকার। যখন সেই স্বচ্ছতা থাকে না, তখন সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত হয়ে যায়। বিরাট আরও কিছুদিন খেললে নতুনদের পরিচালনা করতে পারতেন। রোহিতও পারতেন। এমনকি আমিও সেটা করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমাদের ক্রিকেট সংস্কৃতিতে ‘নলেজ ট্রান্সফার’ বিষয়টি কখনোই খুব শক্তিশালী ছিল না।”
Read More: RCB’র পর বিক্রির পথে আরও এক IPL দল, ক্রিকেট মহলে তীব্র জল্পনা !!
দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে ভারতের ব্যার্থতার পর অনেক ভক্ত এটা মনে করছেন যে, রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি ও অশ্বিন যদি থাকতেন তাহলে হয়তো ফল অন্যরকম হতো। তবে, ভক্তদের এই মন্তব্যে একেবারে বিপরীত সুর গাইলেন ক্রিকেট কিংবদন্তি সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar)। তাঁর দাবি, এই তিনজনের অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই ব্যক্তিগত। বোর্ড বা ম্যানেজমেন্টের ওপর দায় চাপানো ঠিক নয়। তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, নিউজিল্যান্ডের কাছে ০-৩ ব্যবধানে সিরিজ হারের সময়ও রোহিত, কোহলি ও অশ্বিন তিন জনের সক্রিয় ছিলেন এবং তিন জনেই তিনটি টেস্ট খেলেছেন। এমনকি অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধেও ব্যার্থ হয়েছিল ভারতীয় দল। যে কারণে গাভাস্কার মনে করেন, তাদের ফেরালেই যে ফল বদলে যেত – এমনটা বলা ঠিক নয়।
অশ্বিনের কথায় একমত নন গাভাস্কার
এক সাক্ষাৎকারে গাভাস্কর বলেছেন, “অবসর নেওয়ার সিদ্ধান্ত একান্তই তাঁদের ব্যাক্তিগত ছিল। তাদেরকে হয়তো ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার কথা বলা হয়েছিল। তবে এটা বলা ভুল যে তাঁরা থাকলেই ভারত জিততো। যখন নিউজিল্যান্ড ভারতে এসেছিল তখনও তাঁরা দলে ছিল, আমরা তখনও হোয়াইটওয়াশ হয়েছি। তাই এমনটা ভাবা উচিত নয়। কাউকে অবসর নিতে বোর্ড বাধ্য করতে পারেনা। এগুলো সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।” প্রসঙ্গত, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ইতিমধ্যেই তিন ফরম্যাট থেকেই সরে দাঁড়িয়েছেন। অন্যদিকে, রোহিত ও কোহলিকে কেবলমাত্র ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলতে দেখা যাচ্ছে।