গতকাল ইডেন গার্ডেন্সে বসেছিল চাঁদের হাট। এদিন ইডেনে বিশ্বকাপ জয়ী তারকা রিচা ঘোষকে সম্মানের সাথে বরণ করে নিয়েছে ক্রিকেট এসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল (CAB)। সৌরভ গাঙ্গুলি, স্নেহাসিস গাঙ্গুলি, ঝুলন গোস্বামী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ সেলিব্রেটিরা হাজির ছিলেন। এদিন রিচাকে সম্মানের জন্য CAB’ এর পক্ষ থেকে ফাইনালে বানানো ৩৪ রানের জন্য তাঁকে ৩৪ লক্ষ টাকার পাশাপশি সোনার ব্যাট ও বল উপহার দেওয়া হয়। পাশাপাশি, তাকে ‘বঙ্গভূষন’ পুরস্কারে ভূষিত করেছিল রাজ্য সরকার। এমনকি, তাকে সোনার চেন এবং রাজ্য পুলিশের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট (DSP) হিসেবে নিয়োগের ঘোষণা করেছে।
রিচাকে সম্মার্ধনা দেয় CAB

এদিন সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি নিজেই। সিএবির চেয়ারম্যান হওয়ার পাশাপশি সৌরভ গাঙ্গুলি ছিলেন এদিনের হোস্ট। শুধু তাই নয়, সৌরভ এদিন রিচা ঘোষের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন সৌরভ। এইটাকে বিশ্বকাপ জয়ের জন্য সাধুবাদ জানিয়ে গাঙ্গুলি বলেছেন, “রিচা এখনও আরও অনেক সুযোগ পাবে। সমস্ত সুযোগ কাজে লাগাও। একদিন যেন এখানে দাঁড়িয়েই বলতে পারি, রিচা ভারতের অধিনায়ক। তুমি সানার থেকেও বয়সে ছোট, মনে হয় সবে ২২ বছর বয়স হবে তোমার। এখনও অনেক সময় আছে। সেই দিনটার অপেক্ষায় আছি।”
Read More: সৌরভের প্রাপ্যতা অন্যের হাতে—নাম না করে জয় শাহকে ইঙ্গিত করে তোপ দাগলেন মমতা !!
পাশাপশি সৌরভ রিচার ব্যাটিংয়ের প্রশংসা করে আরও বলেন, “আমি জানি তোমার কাজটা কতটা কঠিন, শেষের দিকে এসে বড় বড় শট খেলা সহজ নয়। আমি মনে করি, স্মৃতি-হারমানদের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কাজটা রিচা করেছে, সবাই জেমিমা ও হারমানের ব্যাটিংয়ে কথা বলবে তবে যেভাবে রিচা সেমিফাইনালে ও ফাইনালে উভয় ম্যাচে ব্যাটিং করেছে তা প্রশংসনীয়।” পাশাপাশি সৌরভ বিশ্বকাপ না জিততে পাড়ার আর্তনাদও প্রকাশ করেছেন।
সৌরভের গলায় আক্ষেপের সুর
মন্তব্য করে তিনি বলেন, “চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্ব আমি বুঝতে পারি। আমি যখন ভারতের ক্যাপ্টেন ছিলাম, আমি তিনটি আইসিসি ফাইনাল খেলেছি। প্রত্যেকবার আমি রানার্স হয়েছি। এদিকে রিচা বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ও ভালো ভাবেই বুঝবে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গুরুত্ব।” প্রসঙ্গত, সৌরভ গাঙ্গুলীর অভিনয় করতে ভারত তিনবার আইসিসি ফাইনাল খেলেছে দুইবার চ্যাম্পিয়ন ট্রফির মঞ্চে এবং একবার ওডিআই বিশ্বকাপে। ২০০০ সালের নকআউট ট্রফিতে ভারতীয় দল নিউজিল্যান্ডের কাছে পরাস্ত হয়েছিল এরপর ২০০২ সালে চ্যাম্পিয়ন ট্রফির ফাইনালটি বৃষ্টির কারণে ভেস্তে গিয়েছিল। তাছাড়া, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে পরাস্ত হয়েছিল ভারত।
