তিন বছর আগে সুপ্রিম কোর্টের আদেশে বিসিসিআই সভাপতি পদ থেকে অনুরাগ ঠাকুরকে সরিয়ে তার জায়গায় সিওএকে আনা হয়েছিল। এখন এত দীর্ঘ অন্তরালের পর দ্বিতীয়বার বিসিসিআইতে নির্বাচন হতে চলেছে। যেখানে বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট পদে সৌরভ গাঙ্গুলীকে আসতে দেখা যাচ্ছে। স্বয়ং সৌরভ গাঙ্গুলী এ নিয়ে বড়ো বয়ান দিয়েছেন
সৌরভ গাঙ্গুলী বললেন বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর ঘরোয়া ক্রিকেটের করবেন উন্নতি
প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী এখন বিসিসিআইয়ের প্রধান হওয়ার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছেন। যদিও এই পদে মাত্র তিনি এক বছরই থাকতে পারবেন, কারণ তিনি গত পাঁচ বছর ধরে বেঙ্গল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট। নতুন নিয়ম অনুসারে এখন লাগাতার ৬ বছর পর্যন্তই কেউ কোনো ভূমিকা পালন করতে পারেন। যা নিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলী ইন্ডিয়া টুডের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে বলেছেন,
“এটা একটা নিয়ম, আপনাকে তার সমাধান করতে হবে। আমার প্রথম পছন্দ হবে যে ঘরোয়া ক্রিকেটারদের জন্য কিছু করি। আমি সিওএর সঙ্গে এই ব্যাপারে বলেছিলাম কিন্তু ওরা আমার কথা শোনেনি। রঞ্জি ক্রিকেটের উপর কাজ করতে হবে। সেখানে খেলা খেলোয়াড়দের আর্থিক সমস্যাও শেষ করতে হবে”।
বিসিসিআইয়ের ইমেজ উন্নতির কাজ করবেন সৌরভ
যখন সৌরভ গাঙ্গুলীকে ভারতীয় দলের অধিনায়ক করা হয়েছিল সেই সময় দলের ইমেজ সঠিক ছিল না। দল ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে সংঘর্ষ করছিল। এখন বিসিসিআইয়ের অধ্যক্ষও তিনি এমন সময় হচ্ছেন যখন তাকে ইমেজ নিয়েই কাজ করতে হবে। যে ব্যাপারে গাঙ্গুলী বলেছেন যে,
“আমি খুশি যে আমাকে নির্বাচিত করা হয়েছে, বর্তমান সময়ে বিসিসিআইয়ের ইমেজ খুব ভাল নয়। এই কারণে আমাকে এটা ঠিক করার কাজ দেওয়া হয়েছে। যখন আপনাকে বিনা চ্যালেঞ্জে নির্বাচিত করা হয় তো আপনার উপর অনেক বড়ো দায়িত্ব এসে পড়ে”।
গাঙ্গুলী বললেন কখনো ভাবিনি এই পদ পাব
এখন দাদার বিসিসিআইয়ের অধ্যক্ষ হওয়া নিশ্চিত হয়ে গিয়েছে, যা নিয়ে দাদা বলেছেন যে,
“এটা বিশ্বের সবচেয়ে বড়ো ক্রিকেটা চালানো সংস্থা, ক্রিকেটাএর এটা পাওয়ার হাউস। এটাও সবচেয়ে বড়ো চ্যালেঞ্জ। যদিও ভারতীয় দলের অধিনায়ক হওয়া সবচেয়ে ভাল অনুভব ছিল। আমি কখনো ভাবিনি যে আমি কখনো বিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট হব”।