ইংল্যান্ডের জোরে বোলার স্টুয়ার্ট ব্রডের উপর ম্যাচ রেফারি আর তার বাবা ক্রিস ব্রড ম্যাচ ফিয়ের ১৫ শতাংশ জরিমানা করেছেন। ব্রডকে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন অভদ্র ভাষার ব্যবহার করার দোষী পাওয়া গিয়েছিল। আপনাদের জানিয়ে দিই যে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে ইংল্যান্ড দুর্দান্ত জয় হাসিল করে ৩ ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ১-০ লীড নিয়ে ফেলেছে। এই ম্যাচে অভদ্র ভাষা প্রয়োগ করার জন্য স্টুয়ার্ট ব্রডের উপর জরিমানা করা হয়েছে।
ইয়াসির শাহের জন্য করেছিলেন অভদ্র ভাষার প্রয়োগ
আসলে ৩৪ বছর বয়সী ব্রড পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট চলাকালীন স্পিনার ইয়াসির শাহের বিরুদ্ধে অনুচিত ভাষার ব্যবহার করেছিলেন। এই ঘটনা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংসের ৪৬তম ওভারের। স্টুয়ার্ট ব্রড ইয়াসির শাহকে আউট করার পর খারাপ ভাষা ব্যবহার করেছিলেন। আইসিসির বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ব্রডকে আইসিসির আচার সংহিতার ধারা ২.৫ এর উলঙ্ঘন করতে পাওয়া যায়, যা আন্তর্জাতিক ম্যাচে অনুচিত ভাষা, ব্যবহার বা ভাব ভঙ্গিমার সম্পর্কিত। এর সঙ্গেই ব্রডের অনুশাসন রেকর্ড একটি ডিমেরিট পয়েন্ট যোগ করা হয়েছে। এটা গত ২৪ মাসে তার তৃতীয় অপরাধ আর মোট ৩টি ডি মেরিট পয়েন্ট হয়ে গিয়েছে।
স্টুয়ার্ট ব্রড দিয়েছেন এই রিঅ্যাকশন
জানিয়ে দিই যে ক্রিকেট ইতিহাসে এটা অভূতপূর্ব ঘটনা যখন রেফারি বাবা নিজেরই ছেলেকে শাস্তি দিয়েছেন। প্রসঙ্গত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টে স্টুয়ার্ট ব্রডের বাবা ক্রিস ব্রড রেফারি ছিলেন। এই অবস্থায় ক্রিস ব্রডই নিজের ছেলে স্টুয়ার্ট ব্রডকে ভুল করার আইসিসির তরফে শাস্তি দিয়েছেন। জানিয়ে দিই যে স্টুয়ার্ট ব্রড নিজের টেস্ট কেরিয়ারে ৫০০র বেশি উইকেট নিতে সফল হয়ে গিয়েছেন। ব্রড তার বাবা দ্বারা জরিমানা করায় রিঅ্যাকশন দিয়ে টুইটও করেছেন।
এখানে দেখুন ব্রডের সেই টুইট
🏴 @StuartBroad8 fined and given a demerit point by his dad, match referee Chris Broad!
🗣️🎶 Looks like we might need to change the words to his song slightly… https://t.co/zU63HMvUTn
— England's Barmy Army (@TheBarmyArmy) August 11, 2020
এর আগেও ব্রডের উপর লাগানো হয়েছে জরিমানা
আপনাদের জানিয়ে দিই যে এর আগেও ব্রডের উপর আইসিসি কোড অফ কন্ডাক্টের জন্য আইসিসি দ্বারা শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। আসলে ব্রড ২৭ জানুয়ারি ২০২০তে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে (ওয়ান্ডার্সে) আর ১৯ আগষ্ট ২০১৮য় ভারতের বিরুদ্ধে তৃতীয় টেস্টে (ট্রেন্ট ব্রিজে) নিয়মের উলঙ্ঘন করেছিলেন। ব্রড নিজের ভুল স্বীকার করেছেন যারপর এই বিষয়ে ঔপচারিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।