আইপিএল ২০১৯এর এলিমিনেটর ম্যাচে দিল্লি ক্যাপিটালসের মুখোমুখি হয়েছিল সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ। দিল্লির অধিনায়ক শ্রেয়শ আইয়ার এই ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে বল করার সিদ্ধান্ত নেন। প্রথমে বল করে দিল্লি দল হায়দ্রবাদকে ১৬২ রানে আটকে দেয়। এরপর দিল্লির দল শেষ ওভারে ২ উইকেট বাকি থাকতেই এই ম্যাচে জয় লাভ করে।
শ্রেয়শ আইয়ার প্রকাশ করলেন খুশি
দিল্লি ক্যাপিটালসের তরুণ অধিনায়ক শ্রেয়স আইয়ার দুর্দান্ত অধিনায়কত্ব করেছেন। তরুণ অধিনায়ক দিল্লিকে ২০১২র পর প্রথমবার প্লে অফে তুলেছেন। এলিমিনেটর ম্যাচে জয় হাসিল করার পর আইয়ার বলেন,
“আমি নিজের আবেগকে ব্যক্ত করতে পারব না। এমন মনে হচ্ছে যেন আমি গত ২ বছর ধরে বসে অনেক বছর ধরে দেখছি। আমি সবার মুখে খুশি দেখতে পাচ্ছি। চেন্নাইয়ের বিরুদ্ধে আরো একটি জয়ের আশা রয়েছে। আমরা পরের ম্যাচের দিকে দেখছি”।
এই খেলোয়াড়দের নিয়ন্ত্রন করতে পারেন না
দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে এই ম্যাচে অমিত মিশ্রা দুর্দান্ত বোলিং করেছেন। অন্যদিকে তরুণ পৃথ্বী শ আর ঋষভ পন্থ দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। জয়ে এই দুই খেলোয়াড়ের যোগদানের ব্যাপারে শ্রেয়স আইয়ার বলেন,
“মিসি ভাই অসাধারণ ছিলেন কারণ তিনি মাত্র ১৫ রান দিয়েছেন। অন্য বোলাররাও ভাল প্রদর্শন করেছেন। আমার ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয় যে আপনি ওদের (পন্থ আর পৃথ্বী শ) নিয়ন্ত্রিত করতে পারেন না। যখন আপনি পন্থ বা পৃথ্বীর মত ব্যাটসম্যানদের আটকান তো এটা তাদের মাথা আর তাদের প্রবাহকে বাধা প্রদান করে”।
প্রথমবার জিতেল প্লে অফ ম্যাচ
দিল্লি ক্যাপিটালস আইপিএল ২০০৮ থেকে লাগাতার এই টুর্নামেন্ট খেলছে কিন্তু আজ পর্যন্ত তারা প্লে অফের কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি। এটাই প্রথমবার যখন এই দল প্লে অফের কোনো ম্যাচে জয়লাভ করল।
এই দল ২০০৮,২০০৯ আর ২০১২য় প্লে অফে পৌঁছেছিল। ২০০৮ আর ২০০৯ এ তারা সেমিফাইনালে হেরে গিয়েছিল অন্যদিকে ২০১২য় প্রথম কোয়ালিফায়ার আর ফের কোয়ালিফায়ার ২এও তারা হেরে গিয়েছিল।