টেস্টের পর এবার ওয়ানডেতেও ভারতের নেতৃত্বের ব্যাটন উঠে গেল শুভমান গিলের (Shubman Gill) হাতে। বড় দুই ফরম্যাটে ভারতের নেতৃত্ব সামলাচ্ছেন গিল। এবার ওডিআই দলের নেতা হওয়ার পর প্রথম বারের জন্য সংবাদ সম্মেলনে আসলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টটি আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলেছে। আর এই টেস্টের আগেই সংবাদ সম্মেলনে এসে বড় বয়ান দিলেন শুভমান। সদ্যই ওডিআই ফরম্যাট থেকে নেতৃত্ব হারিয়েছেন রোহিত শর্মা। যদিও তিনি এখনো দলে আছেন। দলে আছেন বিরাট কোহলিও। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ওডিআই সিরিজে নামতে চলেছেন দুজনেই। এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে – রোহিত ও বিরাট কি তাহলে ২০২৭ সালের বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় আর নেই?
ওডিআই ক্যাপ্টেন হয়ে আশাবাদী শুভমান

এই প্রসঙ্গেই শুভমান গিলের (Shubman Gill) উত্তর ছিল স্পষ্ট এবং আত্মবিশ্বাসী। সমস্ত জল্পনা উড়িয়ে দিয়ে তিনি বলেন, “রোহিত ভাই আর বিরাট ভাই আমাদের দলের অমূল্য সম্পদ। ওঁরা অভিজ্ঞ, তাঁদের নেতৃত্ব ও ম্যাচ জেতানোর মানসিকতা খুবই কম সংখ্যক ক্রিকেটারদের মধ্যেই দেখা যায়। ভারতীয় ক্রিকেটের গর্ব তাঁরা। তাদের দুজনকেই আগামী বিশ্বকাপের পরিকল্পনায় রাখা হয়েছে।” গিল আরও বলেছেন, “রোহিত ভাইয়ের কাছ থেকে আমি অনেক কিছু শিখেছি। তিনি শান্ত মেজাজে সব সিদ্ধান্ত নিতেন। দলের মধ্যে একধরনের পারিবারিক পরিবেশ গড়ে তুলেছিলেন তিনি। আমিও সেই একই ভাবে দলকে নেতৃত্ব দিতে চাই। তিনি আমার কাছে কেবলমাত্র একজন সিনিয়র নন। তিনি আমার একজন আদর্শ অধিনায়কও বটে।“
Read More: বন্ধুর বউয়ের সাথে চুটিয়ে প্রেম, জানাজানি হতেই মুখ পুড়লো BCCI প্রেসিডেন্টের !!
রোহিত বিরাটকে নিয়ে দিলেন বড় বয়ান

শুভমানের নেতৃত্বে সম্প্রতি ইংল্যান্ড সফরে টেস্ট সিরিজ ড্র করেছে ভারত। এখনও পর্যন্ত তিনি ৬ টেস্টে ভারতকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর নেতৃত্বে ভারত জিতেছে ৩টি ম্যাচ, ২টি ম্যাচে হেরেছে এবং একটি ড্র করেছে। নতুন প্রজন্মের নেতৃত্ব দানে তিনি দলকে এক অন্য ছন্দে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, সেটাই এখন স্পষ্ট। এদিকে, অজিভূমিতে শুরু হতে চলেছে ভারতের ওয়ানডে সফর। ১৯ অক্টোবর থেকে পার্থ স্টেডিয়ামে শুরু হচ্ছে ভারতীয় দলের অভিযান। আসন্ন ২০২৭ বিশ্বকাপকে মাথায় রেখে অজি সফর হয়ে উঠতে চলেছে ভারতের কাছে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে শুভমানের নেতৃত্বে নতুন ভারতীয় দলের সূচনা তো অন্যদিকে দলের দুই সিনিয়র খেলোয়াড় রোহিত শর্মা (Rohit Sharma) ও বিরাট কোহলির (Virat Kohli) ২০২৭ সালের বিশ্বকাপ পর্যন্ত টিকে থাকা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠেছে।