ভারতের বিরুদ্ধে এক দশক পর টেস্ট সিরিজ জিতেছে অস্ট্রেলিয়া (IND vs AUS)। অধিনায়ক হিসেবে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ, অ্যাসেজ, ওডিআই বিশ্বকাপ জয়ের পর ভারতের বিপক্ষে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি জিতে রেকর্ড গড়েছেন প্যাট কামিন্স (Pat Cummins)। দল’কে টানা দ্বিতীয় বার পৌঁছে দিয়েছেন বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। আগামী ১১ থেকে ১৫ জুন লর্ডসের বাইশ গজে লাল বলের শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের লড়াইতে ব্যাগি গ্রিন বাহিনী কামিন্সের অধিনায়কত্বে নামবে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। আর আগে অবশ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও (CT 2025) দায়িত্ব সামলাতে দেখা যাবে অজি তারকা’কে। একটানা ক্রিকেটের মাঝে দিনকয়েকের বিরতি নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের শেষে শ্রীলঙ্কা সফরে আসছে অস্ট্রেলিয়া (SL vs AUS)। সেখানে থাকছেন না কামিন্স। ব্যক্তিগত কারনে থাকছেন দেশেই।
Read More: ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে বাদ গৌতম গম্ভীর, নতুন হেড মাস্টার পাচ্ছে টিম ইন্ডিয়া !!
পিতৃত্বকালীন ছুটিতে কামিন্স-
২০২০-২১ মরসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরের মাঝপথে দেশে ফিরে এসেছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। কন্য ভামিকার জন্মের আগে ছিলেন পরিবারের সাথে। গত বছরের গোড়ায় ইংল্যান্ড সিরিজও তিনি খেলেন নি তিনি। দ্বিতীয় সন্তান অকায়ের জন্মের সময় ছিলেন পিতৃত্বকালীন ছুটিতে। সম্প্রতি পুত্রসন্তান অহানের জন্মের কারণে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে পার্থ টেস্ট খেলেন নি রোহিত শর্মা’ও (Rohit Sharma)। কোহলি-রোহিতদের পথে এবার হাঁটতে চলেছেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স’ও। তাঁর স্ত্রী বেকি বস্টন (Becky Boston Cummins) এই মুহূর্তে সন্তানসম্ভবা। দ্বিতীয় বার পিতা হতে চলেছেন কামিন্স। সেই কারণেই শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে গলের মাঠে আয়োজিত হতে চলা দুটি টেস্ট ম্যাচ থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে যে সময়টুকু পাবেন তা পরিবার ও সদ্যজাতের সাথেই কাটাতে চান বিশ্বকাপজয়ী তারকা।
সিডনি টেস্টে ভারতের বিরুদ্ধে যদি হেরে যেত অস্ট্রেলিয়া, তাহলে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (WTC) ফাইনালে পা রাখতে হলে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে অন্তত একটি ম্যাচ জিততেই হত তাদের। ‘মাস্ট উইন’ লড়াইতে সেক্ষেত্রে হয়ত মাঠে নামতেন কামিন্স (Pat Cummins)। কিন্তু এসসিজি’তে টিম ইন্ডিয়া’কে ৬ উইকেটে হারিয়েছে ব্যাগি গ্রিন বাহিনী। ইতিমধ্যেই লর্ডসের টিকিট নিশ্চিত তাদের। ২০২৩-২৫ টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের অন্তিম দু’টি টেস্ট তাই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ নয় অস্ট্রেলিয়ার জন্য। ফলে তিনি সরে দাঁড়ালে বড়সড় সমস্যার মুখে পড়তে হবে না দল’কে। সাইড স্ট্রেনের কারণে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফির অধিকাংশ ম্যাচ খেলতে পারেন নি জশ হ্যাজেলউড (Josh Hazlewood)। শ্রীলঙ্কাতে হয়ত নেই তিনিও। মিচেল স্টার্কের সাথে দ্বিতীয় পেসার হতে পারেন স্কট বোল্যান্ড। নাথান লিয়ঁ’র সাথে দ্বিতীয় স্পিনার হতে পারেন টড মার্ফি।
অধিনায়ক হচ্ছেন স্টিভ স্মিথ-
প্যাট কামিন্সের অনুপস্থিতিতে অস্ট্রেলিয়া টেস্ট দলের অধিনায়কত্ব সামলাতে চলেছেন স্টিভ স্মিথ (Steve Smith)। পূর্ণ সময়ের নেতা থাকার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। ২০১৮ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কুখ্যাত ‘স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারি’তে নাম জড়িয়েছিলো তাঁর। ক্যামেরন ব্যানক্রফট ও ডেভিড ওয়ার্নারের সাথে নির্বাসিত হয়েছিলেন তৎকালীন অজি অধিনায়ক স্মিথ’ও। এক বছর মাঠ থেকে দূরে থাকার পর জাতীয় দলে ফিরেছেন ঠিকই, কিন্তু পূর্ণ সময়ের নেতৃত্ব আর ফিরে পান নি। তবে স্থায়ী অধিনায়কের অবর্তমানে তাঁর কাঁধেই দায়িত্ব তুলে দেয় ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (CA)। ২০২১ ও ২০২২-এ ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দুটি টেস্টে অন্তর্বর্তীকালীন দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০২৩-এ ভারতের বিরুদ্ধে দুটি টেস্ট ও ওডিআই সিরিজে তিনি ছিলেন দলের দায়িত্বে। শ্রীলঙ্কা সফরে নেতৃত্বের পাশাপাশি ১০০০০০ টেস্ট রানের মাইলস্টোন স্পর্শ করারও হাতছানি রয়েছে স্মিথের (Steve Smith) সামনে।