অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের চেয়ে একদিনের ক্রিকেটে ভারত অধিনায়ক বিরাট বিরাট কোহলি ব্য়াটসম্য়ান হিসেবে এগিয়ে। বুধবার (১৩ সেপ্টেম্বর) একটি বেসরকারি ভারতীয় সংবাদমাধ্য়মকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এই কথা বলেছেন অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। তাঁকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ব্য়াটসম্য়ান হিসেবে কে বেশি এগিয়ে, ভারতের বিরাট, না তাঁর স্বদেশীয় স্মিথ। তাতে ক্লার্ক তাঁর মন্তব্য় রাখেন, ”একদিনের ক্রিকেটে স্মিথের চেয়ে বিরাট খানিকটা এগিয়ে ব্য়াটসম্য়ান হিসেবে। তবে, টেস্ট ক্রিকেটে স্মিথ এগিয়ে। আর বিরাট পিছিয়ে।” তবে, নেতা হিসেবে দু’জনকে একই মার্কস দিয়েছেন ক্লার্ক। বললেন, ”অধিনায়কত্ব করার দিক থেকে দু’জনেই সমান সমান। দু’জনেই উন্নতি করছে। এই মুহূর্তে বিরাটকে উপরে রাখতে হবে। কারণ, ওর দল এখন জিতছে। তবে, ব্য়ক্তিগত পরিসংখ্য়ানকে কখনই অস্বীকার করা যায় না, সে তোমার দল জিতুক, কি না জিতুক।” আসন্ন ভারত-অস্ট্রেলিয়া সীমিত ওভারের ক্রিকেট সিরিজে ক্লার্ক ধারাভাষ্য়কারের ভূমিকায় দেখা যাবে। সেজন্য়ই তিনি এখন ভারতে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অস্ট্রেলিয়া যখন টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে এসেছিল, ভারতের সর্বকালের সেরা অফ-স্পিনার হরভজন সিং মন্তব্য় করেছিলেন, স্টিভ স্মিথের দলটা সবথেকে দুর্বল অজি দল। অস্ট্রেলিয়াক ৪-০ ফলে হোয়াইটওয়াশ করে বাড়ি পাঠাবে ভারত। অনেকে আগ বাড়িয়ে ভাজ্জির এই মন্তব্য় করাকে বোলতার চাঁকে ঢিল মারা হিসেবে দেখেছিলেন। সিরিজে জিতলেও, তা ২-১ ফলে গিয়েছিল ভারতের পক্ষে। ক্লার্কের সামনেও সেই প্রশ্নই রাখা হয়েছিল, স্মিথের দলটা সত্য়ি কি সবচেয়ে দুর্বল দল অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট ইতিহাসের? কারণ, এবার চ্য়াম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল পর্যন্ত যেতে পারেনি স্মিথের দল। তাতে ক্লার্ক হাসতে হাসতে বলেন, ”আমি বোকা হতে পারি। কিন্তু, আগামিকাল প্রথম পাতায় হেডলাইন করে ছাপার মতো বোকাবোকা উত্তর আমি দেবো না।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক এরপর বলেন, ”অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে এটা একটা ভাল সুযোগ, ধারাবাহিকতা দেখানোর। যে দলটা ভারতে খেলতে এসেছে, তাতে প্রতিভার কোনও অভাব নেই। শুধু প্রতিভাটা মাঠে বের করে আনতে হবে।” সৌরভ গাঙ্গুলির আমলে ভারতকে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে দেখা যেত। বিরাট আমলেও ভারতীয় দল সমান আগ্রাসী। এব্য়াপারে সৌরভের সঙ্গে বিরাটের অনেক মিল খুঁজে পেয়েছেন ক্লার্ক।
ভারত সফরে এবার অস্ট্রেলিয়ান টিমে দুই পেস বোলার মিচেল স্টার্ক ও জশ হেজেলউড নেই। দু’জনেই চোটের কারণে দলের বাইরে। এই দু’জনের অভাব ভারত সফরে অস্ট্রেলিয়ান টিম অনুভূত করবে বলে মনে করছেন ২০১৫ বিশ্বকাপজয়ী অস্ট্রেলিয়ান ক্য়াপ্টেন। যদিও অস্ট্রেলিয়ান দলের কাছ থেকে ভালো ক্রিকেট প্রত্য়াশা করছেন ক্লার্ক। বললেন, ”২০১৯ বিশ্বকাপ এখনও অনেক দূরে। কিন্তু, অস্ট্রেলিয়া এখনও পর্যন্ত এমন কিছু করে দেখায়নি, যা থেকে বলা যেতে পারে, আমরা প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছি। ভারত সফরে দল কোটার পুরে পঞ্চাশ ওভার ব্য়াট করবে, এ ব্য়াপারে আমার আস্থা রয়েছে। আইপিএলে খেলার সুবাদে ভারতের পরিবেশ অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটারদের আগে থেকেই জানা। তাই অচেনা পরিবেশ বলে কোনওরকম অজুহাত আনতে পারবে না কেউ।”
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বিরাটকে নিয়ে যা বললেন , ভারতীয় হিসাবে আপনি গর্ববোধ করবেন
