IPL 2025: সমাপ্ত হলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ এবং রাজস্থান রয়্যালস দলের আইপিএল ২০২৫’এর দ্বিতীয় ম্যাচ। প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৮৬ রান বানিয়ে ফেলে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দল। জবাবে ব্যাটিং করতে এসে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৪২ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল রাজস্থান। ৪৪ রানে জয় সুনিশ্চিত করলো সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ।
আগ্রাসী সূচনা দেন অভিষেক শর্মা
শুরু থেকেই বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ের প্রমান দেখান সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ দলের দুই ওপেনার। ব্যাট হাতে ট্রেভিস হেড (Travis Head) এবং অভিষেক শর্মা (Abhishek Sharma) আবার দৃষ্টিনন্দন শর্ট হাঁকিয়ে দর্শকদের উত্তেজিত করে তুলেছেন। আজ প্রথম ওভারেই দুটি চারের মাধ্যমে খাতা খোলেন অভিষেক, এরপর দ্বিতীয় ওভারেই মহেশ তিকশনার স্পিনের সামনে ব্যাট চালাতে পিছুপা হননি অভিষেক।
Read More: IPL 2025: “এবার মুম্বইয়ের পালা…” রাজস্থানের বিরুদ্ধে ঈশানের শতরানের পর সমাজ মাধ্যমে শুরু হলো চর্চা !!
পিছিয়ে থাকেননি হেড

যদিও, মহেশ তিকশনার দ্বিতীয় ওভারে অতিরিক্ত আগ্রাসী হতে হয়ে উইকেট হারিয়ে ফেলেন অভিষেক। ২৪ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় তাকে। অভিষেক আউট হওয়ার পরেও রানের গতি কমেনি। ট্রেভিস হেড জোফরা আর্চারকে তাঁর স্পেলের প্রথম ওভারেই ২৩ রান মারেন। পাওয়ার প্লের শুরুতেই প্রথম চার ওভারের মধ্যে অর্ধশতরানের গন্ডি পার করে ফেলে দল। তাছাড়া, পাওয়ার প্লেতে সানরাইজার্স মোট ৯৪ রান বানায়।
দশ ওভারের মধ্যে দুই উইকেট হারায় সানরাইজার্স
কেবলমাত্র ট্রেভিস হেড নন ঈশান কিষান (Ishan Kishan) এবারের আইপিএলে অসাধারণ ব্যাটিং করেছেন। পাওয়ার প্লের পরেও হেড এবং ঈশান তাদের আগ্রাসী মেজাজ ধরে রেখেছিল। প্রথম দশ ওভারের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারায় সানরাইজার্স। তবে, তার মধ্যে ১৩৫ রান বানিয়ে ফেলেছিল দল। আগ্রাসী ব্যাটিং করে ট্রেভিস হেড (Travis Head) ৩১ বলে ৯টি চার এবং ৩টি ছক্কায় ৬৭ রান বানিয়ে ফেলেন।
ঈশান-নীতিশের মধ্যে গড়ে ওঠে ৭২ রানের পার্টনারশিপ

পাওয়ার প্লের ভিতরে একটি উইকেট এবং দশ ওভারে দ্বিতীয় উইকেট হারায় সানরাইজার্স। দুই উইকেট হারিয়ে ফেলার পর চারে ব্যাটিং করতে আসেন নীতিশ রেড্ডি। তিনিও বাকিদের মতন নীতিশও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করতে শুরু করে দেন। ঈশান কিষানের সাথে জুটি বেঁধে নীতিশ রাজস্থানী বোলারদের পিটিয়ে ছাতু বানাতে থাকেন। একদিকে ঈশান সানরাইজার্সের হয়ে তাঁর অভিষেক ম্যাচে ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের অর্ধ-শতরান পূর্ণ করেন। নীতিশ রেড্ডির সঙ্গে ঈশান কিষানের ৭২ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। যেখানে মাত্র ১৫ বলে ৪টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩০ রান বানান নীতিশ রেড্ডি।
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে শামিল হন ক্লাসেন
আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে নাম লেখান হেনরিখ ক্লাসেন। বিগত কয়েক বছরে সাদা বলের ক্রিকেটে মিডিল অর্ডারে অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান হলেন ক্লাসেন। ব্যাট হাতে আজকের ম্যাচেও তান্ডব দেখালেন তিনি। ১৪ বলে ৫টি চার এবং ১টি ছক্কায় ৩৪ রান বনান ক্লাসেন। ঈশানের সঙ্গে ২৫ বলে ৫৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল।
শতরান হাঁকালেন ঈশান কিষান

২৫৮ রানের মাথায় চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলে সানরাইজার্স। তবে, এরপর দ্রুত দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে দল। তবে, দলের হয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন ঈশান। আইপিএল ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান হাঁকালেন ঈশান কিষান। গত কয়েক মৌসুম ধরে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলের নিয়মিত সদস্য ছিলেন ঈশান কিষান তবে এবার তাকে নিলামের মঞ্চে দলে শামিল করে সানরাইজার্স দল। আজ প্রথম ম্যাচেই ৪৭ বলে ১১টি চার এবং ৬টি ছক্কায় ১০৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেললেন। প্রথমে ব্যাটিং করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৮৬ রান বানাতে সক্ষম হয় সানরাইজার্স দল।
শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে রাজস্থান

ফিল্ডিং না করলেও ব্যাটিং করতে আসেন সঞ্জু স্যামসন। তবে দ্বিতীয় ওভারেই সীমারজিৎ সিংয়ের বলে উইকেট হারিয়ে ফেলেন যশস্বী জয়সওয়াল এবং ক্যাপ্টেন রিয়ান পরাগ। ৫ বলে মাত্র ১ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন জয়সওয়াল এবং ২ বলে ৪ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরেন পরাগ।
আগ্রাসী ব্যাটিং চালান সঞ্জু

শুরুতেই দুই উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে চলে আসে রাজস্থান। তবে, সঞ্জু স্যামসন আগ্রাসী ব্যাটিং বজায় রেখেছিলেন। পাওয়ার প্লের মধ্যেই ৮ বলে ১১ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন নীতিশ রানা।
খেলা ধরেন স্যামসন-জুড়েল
দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে ফেললেও খেলায় ফেরান সঞ্জু স্যামসন ও ধ্রুব জুড়েল। পাওয়ার প্লের মধ্যে ৭৭ রান বানিয়ে ফেলে রাজস্থান। জুড়েল এবং স্যামসনের মধ্যে ৬০ বলে ১১১ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। ব্যাট হাতে, ৩৭ বলে ৭টি চার এবং ৪টি ছক্কায় ৬৬ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন। তাছাড়া, ৩৫ বলে ৫টি চার এবং ৬টি ছক্কায় ৭০ রান বানান ধ্রুব জুড়েল।
শেষের দিকে ৮০ রানের পার্টনারশিপ হয় হেটমায়ার ও দুবের মধ্যে

শেষের দিকে রাজস্থানের হয়ে বেশ ভালো ব্যাটিংয়ের পরিচয় দেন শিমরন হেটমায়ার এবং শুভম দুবে। ব্যাট হাতে, ২৩ বলে ১টি চার ও ৪টি ছক্কায় ৪২ রান বানান হেটমায়ার এবং ৩৪ রান বানান শুভম দুবে। নির্ধারিত ২০ ওভারে ২৪২ রান বানায় রাজস্থান রয়্যালস। ৪৪ রানে ম্যাচ জিতে যায় হায়দ্রাবাদ।