অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টানা দুই ম্যাচে শূন্য রানে আউট হওয়ার পর বিরাট কোহলির (Virat Kohli) প্রত্যাবর্তন নিয়ে ক্রিকেট দুনিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক বিতর্ক। তবে কিংবদন্তি ক্রিকেটার সুনীল গাভাস্কার (Sunil Gavaskar) তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন। অ্যাডিলেড ওভালে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারত দুই উইকেটে হেরে যায়, ফলে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হাতছাড়া হয়। সাত মাস পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে কোহলি উভয় ম্যাচেই শূন্য রানে আউট হন। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে চার বলে শূন্য রানে ফিরে যাওয়ার পর দর্শকদের দিকে গ্লাভস তুলে ধরা – সেই অঙ্গভঙ্গি মুহূর্তেই জল্পনা ছড়ায়, অনেকেই মনে করেন এটি তার সম্ভাব্য অবসরের ইঙ্গিত।
দুই ইনিংসে শুন্য রানে আউট বিরাট কোহলি

৬২৭৫ দিনের দীর্ঘ আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে এটি প্রথমবার, যখন কোহলি টানা দুই ইনিংসে শূন্য রানে আউট হলেন। আরও উল্লেখযোগ্য বিষয়, তার বর্ণাঢ্য ক্যারিয়ারের ৭৫তম ওয়ানডে সিরিজেই এই ঘটনা ঘটেছে। গাভাস্কার কোহলিকে সমর্থন করে বলেছেন, “এটা শেষ নয়, শুরু হতে পারে নতুন অধ্যায়।” সাক্ষাৎকারে গাভাস্কার বলেন, “একটা-দুটো ব্যর্থতা কিছুই নয়। বিরাট কোহলির ক্যারিয়ারটা মহিমান্বিত – ১৪,০০০-এরও বেশি আন্তর্জাতিক রান, ৫২টি ওডিআই সেঞ্চুরি, ৩২টি টেস্ট সেঞ্চুরি। কয়েকটা শূন্য রানে আউট তাকে সংজ্ঞায়িত করতে পারে না। সামনে এখনও অনেক ক্রিকেট বাকি আছে। সিডনিতে হয়তো বড় ইনিংস দেখতে পাব আমরা।”
বিরাটের নজরে ২০২৭’ সালের বিশ্বকাপ

তিনি আরও বলেন, কোহলির গ্লাভস তোলা ছিল না কোনো অবসরের ইঙ্গিত; বরং সেটি ছিল দর্শকদের, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়ান সমর্থকদের উষ্ণ অভ্যর্থনার প্রতি শ্রদ্ধা। অ্যাডিলেডে কোহলিকে আউট করেন জেভিয়ার বার্টলেট, এবং এটি ছিল তার দ্বিতীয় ধারাবাহিক ‘ডাক’। কিন্তু গাভাস্কারের মতে, “শূন্য রানে আউট হওয়ার পরই সে থেমে যাবে- এমনটা কখনও হতে পারে না। সে সবসময়ই চ্যালেঞ্জ নিয়ে ঘুরে দাঁড়ায়। সিডনির পর ঘরের মাঠে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে আরও সুযোগ আসবে। বিরাট কোহলি এখনও শেষ করেননি।” টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পর ছোট ফরম্যাট থেকে অবসর এবং সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেট থেকে বিদায় নেওয়ার পর কোহলি এই অস্ট্রেলিয়া সিরিজের মাধ্যমে ওয়ানডেতে প্রত্যাবর্তন করেছেন। দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিতব্য ২০২৭ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপকে সামনে রেখে তিনি নতুনভাবে নিজেকে গড়ে তুলতে চাইছেন।