আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। মঙ্গলবার সকালে তাঁকে ভর্তি করা হয়েছে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। চিকিৎসক সপ্তর্ষি বসুর পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। গঙ্গোপাধ্যায় পরিবার সূত্রে খবর যে গতকাল রাত থেকেই অস্বস্তি বোধ করছিলেন স্নেহাশিস (Snehasish Ganguly)। পেটে যন্ত্রণা হচ্ছিলো তাঁর। মঙ্গলবার সকালে কোনো রকম ঝুঁকি না নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। স্নেহাশিসের স্ত্রী অর্পিতা গঙ্গোপাধ্যায় (Arpita Ganguly) সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, “সোমবার রাতে বাইরে থেকে খাবার আনানো হয়েছিলো। রাত থেকে পেটে ব্যথা শুরু হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় আর ঝুঁকি নিই নি। উডল্যান্ডস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। স্যালাইন ও ইঞ্জেকশন দেওয়া হয়েছে।”
Read More: টেস্ট থেকে বিদায় রোহিত শর্মার পরম বন্ধুর, ভিডিও শেয়ার করে শুভেচ্ছা বার্তা দিলেন হিটম্যান !!
চিকিৎসকদের প্রাথমিক ধারণা যে খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় (Snehasish Ganguly)। তবে ইঞ্জেকশন ও স্যালাইন দেওয়ার পর আপাতত স্থিতিশীল তিনি, খবর হাসপাতাল সূত্রে। গত ১১ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে বেঙ্গল প্রো টি-২০ লীগের দ্বিতীয় মরসুম। পুরুষ ও মহিলাদের টুর্নামেন্ট একসাথে আয়োজন করছে সিএবি। স্বয়ং সভাপতি অসুস্থ হয়ে পড়ায় রাজ্য ক্রিকেট সংস্থার উপর চাপ যে বেশ কয়েক গুণ বাড়বে তা নিশ্চিত। তবে এই মুহূর্তে তাঁকে চিকিৎসকদের পর্যবেক্ষনেই থাকতে হবে কয়েকদিন। ইতিমধ্যেই হাসপাতালে পৌঁছেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Sourav Ganguly) বাল্যবন্ধু তথা বাংলার প্রাক্তন ক্রিকেটার সঞ্জয় দাস। দাদাকে দেখতে কিছুক্ষণের মধ্যে সৌরভ নিজেও উডল্যান্ডস হাসপাতালে আসতে পারেন বলে খবর মিলেছে।
এই প্রথম নয়, এর আগেও পেটের সমস্যার কারণে ২০২১ ও ২০২৪ সালে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে স্নেহাশিস’কে (Snehasish Ganguly)। গত মাসে পুরীর লাউটহাউজ সৈকতে একটি নৌকায় প্রমোদসফর করার সময়েও দুর্ঘটনার শিকার হন সিএবি সভাপতি ও তাঁর স্ত্রী অর্পিতা। ঢেউয়ের ধাক্কায় উলটে গিয়েছিলো তাঁদের স্পিডবোটটি। লাইফগার্ডরা তৎপর থাকায় সে যাত্রায় রক্ষা পেয়েছিলেন তাঁরা। “৩১ বছর ধরে পুরী আসছি। এমনটা কখনও হয় নি। প্রভু জগন্নাথ ও মা চণ্ডির আশীর্বাদে জীবন ফিরে পেয়েছি,” দুর্ঘটনার পর সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন স্নেহাশিস (Snehasish Ganguly)। ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন লাইফগার্ডদেরও। “এটা আমাদের জন্য দ্বিতীয় জীবন। আমরা এখনও আতঙ্কের মধ্যে রয়েছি। ডুবে যাওয়া নৌকার নীচে আটকে পড়ার পর সব আশাই ছেড়ে দিয়েছিলাম,” বলেছিলেন তাঁর স্ত্রী অর্পিতা।