বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না মহম্মদ শামি’র (Mohammed Shami)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সেমিফাইনাল চলাকালীন জল পান করে কট্টরপন্থীদের তোপের মুখে পড়েছিলেন তিনি। রমজান মাসে সূর্যাস্তের আগে উপবাস ভঙ্গ করার জন্য টিম ইন্ডিয়ার তারকা পেসারকে রীতিমত ‘অপরাধী’ বলে আক্রমণ করেছিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম জামাত সংস্থার সভাপতি মৌলানা সাহাবুদ্দিন রাজভি বেরেইলভি। দেশ আগে না ধর্ম সেই নিয়ে শুরু হয়ে গিয়েছিলো ব্যাপক তরজা। “ধর্ম আর খেলাধূলাকে একই দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখবেন না,” শামি’র পাশে দাঁড়িয়ে ট্যুইট করেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিং। কোনো ‘অপরাধ’ করেন নি শামি, জানিয়েছিলেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল ল বোর্ডের সদস্য মৌলানা খালিদ রশিদ ফিরাঙ্গি মাহিল । ‘রোজা’ বিতর্ক থেকে এখনও নিস্তার পান নি শামি (Mohammed Shami)। এর মধ্যেই হোলি নিয়ে নতুন করে শুরু হয়েছে জলঘোলা। ক্রিকেট তারকার শিশুকন্যাকে নিশানা করেছে কট্টরপন্থীরা।
Read More: শুভমানের জীবনে অতীত সারা, এই বলিউড অভিনেত্রীর প্রেমে মশগুল তরুণ তুর্কি !!
হোলি খেলা নিয়ে আপত্তি কট্টরপন্থীদের-

গতকাল ছিলো রঙের উৎসব হোলি। আনন্দে মেতেছিলো গোটা দেশ। উদ্যাপনে অংশ নিয়েছিলো মহম্মদ শামি’র (Mohammed Shami) কন্যা আইরা’ও। তার রং মাখা ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করে শামি’র প্রাক্তন স্ত্রী হাসিন জাহান। তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ইসলাম ধর্মাবলম্বী হয়েও কেন হিন্দুদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছে আইরা? প্রশ্ন তুলে সরব হন কট্টরপন্থী মুসলিম সমাজের একাংশ। দিনকয়েক আগে শামি’কে (Mohammed Shami) উদ্দেশ্য করে যেমন ‘অপরাধী’ বা ‘পাপী’র মত বিশেষণ উড়ে এসেছিলো তেমনই অশ্লীল সব শব্দ উড়ে এসেছে ছোট্ট আইরা’র দিকেও। কমেন্ট সেকশন ভরে গিয়েছে কটাক্ষ, কটূক্তিতে। হাসিন, শামি বা তাঁদের কন্যা আদৌ ইসলাম ধর্মমত মেনে চলেন কিনা তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন কেউ কেউ। ভারতের মত বহু জাতি, বর্ণ, সম্প্রদায়ের দেশে এহেন ধর্মান্ধতা অবাক করেছে প্রগতিশীল জনতাকে।
বিচ্ছেদ হয়েছে শামি-হাসিনের-

২০১৪ সালে হাসিন জাহান’কে (Hasin Jahan) বিয়ে করেন টিম ইন্ডিয়ার পেস তারকা মহম্মদ শামি। সংসারে ভাঙন ধরে সন্তান জন্মের কয়েক বছরের মধ্যেই। বেশ কিছু চ্যাট শেয়ার করে হাসিন তাঁর সুপারস্টার স্বামীর বিরুদ্ধে পরকীয়ার অভিযোগ আনেন। পালটা তোপে দেগেছিলেন শামি’ও (Mohammed Shami)। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেন তিনি। এরপর থেকেই আলাদা থাকেন দু’জনে। পারিবারিক অশান্তি চরমে পৌঁছানোয় কলকাতার আলিপুর ডিস্ট্রিক্ট আদালতে বিচ্ছেদের মামলা করেন হাসিন। প্রতি মাসে ১০ লক্ষ টাকা খোরপোষ চেয়েছিলেন শামি’র প্রাক্তন স্ত্রী। দীর্ঘ টানাপোড়েনের পর ২০২৩-এর জানুয়ারি মাসে রায় দেয় আদালত। ১০ লক্ষ নয় খোরপোষের অঙ্ক মাসিক ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকায় বেঁধে দেন বিচারপতি। এর মধ্যে ৫০০০০ টাকা হাসিন ব্যবহার করতে পারবেন ব্যক্তিগত খরচ হিসেবে, বাকি ৮০০০০ আইরা’র ভরণপোষণে খরচ করতে হবে, জানিয়ে দেয় আদালত।