এপ্রিলে দক্ষিণ আফ্রিকার সীমিত ওভারের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন রব ওয়াল্টার (Rob Walter)। তাঁর উত্তরসূরি বেছে নিলো প্রোটিয়ারা। দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে দলের টেস্ট কোচ শুক্রি কনরাড’কে (Shukri Conrad)। ২০২৭-এর ওয়ান ডে বিশ্বকাপ অবধি তাঁর সাথে চুক্তি করেছে ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা। লাল ও সাদা বলের ফর্ম্যাটে ভিন্ন ভিন্ন কোচ নিয়োগের যে পরীক্ষানিরীক্ষা বছরখানেক আগে চালু করেছিলো প্রোটিয়া ক্রিকেট সংস্থা, শুক্রির নিয়োগের সাথে সাথেই বন্ধ হলো তাও। নতুন কোচ নিয়োগের জন্য কোনো বিজ্ঞাপন দেওয়া হয় নি ডেভিড মিলার (David Miller), হেনরিখ ক্লাসেনদের (Heinrich Klaasen) দেশের ক্রিকেট সংস্থার তরফে। হয় নি কোনো ইন্টারভিউ’ও। টেস্টে তাঁর পারফর্ম্যান্সের ভিত্তিতে সরাসরি সীমিত ওভারেও দায়িত্ব সঁপে দেওয়া হয়েছে তাঁর হাতে।
Read More: PSL খেলতে গিয়ে ফাঁসলো ডেভিড ওয়ার্নার সহ এই বিদেশি খেলোয়াড়রা, দেশে ফেরার রাস্তা হলো বন্ধ !!
তিন ফর্ম্যাটেই কোচ হচ্ছেন শুক্রি-

এতদিন দক্ষিণ আফ্রিকাতে দল নির্বাচনের দায়িত্ব’ও ছিলো হেড কোচের হাতে। কিন্তু সেই পদ্ধতিতে বদল আনা হয়েছে ক্রিকেট সংস্থার তরফে। শুক্রির (Shukri Conrad) সাথে জুড়ে দেওয়া হয়েছে একজন সিলেকশন কনভেনরকে। নতুন কোচ নিয়োগের জন্য কোনো ইন্টারভিউ হয় নি ঠিকই, কিন্তু সিলেকশন কনভেনার নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করেছে সিএসকে। ২৯ এপ্রিল ছিলো মনোনয়ন জমা করার শেষ দিন। মনে করা হচ্ছে যে দিনকয়েকের মধ্যেই ঘোষণা করা হবে দক্ষিণ আফ্রিকা দলের প্রথম সিলেকশন কনভেনরের নাম। টি-২০ বিশ্বকাপ (T20 World Cup) ও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে (CT 2025) খেতাবের কাছাকাছি গিয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকাকে। আসন্ন আইসিসি টুর্নামেন্টগুলিতে খেতাব জিততে তাই মরিয়া তারা।
“জাতীয় দলকে তিন ফর্ম্যাটেই কোচিং করানোর দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত বোধ করছি।” দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেছেন কনরাড (Shukri Conrad)। “টেস্ট দলকে কোচিং করানোর আমার ক্রিকেট যাত্রাপথের শ্রেষ্ঠতম সুযোগ। এরপরে সাদা বলের দলগুলির দায়িত্ব পাওয়াও অবিশ্বাস্য ব্যাপার। আগামীর কথা ভেবে আমি সত্যিই উত্তেজিত। আমাদের সিনিয়র থেকে উঠতি প্রতিভারা, যাঁরা ভবিষ্যতে প্রোটিয়া জার্সি গায়ে চাপাতে চায়, তাদের দক্ষতা প্রশ্নাতীত। দক্ষিণ আফ্রিকাতে সাদা বলের খেলায় দুর্দান্ত সব প্রতিভা রয়েছে। সেই ভিতকে কাজে লাগিয়ে ইমারত গড়তে হবে। আমার বিশ্বাস যে স্পেশ্যাল কিছু অর্জন করার সক্ষমতা আমাদের আছে,” সংযোজন তাঁর।
প্রোটিয়াদের চ্যালেঞ্জ WTC ফাইনাল-

আগামী মাসে বড় পরীক্ষা শুক্রি (Shukri Conrad) ও দক্ষিণ আফ্রিকা দলের। ১১ থেকে ১৫ জুন ঐতিহাসিক লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলতে নামছে তারা। ১৯৯৮ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় ছাড়া আইসিসি টুর্নামেন্টে আর কোনো সাফল্য নেই প্রোটিয়াদের। ১৯৯৯, ২০০৩, ২০১৫, ২০২৩ সালের পঞ্চাশ ওভারের বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে ছিটকে যেতে হয়েছে তাদের। ২০২৫ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) থেকে বিদায় নিতে হয়েছে সেমিফাইনালে হেরে। ২০২৪-এ কুড়ি-বিশের বিশ্বকাপের ফাইনালে হারতে হয়েছে ভারতের বিরুদ্ধে। গায়ে এঁটে বসা চোকার্স তকমাটা ঝেড়ে ফেলার দারুণ সুযোগ রয়েছে লর্ডসের বাইশ গজে। রাবাডা, মার্করামরা সেই কৃতিত্ব অর্জন করতে পারেন কিনা সকলের নজর সেদিকে।