আর মাত্র কয়েক মাস পরেই টি-২০ বিশ্বকাপের শুভ সুচনা হতে চলেছে। ভারত ও শ্রীলঙ্কা দুই দেশ মিলেই আয়োজন করছে। আর তার মাঝেই এক চাঞ্চল্যকর খবর সামনে এসেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেটের অন্যতম সেরা তারকা শাকিব আল হাসান (Shakib Al Hasan) বর্তমানে বাংলাদেশ ক্রিকেটের আনাচে কানাচে নেই বললেই চলে। তিনি ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাট থেকে অবসর ঘোষণা করেছিলেন। যদিও একদিনের ক্রিকেট থেকে তিনি এখনও অবসরের ঘোষণা করেননি। তবে, সাবেক বাংলাদেশি অধিনায়ক শাকিব আল হাসান আবারও দেশের জার্সিতে কামব্যাক করতে চান। তিনি জানিয়েছেন, তিন ফরম্যাটে একটি করে সিরিজ খেলেই চূড়ান্তভাবে বিদায় জানাতে চান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে। ২০০৬ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন শাকিব। ক্যারিয়ার জুড়ে তিনি ১৪ হাজারের বেশি রান করেন এবং ৭০০’ এর বেশি উইকেটও পেয়েছেন তিনি।
অবসর থেকে ফিরতে চান শাকিব আল হাসান

শুধু খেলোয়াড় হিসাবে নয় দলকেও নেতৃত্ব দিয়েছেন বহুবার। আপাতত তিনি দেশের বাইরেই থাকেন, তিনি ইংল্যান্ডে কাউন্টি ক্রিকেট খেলেন ও বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগে অংশ নেন। বাংলাদেশের হয়ে তিনি শেষবার তিনি ২০২৪ সালের মে মাসে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ খেলেছিলেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে মঈন আলীর (Moeen Ali) সঙ্গে ‘বিয়ার্ড বিফোর উইকেট’ পডকাস্টে ৩৮ বছর বয়সি শাকিব আল হাসান জাতীয় দলে ফিরে আসার কথা বলেন। মন্তব্য করে তিনি বলেন, “আমি এখনও সব ফরম্যাট থেকে সরকারিভাবে অবসর নিইনি। এবারই প্রথম জানাচ্ছি বাংলাদেশে ফিরে একটি পূর্ণাঙ্গ টেস্ট, ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেই বিদায় নিতে চাই। সমর্থকদের সামনে শেষবার মাঠে নামার একটি সুযোগ চাই। সেই কারণেই নিজেকে খেলায় সক্রিয় রেখেছি।”
Read More: শেষপর্যন্ত ভেঙেই গেল স্মৃতি মন্ধনার বিয়ে, সোশ্যাল মিডিয়ায় করলেন পর্দা ফাঁস !!
সাম্প্রতিক সময়ে বাংলদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে শাকিবের দেশে ফেরা নিয়ে নানান প্রশ্ন উঠেছে। আওয়ামি লিগের প্রাক্তন সাংসদ হওয়ায় সরকার পরিবর্তনের পর থেকেই তাঁর বিরুদ্ধে জনরোষ বাড়তে থাকে। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল তাঁর বাড়ি-ঘর। এমনকি, নিরাপত্তার কারণে দেশের মাটিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট খেলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। একই সঙ্গে তাঁর বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টও ফ্রিজ করা হয়েছিল এবং শেয়ারবাজার মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশন তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছিল।
দেশের মাটিতে খেলতে চান শাকিব

এদিকে বোলিং অ্যাকশন নিয়েও শাস্তির মুখে পড়েছিলেন শাকিব। আইসিসি টুর্নামেন্টে তাঁকে বল করার নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। যদিও পরে লাফবোরো বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন শাকিব। মঈন আলীর পডকাস্টে শাকিব অবশ্য স্বীকার করে নেন যে তিনি নাকি ইচ্ছা করেই চাক বোলিং করেছেন। মন্তব্য করে তিনি বলেন, “ইচ্ছাকৃতভাবে বল ছুড়েছিলাম কারণ প্রায় ৭০ ওভার বল করেছিলাম সেই ম্যাচে। ক্যারিয়ারে টেস্টেও কখনও এত বল করিনি। সেই ম্যাচে অত্যন্ত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম।” শাকিবের অবশ্য দেশের হয়ে খেলাটা রাজনৈতিক পরিবেশের উপরই নির্ভর করছে। তবে তিনি নিশ্চিত শেষবার মাঠে নামার আগ্রহ এখনো কমেনি।