বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের দুই আইকনিক প্লেয়ার হলেন শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) এবং মাশরাফি মুর্তজা। শুধু খেলোয়াড় হিসেবে নয়, বাংলাদেশের জনগণের নয়নের মনিও ছিলেন এই দুই তারকা। তবে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার মাশুল গুনতে হচ্ছে দুই তারকাকে। আসলে মাশরাফি এবং শাকিব–দু’জনই হাসিনার দল আওয়ামি লিগের সাংসদ। এবং এখন দু’জনের অবস্থাই বেশ সঙ্গীন। মাশরাফির নড়াইলের বাড়িতে গতকাল আগুন লাগানো হয়েছে, দমকলকে ফোন করলেও কোনো প্রকার সহায়তা মেলেনি বাংলাদেশি তারকার।
মাশরাফি থেকে শুরু করে শাকিব’দের বাড়িতে শুরু হলো হামলা
শুধু যে, মাশরাফির বাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে এমনটাও নয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ পত্র জমা দেওয়ার পর দেশ ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আর তিনি
ক্ষমতাচ্যুত হতেই তান্ডব শুরু হয় বাংলাদেশ জুড়ে। বিকালের দিকে হামলা করা হলো মাশরাফির বাড়িতে। আগুন লাগিয়ে দেওয়া হয় তার বাড়িতে, দমকলে খবর দিলেও দমকল বাহিনী পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার সাহস দেখায়নি। শুধু মাশরাফিই (Mashrafe Mortaza) নন, শাকিব এল হাসানের বাড়িতে কোনরূপ হামলা না চালালেও তার রাজনৈতিক অফিস পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
শাকিব এ মুহূর্তে বাংলাদেশে নেই। স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে আপাতত আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছেন, সেখানে তিনি গ্লোবাল টি-টোয়েন্টি লীগ খেলছেন। জানা গিয়েছে সুদূর ভবিষ্যতে শাকিব আর বাংলাদেশে ফিরছেন না। আপাতত বিদেশেই জীবনযাপনের পরিকল্পনা করছেন সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক। যদিও আগামী সেপ্টেম্বর মাসে পাকিস্তান ও ভারত সফরে আসবে বাংলাদেশ দল। আর এই বাংলাদেশ দলের হয়ে খেলতে দেখা যাবে শাকিবকে। বাংলাদেশে ‘কোটা’ আন্দোলন চলাকালীন শাকিব কিংবা মাশরাফি ছিলেন নীরব। আর এই পরিস্থিতিতে তারা দুজনেই জনপ্রিয়তা হারাতে শুরু করেন এবং বর্তনানে ভক্তদের ক্ষোভের পাত্র হয়ে উঠেছেন দুজনেই। চলতি সময়ে একটি ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে যেখানে শাকিবের পোস্টার ছিড়ে ফেলতে দেখা যাচ্ছে।