বাংলাদেশকে উইকেটে পরাস্ত করেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির প্রথম ম্যাচ জয়লাভ করল টিম ইন্ডিয়া ভারতীয় দল টুর্নামেন্টের সূচনা বেশ দারুণভাবে করে ফেললো। আজকের ম্যাচের কথা বলতে গেলে, টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং করতে এসে পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারেই পাঁচ উইকেট হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ দল। তবে, বাংলাদেশ দলের হয়ে তৈহিদ হৃদয় (Towhid Hriday) এবং জাকের আলী (Jaker Ali) অসাধারণ ফাইট ব্যাক দেখান। ২০৬ বলে ১৫৪ রানের পার্টনারশিপ গড়ে ওঠে দুজনের মধ্যে।
বাংলাদেশ দল নির্ধারিত ৫০ ওভারের মধ্যে ৪৯.৪ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ফেলে। দলের হয়ে ১০০ রানের ইনিংস খেলেন হৃদয় এবং ৬৮ রানের অসাধারণ ইনিংস খেলেন জাকের। বাংলাদেশ দল ভারতের সামনে ২২৯ রানের লক্ষমাত্রা রেখেছিল। রান তাড়া করতে এসে পাওয়ার প্লের প্রথম ১০ ওভারে পুরোপুরি ফায়দা তোলেন রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও শুভমান গিল (Shubman Gill) দুজনেই। ক্যাপ্টেন রোহিত ৩৬ বলে ৭টি বাউন্ডারির বিনিময়ে ৪১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। তবে, আজকের ম্যাচে আবার একবার ভক্তদের হতাশ করলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। ৩৮ বলে ২২ রান বানিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন কোহলি।
Read More: Shubman Gill: শুভমান গিলের শতরান, ২১ বল বাঁকি থাকতে বাংলাদেশকে দুরমুশ করলো টিম ইন্ডিয়া !!
শতরান হাঁকিয়ে ভারতের জয় সুনিশ্চিত করলেন শুভমান গিল

ফর্মে থাকা আইয়ার ১৫ রানে হারান নিজের উইকেট এবং অক্ষরও আজ ছন্দ দেখাতে পারেননি। ৮ রানে হারান নিজের উইকেট। তবে, ভারতীয় দলের হয়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি হাঁকালেন শুভমান গিল। ১২৯ বলে ৯টি চার ও ২টি ছক্কায় ১০১ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলেন এবং ৪৭ বলে ১টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪১ রানের ইনিংস খেলে ভারতের ৬ উইকেটে জয় সুনিশ্চিত করলো।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অসাধারণ ব্যাটিংয়ের সুবাদে শুভমান গিল হয়েছেন আজকের ম্যাচের সেরা। ম্যাচের সেরা হয়ে মন্তব্য করে তিনি বলেছেন, “নিঃসন্দেহে (এটি) আমার খেলা সবচেয়ে সন্তোষজনক ইনিংসগুলির মধ্যে একটি। আমি এবং রোহিত ভাই যখন মাঠে নেমেছিলাম তখন আমরা কাট খেলতে চাইনি। যে কারণে আমি ফাস্ট বোলারদের জন্যও আমার পা দিয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। যখন বিরাট ভাই এসেছিলেন, তখন সামনের পায়ের বল গুলি খেলা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছিল। (শতরানের আগের দুই বাউন্ডারি) আমাকে আত্মবিশ্বাস দিয়েছিল, প্রথমটি আমাকে অনেক আত্মবিশ্বাস দিয়েছে এবং দ্বিতীয়টি আমাকে আমার শতরানের কাছাকাছি যেতে সাহায্য করেছে, তাই দুটোই সন্তোষজনক।”