চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিকে (CT 2025) ঘিরে ভারত-পাক (IND vs PAK) দড়ি টানাটানিতে বেসামাল ক্রিকেটদুনিয়া। আইসিসি’র তরফে আয়োজনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পাকিস্তানকে। কিন্তু ওয়াঘা সীমান্ত পেরোতে কিছুতেই রাজী নয় ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থা। খেলোয়াড়দের যথেষ্ট নিরাপত্তা দেওয়া সম্ভব নয় পড়শি দেশের পক্ষে, দাবী করেছে বিসিসিআই। হাইব্রিড মডেলের জন্য আবেদন করেছে তারা। গত বছরের এশিয়া কাপের (Asia Cup 2023) সময়ও নিরপেক্ষ ভেন্যুর জন্য তদ্বির করেছিলো ভারত। দীর্ঘ টালবাহানার পর শেষমেশ সেই প্রস্তাবেই দেওয়া হয়েছিলো ছাড়পত্র। এবার শুরুতে হাইব্রিড মডেলে আগ্রহ দেখায় নি পিসিবি। ফলে বাড়ে জটিলতা। অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ ও একপ্রস্থ কথার লড়াই শেষে অবশ্য ভারতের ম্যাচ মধ্যপ্রাচ্যে আয়োজনের ব্যাপারে সায় দিতে বাধ্য হয়েছে তারা। সবকিছু ঠিক থাকলে হাইব্রিড মডেলেই হচ্ছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025)।
হাইব্রিড মডেলে রাজী হওয়ার আগে শর্ত দিয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (PCB)। ভারতে আয়োজিত টুর্নামেন্টগুলির ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতিই ব্যবহৃত হবে, নিশ্চয়তা চেয়েছেন মহসীন নকভি’রা (Mohsin Naqvi)। ২০২৭ অবধি কোনো প্রতিযোগিতা খেলতে ভারতের মাটিতে পা দিতে রাজী নয় পাকিস্তান ক্রিকেট দল। সূত্রের খবর যে পাক বোর্ডের শর্তে প্রথমে অসন্তোষ প্রকাশ করলেও পরে রাজী হয়েছে ভারত, সর্বোচ্চ ক্রিকেট নিয়ামক সংস্থার সবুজ সংকেত মেলার পর জটিলতা কেটেছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি (CT 2025) নিয়ে। বিসিসিআই-এর উপর পালটা শর্ত চাপাতে সক্ষম হয়েছে পিসিবি, এই বিষয়টিকে কেউ কেউ পাক বোর্ডের নৈতিক জয় বললেও তা মানতে নারাজ প্রাক্তন ক্রিকেটার আহমেদ শেহজাদ (Ahmed Shahzad)। “সুবর্ণ সুযোগ হারিয়েছে পিসিবি। আর কখনও ভারতকে আনা যাবে না,” বলছেন তিনি।
Read More: BCCI-এর উপেক্ষার জবাব দিলেন শ্রেয়স আইয়ার, বিজয় হাজারে ট্রফিতে দেখালেন রক্তচক্ষু !!
অভিনব স্টেডিয়ামের ভাবনা শেহজাদের-
ক্রিকেট’কে কেন্দ্র করে দুই প্রতিবেশী দেশের কূটনৈতিক টানাপোড়েনে দাঁড়ি টানতে অভিনব প্রস্তাব রেখেছেন আহমেদ শেহজাদ (Ahmed Shahzad)। পড়শি দেশের প্রাক্তনী বলেছেন, “দিনকয়েক আগে একটি পডকাস্টে আমি বলেছিলাম যে আমাদের উচিৎ ভারত-পাকিস্তানের সীমান্তে একটি স্টেডিয়াম নির্মাণ করা। ভারতের দিকে একটা দরজা থাকবে। পাকিস্তানের দিকে একটা দরজা থাকবে। খেলোয়াড়রা নিজেদের দিকের দরজা দিয়ে মাঠে প্রবেশ করবে।” ব্রাজিলে একটি ফুটবল স্টেডিয়াম রয়েছে যার একটি অংশ উত্তর গোলার্ধে ও অপর অংশটি দক্ষিণ গোলার্ধে। কিন্তু সীমান্তে এহেন স্টেডিয়াম গোটা বিশ্বে আর একটিও রয়েছে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান ক্রিকেটজনতা। শেহজাদের (Ahmed Shahzad) মন্তব্য নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।
‘এমন কিছু বাস্তবে করা কখনও সম্ভব নয়’ লিখেছেন এক ক্রিকেটপ্রেমী। ‘সুস্থ মস্তিষ্কে এমন ভাবনাচিন্তা কেবল পাকিস্তানেই সম্ভব’ উড়ে এসেছে কটাক্ষের তীর। পড়শি দেশে না যাওয়ার পেছনে ভারতের অন্যতম কারণ নিরাপত্তাজনিত সমস্যা ও পাক জঙ্গীযোগ। সেদিকে ইঙ্গিত করে কেউ কেউ একহাত নিয়েছেন শেহজাদকে (Ahmed Shahzad)। ‘এমন স্টেডিয়াম করেও কি হবে? পাকিস্তাকের দিকে গেলে সেই তো বোমই পড়বে মাঠে।’ ২০০৯ সালে পাকিস্তানের মাটিতে নাশকতার শিকার হয়েছিলো শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল। গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন বেশ কয়েকজন। সেই কথাও মনে করিয়ে দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন খেলোয়াড়কে। ‘পাকিস্তানের এক ইঞ্চি জমিতেও কোনো ভারতীয় খেলোয়াড় নিরাপদ নয়। কোনো প্রয়োজন নেই এই স্টেডিয়ামের’ ক্ষোভের সাথে লিখেছেন এক টিম ইন্ডিয়া সমর্থক।
দেখুন ট্যুইট চিত্র-
Bro they don’t have electricity on their side that’s why they have fired up the stadium 😂😂
— Pɾιɳƈҽ²¹𝕩 (@Princeshah04) December 21, 2024
😂😂😂 twitter algorithm pic.twitter.com/ODElGqtXUz
— Abhishek ⚛ (@Abhishek10187) December 21, 2024
Jo bhi ho , ye idea bhut acha lag rha ha ,
— sAlLu bHaI (@sAlLubH01048051) December 21, 2024
Jo bhi ho , ye idea bhut acha lag rha ha ,
— sAlLu bHaI (@sAlLubH01048051) December 21, 2024
😭😭 Bhai topeee chala denge pakistan wale
— Shivam 🍂 (@shivammm_) December 21, 2024
Wo bkl hamari side pe bhi bomb phodke aag laga denge
— 🔸AV✴️ (@FuriousNova__AV) December 21, 2024
Ha ha 😂
— Krishnadhan Pahari (@Viratiansouvik_) December 21, 2024
Jo bhi ho , ye idea bhut acha lag rha ha ,
— sAlLu bHaI (@sAlLubH01048051) December 21, 2024
Mazak apni jagah ,lekin agar aisa stadium sach mein bann gaya toh socho viewership , fans ka craze stadium mein .
Ek side hamare indians side aur ek side murgi chor pakistani fans ..
Mazza ayega .— AK-𝕏 SAFEMOON (@Wins7X_ak) December 21, 2024