অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টিম ইন্ডিয়ার (Team India) একাদশে জায়গা হারিয়েছেন শুভমান গিল (Shubman Gill)। পাঞ্জাবের তরুণ ক্রিকেটার দ্বিতীয় ও তৃতীয় টেস্ট ম্যাচে ব্যাট করেছিলেন পছন্দের তিন নম্বরে। কিন্তু এরপর মেলবোর্নে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচে তাঁকে বাদ দেওয়া হয়। টিম কম্বিনেশনের জন্যই রিজার্ভ বেঞ্চে শুভমান, সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বীকার করে নিয়েছিলেন সহকারী কোচ অভিষেক নায়ার (Abhishek Nayar)। আগামীকাল থেকে শুরু হতে চলা সিডনি টেস্টে তিনি জায়গা ফিরে পাবেন কিনা সেদিকেই নজর এখন সকলের। সুযোগ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তার মাঝেই সংবাদমাধ্যমের ফোকাসে শুভমানের (Shubman Gill) মাঠের বাইরের জীবন। চিট ফাণ্ড সংস্থার বিশাল দুর্নীতিতে নাম জড়ালো ক্রিকেট তারকার। তাঁর সঙ্গে সিআইডি তদন্তের আওতায় আসতে চলেছেন গুজরাত টাইটান্স ফ্র্যাঞ্চাইজির আরও তিন ক্রিকেটার।
Read More: নতুন বছরের শুরুতেই বদলে গেলো ‘অধিনায়ক’, পদ ছাড়ার সাফ ঘোষণা ক্যাপ্টেনের !!
চিট ফাণ্ডে টাকা খুইয়েছেন শুভমান-
বড়সড় চিট ফাণ্ড দুর্নীতির পর্দাফাঁস করলো গুজরাত সিআইডি’র ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ইতিমধ্যেই ধরা পড়েছেন পঞ্জি স্কিমের মাথা ভূপেন্দ্রাশীষ জ্বালা (Bhupendrasish Zala)। তাঁকে জেরা করেই নাম মিলেছে শুভমানের (Shubman Gill)। এছাড়াও গুজরাত টাইটান্স দলে তাঁর তিন সতীর্থ মোহিত শর্মা (Mohit Sharma), রাহুল তেওয়াটিয়া (Rahul Tewatia) ও সাই সুদর্শনের (B.Sai Sudharshan) নাম’ও পাওয়া গিয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের পর। জেরার মুখে ভূপেন্দ্রাশীষ স্বীকার করেছেন যে ১.৯৫ কোটি টাকা তাঁর চিট ফাণ্ডে বিনিয়োগ করেছিলেন গুজরাত টাইটান্স (GT) অধিনায়ক। বাকি তিন ক্রিকেটার কত টাকা বিনিয়োগ করেছিলেন সে সম্পর্কে কোনো তথ্য এখনও পর্যন্ত সামনে আসে নি। তবে শুভমানের চেয়ে তেওয়াটিয়া, মোহিত শর্মা বা সাই সুদর্শনদের বিনিয়োগ করা অর্থের পরিমাণ কম বলেই জানা গিয়েছে।
ভূপেন্দ্রাশীষের চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট রুষিক মেহতাকে (Rushik Mehta) ডেকে পাঠানো হয়েছে। “যদি মেহতা এই ঘটনায় জড়িত থাকেন তাহলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আমরা অ্যাকাউন্ট্যান্টদের একটি দলগঠন করেছি, যারা ব্যাঙ্ক লেনদেন ও জ্বালার গোপন হিসেবের খাতা খতিয়ে দেখছেন। ওনার গোপন হিসেবের খাতাটি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে এবং সোমবার থেকে বেশ কিছু জায়গায় তল্লাশিও চালানো হয়েছে,” সংবাদপত্র আহমেদাবাদ মিরর’কে জানিয়েছেন সিআইডি’র এক শীর্ষকর্তা। প্রথমে মনে করা হয়েছিলো দুর্নীতি হয়ে থাকতে পারে ৬০০০ কোটি টাকার। কিন্তু পরে তদন্তে উঠে এসেছে নয়া তথ্য। জানা গিয়েছে যে ৬০০০ কোটি নয় বরং চিট ফাণ্ডের মাধ্যমে নয়ছয় হয়েছে ৪৫০ কোটি টাকা। তবে টাকার অঙ্ক এখনও বাড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দিচ্ছেন না সিআইডি কর্তারা।
পুলিশি জেরার মুখে পড়বেন শুভমান’রা-
দুর্নীতিতে টাকা খোয়ানো চার ক্রিকেটার’ও রয়েছেন সিআইডি তদন্তের আওতায়। দিনকয়েকের মধ্যেই তাঁদের ডেকে পাঠানো হতে পারে বলে জানিয়েছে সংবাদপত্র আহমেদাবাদ মিরর। পুলিশি জেরার সম্মুখীন হতে হবে তাঁদের। ভূপেন্দ্রাশীষ ছাড়াও মেহসানা অঞ্চলের রাজনৈতিক নেতা কিরণ সিং চৌহানকে (Kiran Singh Chauhan) নিজেদের হেফাজতে নিয়েছে গুজরাত সিআইডি’র ক্রাইম ব্রাঞ্চ। দুর্নীতির ‘কিংপিন’কে দাবাড়া গ্রামে নিজের ফার্মহাউজে আশ্রয় দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। স্থানীয় ক্ষত্রিয় সেনার প্রেসিডেন্ট কিরণ সিং চৌহান। তাঁর সাথে ভূপেন্দ্রাশীষের (Bhupendrasish Zala) দীর্ঘদিনের সম্পর্ক রয়েছে বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারী অফিসারেরা। কিরণের মামা একসময় মেহসানা অঞ্চলের জাতীয় কংগ্রেস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। বর্তমানে তিনি কর্ণি সেনা নামে একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সাথে যুক্ত।