ভারতীয় দলের নির্বাচক প্রধান এমএসকে প্রসাদের কার্যকাল বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) পরই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তার সঙ্গেই গগণ খোদারও কার্যকাল শেষ হয়ে গিয়েছে। এমএসকে প্রসাদ ২০১৬য় নির্বচক প্রধান হয়েছিলেন। তিনি ২০১৫য় নির্বাচক কমিটিতে শামিল হয়েছিলেন আর এক বছর পরে তাকে নির্বাচক প্রধান করে দেওয়া হয়।
নির্বাচক পদের জন্য এসেছে তারকাদের আবেদন
বিসিসিআই জাতীয় নির্বাচক কমিটির প্রধান এমএসকে প্রসাদ আর তার সহযোগী নির্বাচক গগন খোড়ার জন্য আবেদন চেয়েছিল। আবেদন করার শেষ তারিখ ২৪ জানুয়ারি ছিল। লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণন, অজিত আগরকার, রাজেশ চৌহান আর ভেঙ্কটেশ প্রসাদের মতো প্রাক্তন তারকারা নির্বাচক পদের জন্য আবেদন করেছেন। এর মধ্যে বিসিসিআইয়ের সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলী এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে নতুন নির্বাচকরা কবে থেকে ভারতীয় দল নির্বাচন করবেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া সিরিজ থেকে দল নির্বাচন করবেন নতুন নির্বাচকরা
সৌরভ গাঙ্গুলী জানিয়েছেন, “নিউজিল্যাণ্ড সফরের জন্য পুরোনো নির্বাচক কমিটি খেলোয়াড়দের নির্বাচন করে ফেলেছে। নতুন কমিটি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ঘরোয়া ওয়ানডে সিরিজ থেকে নতুন দল বাছবে। নির্বাচিত প্রার্থীদের ইন্টারভিউ দ্রুতই নেওয়া হবে”।
ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির সদস্য হতে পারবেন না গম্ভীর
বিসিসিআই সভাপতি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে মদনলাল আর সুলক্ষ্মণা নাইক ক্রিকেট পরামর্শদাতা কমিটির (সিএসি) সদস্য, অন্যদিকে গৌতম গম্ভীরকে পরিবর্তন করা হচ্ছে কারণ তিনি সাংসদ হওয়ার কারণে কোনো নতুন পদ সামলাতে পারবেন না। সৌরভ গাঙ্গুলী আগে বলেন, “আমরা গৌতম গম্ভীরের জায়গা নেওয়ার জন্য নতুন নাম নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছি, দ্রুতই এর ঘোষণা করা হবে। মদনলাল আর সুলক্ষ্মণা কমিটিতে বজায় থাকবেন।” গাঙ্গুলী এর সঙ্গে এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে অলরাউন্ডার হার্দিক পাণ্ডিয়া পিঠের সার্জারির পর এখনো পর্যন্ত ম্যাচ ফিটনেস হাসিল করতে পারেননি। বিসিসিআই সভাপতি বলেছেন, “ও এখন খেলতে পারবে না। ওর ফিট হতে এখনো সময় লাগবে”।