ওভালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল ম্যাচ চলাকালীন বিতর্কিত আউটের পরিপ্রেক্ষিতে শুভমান গিল (Shubman Gill) তার সামাজিক মিডিয়া পোস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক রিকি পন্টিং এবং জাস্টিন ল্যাঙ্গারের সমালোচনার মুখে পড়েছেন। ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে গিল এমন একটি সিদ্ধান্তের শিকার হন যা ক্রিকেট বিশ্বকে বিভক্ত করে দেয়। ২৩ বছর বয়সী গিল এবং অধিনায়ক রোহিত শর্মা চতুর্থ দিনে জয়ের জন্য ৪৪৪ রান তাড়া করতে নেমে ভারতকে একটি দুর্দান্ত সূচনা দেন।
সাসপেন্ড হতে পারেন গিল
তবে এরপরই ঘটে ছন্দপতন। গিল স্লিপে ক্যাচ আউট হলেও তার ক্যাচ নিয়ে অনেক বিতর্ক হয়। স্লিপে অস্ট্রেলিয়ান অলরাউন্ডার ক্যামেরন গ্রিনের হাতে ধরা পড়েন গিল। গিলের ক্যাচ ধরতে গিয়ে মনে হচ্ছিল বল মাটিতে ছুঁইয়ে ফেলেন ক্যামেরন গ্রিন।
এ নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে যান ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। একটি হল তারা যারা এটিকে পরিষ্কার ক্যাচ হিসাবে বিবেচনা করেন এবং অন্যরা তারা যারা এটিকে আউট হিসাবে বিবেচনা করতে পারছিলেন না। তবে গিলের এই ক্যাচের সিদ্ধান্ত নেন তৃতীয় আম্পায়ার। থার্ড আম্পায়ার গিলকে আউট ঘোষণা করেন। তার উইকেটের পর, শুভমান গিল নিজেই ইনস্টাগ্রাম এবং টুইটারের মাধ্যমে ক্যাচের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এই নিয়ে রিকি পন্টিং গিলকে নিষিদ্ধ বা জরিমানা করার কথা বলেছিলেন।
গিলের টুইট নিয়ে কী বললেন পন্টিং?
ক্রিকেট সেভেন-এর সাথে কথা বলার সময় রিকি পন্টিং বলেছিলেন যে আম্পায়ারকে সরাসরি আক্রমণ করার জন্য গিলকে জরিমানা করা হতে পারে। পন্টিং বলেন, “একরকম জরিমানা বা সাসপেনশন হতে পারে। এটি আম্পায়ারের উপর সরাসরি আঘাত এবং আপনি এটি কখনই করতে পারেন না।” শুভমান গিল WTC ফাইনালে পুরোপুরি ব্যর্থ হন। দুই ইনিংসেই তিনি হতাশ করেন। প্রথম ইনিংসে ২টি চারের সাহায্যে ১৩ রান এবং দ্বিতীয় ইনিংসে ২টি চারের সাহায্যে ১৮ রান করেন গিল
একই সুর শোনা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারএর গলাতেও। তিনিও একই চ্যানেলকে বলেছেন, “আজকের ক্রিকেটারদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হল সোশ্যাল মিডিয়ার প্রাধান্য। আমি মনে করি গিলের টুইটটি একটু দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং কিছু অনভিজ্ঞতা ছাপ রয়েছে। বর্তমান বিশ্বে আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার সঙ্গে বসবাস করছি।”