Shubman Gill: এজবাস্টননের মাটিতে ইংলান্ডকে পরাস্ত করে নতুন ইতিহাস গড়লো ভারতীয় দল। এই প্রথম বারের জন্য টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে ভারতীয় দল এই ভ্যানুতে জয় সুনিশ্চিত করে নিয়েছে। টেস্ট দলের অধিনায়কতত্ব পেতেই শুভমান গিলকে নিজে নেট মাধ্যমে বেশ চর্চা চলসহিল। বিশেষব করে ঘরের বাইরের সেনা দেশে অর্থাৎ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এই দেশে গিলের গড় ভারতীয় দলের তারকা পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের (Bhuvneshwar Kumar) থেকেও কম ছিল। তবে প্রথম দুই ম্যাচ মিলিয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৫০০’এর বেশি রান বানিয়ে ফেলেছেন শুভমান।
এজবাস্টনে টেস্ট জিতলো ভারত

ক্রিকেট সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার খেলা। আর ২০২৫ সালে ট্রফি বিহীন দল গুলোও ট্রফির স্বাদ নিচ্ছে। এবারের আইপিএল যেমন আরসিবি জিতেছে তেমন দক্ষিণ আফ্রিকা ২৭ বছর পর আইসিসি খেতাব (বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ) জয় করেছে। এদিন ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্ট শুরুর আগেই টসের সময়ে শুভমান বলেছিলেন যেভাবে এবছর ট্রফি না জিততে পারা দল গুলো ট্রফি জিতছে তেমন ভারত ও এজবাস্টনে প্রথম বার জিততে পারে। শুভমান গিলের (Shubman Gill) নেতৃত্বে একবাস্টনে প্রথমবার টেস্ট জয়ের স্বাদ পেয়েছে ভারত। এমন দুর্ধর্ষ জয়ের পর সাংবাদিক সম্মেলনে ভারত অধিনায়কের স্পষ্টবাদী অবতারের আবির্ভাব ঘটল। সেখানে তিনি সেই সমস্ত সাংবাদিকদের খুঁজছিলেন যারা কিনা ভারতীয় দলকে তুচ্ছ করেছিল।
Read More: TOP3: ৩টি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা যা মহেন্দ্র সিং ধোনির বায়োপিকে লুকানো হয়েছে !!
সাংবাদিককে একহাত নিলেন শুভমান

সংবাদ সম্মেলনীতে গিল (Shubman Gill) বলেন, “কোথায় গেলেন আমার প্রিয় সাংবাদিক ? তাকে তো দেখছি না। তাকে এখানে (দেখতে পাওয়ার) আশা করে ছিলাম।” গিল আরও বলেন, “ইতিহাসের পরিসংখ্যান নিয়ে আমি বেশি বিশ্বাসী নই। সিরিজ শুরুর আগেও আমি এটা বলেছিলাম। এই ভ্যানুতে গত ৫৬ বছরে ভারত খেলেছে ৯টি টেস্ট, অনেক দলও এখানে খেলেছে। আমার মনে হয়, ইংল্যান্ডে আসা সেরা ভারতীয় দল এটাই। ওদের হারিয়ে সিরিজ জয় করার ক্ষমতা রয়েছে আমাদের। নিজেদের সেরাটা দেখাতে পারলেই আমরা সিরিজ জিতে গর্বের সাথে দেশে ফিরতে পারি।”
প্রসঙ্গত, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে উভয় ইনিংসেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন শুভমান গিল। প্রথম ইনিংসে ২৬৯ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলেন শুভমান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে তাঁর ব্যাট থেকে এসেছিল ১৬১ রান। ইংল্যান্ড দলের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে তাঁর এই প্রদর্শনের পর তাকেই ম্যাচ সেরার পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, শুভমান গিলের আত্মবিশ্বাসের ঝলক দেখে অনুতাপে ভুগছেন হয়তো সাংবাদিক।