IPL 2025: গতবারের পরাজয়ের বদলা নিলো লখনৌ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের বিরুদ্ধে ৫ উইকেটে দুরন্ত একটি জয় ছিনিয়ে নিয়ে পয়েন্ট তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসলো ঋষভ পন্থের নেতৃত্বাধীন লখনৌ সুপাট জায়ান্টস। দলে নেই কোনো নামি বোলার, তবুও সানরাইজার্সের মতন দলকে ১৯০ রানে বেঁধে দিতে সক্ষম হয়েছিল লখনৌ সুপার জায়ান্টস দল। টস জিতে সানরাইজার্সের বিরুদ্ধে বোলিং করার সিদ্ধান্ত নেন ক্যাপ্টেন ঋষভ পন্থ। শুরুতেই আবার একবার দলের হয়ে দুই উইকেট তুলে নেন অলরাউন্ডার শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur)। গতদিন দিল্লির বিরুদ্ধে প্রথম ওভারে দুই উইকেট তুলে নিয়েছিলেন শার্দূল, এবার নিজের দ্বিতীয় ওভারে অভিষেক শর্মাকে ৬ এবং ঈশান কিষানকে ০ রানে প্যাভিলিয়নে ফেরান শার্দূল।
চার উইকেট তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর

প্রথমে ব্যাটিং করে সানরাইজার্সের হয়ে সর্বাধিক ২৮ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেন ট্রেভিস হেড (Travis Head)। তাছাড়া ঝাঁসি থেকে আগত অনিকেত ভার্মা ১৩ বলে ৩৬ রানের ইনিংসে হায়দ্রাবাদ দলকে লড়াই করার কিছু সুযোগ দেন। দলের হয়ে বেশ কিছু ছোট ছোট ইনিংসও দেখতে পাওয়া গিয়েছিল। বিশেষ করে, নীতিশ রেড্ডি ৩২ হেনরিখ ক্লাসেন ২৬, প্যাট কামিন্স ১৮ ও হার্সাল প্যাটেলের ১২ রানে সানরাইজার্স ৯ উইকেটে ১৯০ রান বানাতে সক্ষম হয়েছিল। লখনৌ দলের হয়ে সর্বাধিক ৪ উইকেট তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর।
Read More: IPL 2025 SRH vs LSG Match Highlights: ঘরের মাঠে ধরাশায়ী হায়দ্রাবাদ, ৫ উইকেটে জিতে মাঠ ছাড়লো লক্ষ্ণৌ সুপারজায়ান্টস !!
হায়দ্রাবাদের ব্যাটিং বান্ধব উইকেটে শুরুতেই এইডেন মার্করামকে ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়। তবে, মাঝ মাঠ হাজির থাকা ইনফর্ম নিকোলাস পুরান এবং মিচেল মার্সের মধ্যে ৪৩ বলে ১১৬ রানের পার্টনারশিপ গড়ে উঠেছিল। পুরান আগ্রাসী মেজাজে ২৬ বলে ৬ টি চার এবং ৬টি ছক্কায় ৭০ রানের ইনিংস খেলেন এবং মার্সের ব্যাট থেকে ৩১ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কায় এসেছিল ৫২ রানের ইনিংস। শেষের দিকে, ঋষভ পন্থের ১৫, মিলারের ১৩ এবং আব্দুল সমাদের ২২ রানের বিনিময়ে ২৩ বল বাঁকি থাকতে হয় সুনিশ্চিত করে লখনৌ সুপার জায়ান্টস। সানরাইজার্সের হয়ে সর্বাধিক ২ উইকেট তুলে নেন ক্যাপ্টেন কামিন্স।
ম্যাচ সেরা হয়েছেন শার্দূল

অসাধারণ বোলিং প্রদর্শনীর জন্য ম্যাচের সেরা হন শার্দূল ঠাকুর। ম্যাচের সেরা হয়ে মন্তব্য করে শার্দূল বলেন, “সত্যি বলতে না (নিলামে অবিকৃত হওয়ার পর খেলার সুযোগ পাওয়ার বিষয়ে), আমি আমার পরিকল্পনা করে রেখেছিলাম। আইপিএলে না খেলার পর কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পরিকল্পনাও করেছিলাম। রঞ্জি ট্রফিতে খেলার সময় জহির খান আমাকে ফোন করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে আমাকে সম্ভাব্য বদলি হিসেবে ডাকা হতে পারে। তাই নিজেকে নিরুৎসাহিত করতে বারণ করেছিলেন। উত্থান-পতন জীবনের একটি অংশ। আমি সবসময় আমার দক্ষতাকে সমর্থন করেছি। কিছু সুইং ছিল শুরুর দিকে এবং অতীতে আমি যা দেখেছি, হেড এবং অভিষেক এভাবেই খেলে আসেন। নতুন বল এমন একটি জিনিস যেখানে সুইং করার সময় উইকেট নেওয়া যায় এবং আমি আজ রাতে আমার সুযোগ নিয়েছি। এই ধরণের ম্যাচে বোলাররা সুযোগ খুব কমই পান, এমনকি শেষ খেলায় আমি বলেছিলাম যে পিচগুলি এমনভাবে প্রস্তুত করা উচিত যাতে খেলাটি বিশেষভাবে ভারসাম্যপূর্ণ থাকে। ইমপ্যাক্ট সাব রুল আসার পর, যদি কোনও দল ২৪০-২৫০ রান করে তবে তা বোলারদের উপর অন্যায্য।”