IPL 2025: আজ আইপিএল ২০২৫’এর ২৮তম ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস এবং গুজরাত টাইটান্স (LSG vs GT)। দুই দলের হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে জয় সুনিশ্চিত করেছে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। তবে আজকের ম্যাচে আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। একাধিকবার আবেদন করলেও সাড়া দেননি আম্পায়ার।
আম্পায়ারদের সিদ্ধান্তে অসন্তুষ্ট ছিলেন গুজরাতের ক্যাপ্টেন শুভমন গিল। একাধিক বার আবেদন করেও আম্পায়ারের থেকে কোনো সাড়া পাননি গিল। যে কারণে লখনউ সুপার জায়ান্টসের ইনিংসের ১৯তম ওভারের দিকে বিরক্তি প্রকাশ করেছিলেন শুভমান। আম্পায়ারের সাথে হালকা বাদানুবাদেও জড়িয়ে পড়েছিলেন শুভমানও।
Read More: IPL 2025, LSG vs GT Highlights: একানায় উঠলো পুরান ঝড়, ছয় উইকেটে মৌসুমের চতুর্থ জয় ছিনিয়ে নিলো লখনৌ !!
আম্পায়ারের সাথে বাদানুবাদে জড়িয়ে পড়েন শুভমান গিল

আইপিএলের (IPL 2025) নতুন নিয়ম অনুযায়ী, ১৬ ওভারের পর বল বদলের আবেদন করতে পারেন বোলিং দলের অধিনায়ক। আসলে আইপিএল চলাকালীন কিংবা অন্যন্য ম্যাচ চলাকালীন দ্বিতীয় ইনিংসে বল শিশিরের কারণে ভিজে যেতে দেখা যায়। আর তাতে সংকটে পড়তে হয় দলের বোলারদের। তাতে বাড়তি সুবিধা পেয়ে যান প্রতিপক্ষ দলের ব্যাটারেরা। এই সুবিধা বন্ধ করতেই নতুন নিয়ম নিয়ে এসেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)।
আবার বোলিং দলের অধিনায়ক আপিল করলেই যে বল পাবে এমনটাও নয়। পরিস্থিতি বুঝে বল পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেবেন মাঠের আম্পায়াররা। শনিবার লখনউ বনাম গুজরাত ম্যাচে দুই ফিল্ড আম্পায়ার ছিলেন উল্লাস গান্ধী এবং কান্নুর স্বরূপানন্দ। তাদের কাছে গুজরাত দলের অধিনায়ক শুভমান গিল একাধিক বার বল বদলের অনুরোধ জানান। লখনৌয়ের ইনিংসের ১৮তম ওভারে আম্পায়ারের কাছে বারবার অভিযোগ জানান শুভমান, তবে আম্পায়ারেরা তাঁকে ফিরিয়ে দেন। আবার সেই ওভারের মাঝামাঝি সময় শুভমান আবার আবেদন করেন। তবে আবার একবার গিলকে ফিরিয়ে দেন দুই আম্পায়ার।
গিলের আর্জি খারিজ করেন আম্পায়াররা

এরপর ১৯তম ওভার শেষ হওয়ার পর একই অনুরোধ নিয়ে আম্পায়ারের কাছে যান গুজরাত অধিনায়ক। তবে এবারেও বল পরীক্ষা করে শুভমানের আবেদন খারিজ করেন আম্পায়াররা। আম্পায়ারের নেওয়া সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করেন শুভমান, এমনকি আম্পায়ারদের সঙ্গে হাল্কা বাদানুবাদের পরিস্থিতিও তৈরি হয়েছিল। লখনৌ ও গুজরাতের ম্যাচটি দুপুর ৩.৩০ এ চালু হয়েছিল যা সন্ধ্যা ৭.১৫’এর মধ্যেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই এই সময়ের মধ্যে শিশির কোনো বড় সমস্যা বলে মনে করেননি আম্পায়াররা। সে কারণেই সম্ভবত শুভমনের বল পরিবর্তনের আর্জি ফিরিয়ে দিয়েছিলেন আম্পায়াররা।