চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) নিয়ে জলঘোলার কারণে ভারত বনাম পাকিস্তান ক্রিকেটীয় সম্পর্ক এই মুহূর্তে এমনিতেই তলানিতে। বিতর্ক আরও বাড়ালো শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar) একটি মন্তব্য। আইসিসি’র টুর্নামেন্ট খেলতে পড়শি দেশে যাবে না টিম ইন্ডিয়া। নিজেদের অবস্থান আগেই স্পষ্ট করেছিলো বিসিসিআই। হাইব্রিড মডেল চেয়ে আইসিসি’র কাছে সওয়াল করেছিলেন রজার বিনি’রা। রাজী ছিলো না পিসিবি। একাধিক বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছিলো তারা। গত কয়েক মাস ধরে বিস্তর দড়ি-টানাটানি চলার পর গত শুক্রবার একটি বৈঠকে সমাধানসূত্র মেলার ইঙ্গিত পাওয়া গিয়েছে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে যে জোড়া শর্তের বিনিময়ে হাইব্রিড মডেলে সায় দিয়েছে পাক বোর্ড। এই বিষয়েই একটি টিভি চ্যানেলের টক্-শো’তে মুখ খুলেছিলেন শোয়েব (Shoaib Akhtar)। তখনই হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন তিনি।
Read More: IPL 2025: আনুগত্যের নজির গড়লেন আন্দ্রে রাসেল, বিশাল টাকার প্রস্তাব ফিরিয়ে থাকলেন KKR-এ !!
শোয়েবের বক্তব্য ঘিরে শুরু বিতর্ক-
শেষমেশ হাইব্রিড মডেলে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) আয়োজনের ব্যাপারে সম্মতি দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। ভারতের ম্যাচগুলি সম্ভবত সরে যাচ্ছে সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে। সেমিফাইনাল বা ফাইনাল ম্যাচে যদি ভারত পা রাখে তাহলে সেগুলিও মধ্যপ্রাচ্যেই হবে। বিনিময়ে দুটি জিনিস নাকি চেয়েছে পাক বোর্ড। আইসিসি’র লভ্যাংশ থেকে এই মুহূর্তে ৫.৭৫ শতাংশ পায় তারা। সেই হার বাড়িয়ে ৭ শতাংশ বা তার বেশী করার দাবী জানিয়েছে তারা। আর ২০৩১ অবধি ভারতে দল পাঠানোর ক্ষেত্রে অসম্মতি জানিয়েছে পিসিবি। যে কয়টি বহুদলীয় প্রতিযোগিতার আয়োজন হিসেবে ভারত রয়েছে, সেগুলতেও হাইব্রিড মডেলের দাবী করেছে তারা। পিসিবি’র জোড়া প্রস্তাবের মধ্যে প্রথমটি মনঃপুত হয়েছে শোয়েব আখতারের (Shoaib Akhtar)। তবে দ্বিতীয়টি সঠিক নয় বলে মনে করছেন তিনি।
এক পাকিস্তানী সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শোয়েব (Shoaib Akhtar) বলেন, “আপনি আয়োজক স্বত্ব ও লভ্যাংশ পাচ্ছেন। সেটা ঠিক আছে। আমরা বুঝতে পারছি। পাকিস্তানের অবস্থানও ভুল কিছু নয়। আমরা আমাদের দেশে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজন করছি। ওরা (ভারত) আসতে রাজী নয়। ক্ষতিপূরণ বাবদ ওদের আমাদের সাথে লভ্যাংশ ভাগাভাগি করতেই হবে। এটা ভালো বিষয়।” ভারতে দল পাঠাক পাকিস্তান, চান শোয়েব। তাঁর মন্তব্য, “আমাদের উচিৎ বন্ধুত্বের হাত বাড়ানো, ওখানে যাওয়া। সেটাই বরাবর বিশ্বাস করে এসেছি। ভারত মেঁ খেলো অউর ওঁহা উনহে মারকে আও। আমার মনে হয় হাইব্রিড মডেলে ইতিমধ্যে সিলমোহর পড়ে গিয়েছে।” যে ভঙ্গিতে ‘মারকে আও’ কথাটি বলেছেন শোয়েব (Shoaib Akhtar), তা ভালো লাগে নি ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীদের। খেলার মাঠ মারামারির জায়গা নয়, রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেসকে মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।
টাকা নয়, চাই সম্মান, বলছে পিসিবি-
শুক্র ও শনিবার সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর মিলেছিলো যে ৫.৭৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৭% বার আরও বেশী হারে লভ্যাংশ চেয়েছে পিসিবি (PCB)। সাথে ২০৩১ অবধি ভারতে না যাওয়ার ব্যাপারে সবুজ সংকেত দাবী করেছে তারা। কিন্তু পড়শি দেশের মিডিয়ায় পিসিবির তরফ থেকে দাবী করা হয়েছে যে টাকা বাড়ানোর কথা আদৌ করেন নি তাঁরা। বরং ২০২৭ অবধি ভারতে যাতে না যেতে হয় তা নিশ্চিত করার প্রয়াসই করছেন চেয়ারম্যান মহসীন নকভি’রা (Mohsin Naqvi)। দুবাইতে দাঁড়িয়ে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন নকভি। সেখানে তিনি বলেন, ‘সম্মানজনক সমাধানসূত্র’ খুঁজছে বিষয়টির সাথে জড়িত সব পক্ষই। ভারতকে খোঁচা দিয়ে তাঁর মন্তব্য, “আমি একপেশে বিষয়টি বন্ধ করতে চেয়েছি। আমরা প্রত্যেকবার ভারতে যাই, কিন্তু ওরা আসে না। যা করা হচ্ছে তা স্থায়ী ভাবে সবকিছুর সমাধান করবে।”