ভাইরাসটির নাম করোনা।বিশ্বের সকল মানুষের কাছে এই ভাইরাসটি মৃত্যুর চেয়ে কম কিছু নয়।চীনের বিভিন্ন শহর থেকে ছড়িয়ে পড়েছে এই ধ্বংসকারী মৃত্যু ভাইরাস।ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের কারণে লক্ষের বেশি মানুষ আক্রন্ত হয়েছে এবং ভারত সহ ৮০ টি দেশে এটি ক্রমবর্ধমানভাবে ছড়িয়ে পড়ছে।
সারাদেশে প্রায় 33 টির বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত তা নিশ্চিত করা হয়েছে।ভারতে ধর্মশালা,কলকাতা সহ বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাসটি।সামনে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজ অনুষ্ঠিত হতে চলেছে ভারতে।ভারত এবং দক্ষিণ আফ্রিকা দুই দলই সিরিজটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এই কারণে নিরাপত্তা ও পরিষ্কার ,পরিছন্নতার উপর জোর দিচ্ছে আইসিসি।
দক্ষিণ আফ্রিকা দিল্লিতে সময় কাটাবে ধর্মশালার প্রথম ওয়ান-ডে ম্যাচের আগে। দক্ষিণ আফ্রিকার ভারতে যাত্রা শুরুর আগে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান কোচ মার্ক বাউচার প্রকাশ করেছেন যে এই মারাত্মক ভাইরাসের বিরুদ্ধে সতর্কতা বজায় রাখতে দলের খেলোয়াররা হ্যান্ডশেক এড়িয়ে চলবে।এরকমই পন্থা ব্যবহার করলে ভাইরাসটি ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা কম হবে।
ইংল্যান্ড সম্প্রতি ঘোষণা করেছিল যে তারা শ্রীলঙ্কা সফরের সময় হ্যান্ডশেকের জায়গায় নমস্কার করে সম্মোধন করবে বিপক্ষ দলের খেলোয়াড় ও তাদের স্টাফদের। অস্ট্রেলিয়ান কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গার অবশ্য এখনও এই পথ অনুসরণ করতে অস্বীকার করেছেন।
“হ্যান্ডশেক না করার পেছনে করোনা ভাইরাসের প্রভাব ছাড়া কোনো রাজনৈতিক কারণ নেই।আমি মনে করি এটি আমাদের দলের ছেলেদের সুরক্ষিত রাখতে সাহায্য করবে।”টাইমস অফ ইন্ডিয়ায় দাওয়া সাক্ষাৎকারে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন উইকেট কিপার এবং বর্তমান প্রধান কোচ মার্ক বাউচার দলের সুরক্ষার জন্য এইরকমই উক্তি করেছেন ।

তিনি আরও বলেছেন,”আমাদের সুরক্ষা বিষয়ক দল আছে,কোনো রকম মেডিকেল সংক্রান্ত উপদেশে তারা আমাদের সাহায্য করবে।যদি তারা মনে করে এটি খুব বিপজ্জনক,তবে আমাদের নির্দিষ্ট সময়ে সরিয়ে আনবে।আমার সাথে মেডিকেল টিমের কথা হয়ে গাছে তারা আমাদের সমস্ত রকমভাবে রক্ষা করবে বলে জানিয়েছে।”
ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যকার তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজটি ১২ ই মার্চ থেকে ধর্মশালায় শুরু হবে।যেখানে কুইন্টন ডি ককের নেতৃত্ব দর্শনার্থীরা আশা করছেন।২০১৫ সালের ন্যায় এই বছরও ভারতীয়দের পরাজিত করার চেষ্টায় মরিয়া হয়ে থাকবে দক্ষিণ আফ্রিকা।দক্ষিণ আফ্রিকা সর্বশেষ সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে ভারত সফর করেছিল।যেখানে তারা তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের অপমানজনক হোয়াইটওয়াশের আগে টুয়েন্টি ২০ সিরিজ [১-১] ড্র করেছিল।