ওমানকে হারিয়ে ভারতীয় দল গ্রুপ পর্যায়ে শীর্ষস্থানে তাদের অভিযান শেষ করেছে। এবার রবিবার সুপার ফোরে আবার ভারতের মুখোমুখি হতে চলেছে পাকিস্তান। দুই দলের মধ্যে ম্যাচটি আবার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। তবে, দুই দলের মধ্যে গ্রুপ পর্যায়ে যে ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল সেই ম্যাচটি নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছিল। ভারতীয় দল ম্যাচ জেতার পর পাকিস্তানি ক্রিকেটারদের সঙ্গে করমর্দন করেনি। তারপর পাকিস্তানি ক্রিকেট বোর্ড সেই ম্যাচের রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রাফটকে সরানোর জন্য আর্জি জানিয়েছিল আইসিসির কাছে। যদিও, আইসিসি তাদের আর্জি খারিজ করে দিয়েছিল।
ইরফানকে মিথ্যাবাদী বললেন আফ্রিদি

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সাবেক খেলোয়াড়রা ভারতের এই ক্রিয়াকলাপ ভালো চোখে দেখেনি। কয়েকদিন আগে ভারতীয় দলের সাবেক অলরাউন্ডার পাকিস্তানের সাবেক অলরাউন্ডার শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে একটি বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন। আফ্রিদিকে কুকুরের সঙ্গে তুলনা করেছিলেন। সম্প্রতি ২০০৬ সালে ভারতের পাকিস্তান সিরিজ নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন ইরফান পাঠান। কিন্তু টিম ইন্ডিয়ার প্রাক্তন পেসারের কথার কোনো পাত্তা দিলেন না আফ্রিদি। আফ্রিদির মতে পাঠান নাকি মনগড়া গল্প দিয়েছেন। পাকিস্তানের এক টেলিভিশন শো তে আফ্রিদি বলেন, “আব্দুল রাজ্জাক আমাকে বলেছে কথাগুলো, এসব পুরোপুরি মনগড়া কথা। ও পুরো মিথ্যা কথা বলেছে। কুকুরের মাংস জাতীয় কোনো কথাই হয়নি। আমি তাকে পুরুষ বলে মনে করি যে মুখোমুখি হয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারে। কিন্তু ইরফান পাঠান ? ও তো কেবলই পিছনে কথা বলে। দম থাকলে ওকে সামনাসামনি আমাকে বলে দেখাক। তাহলেই তো ওকে কিছু বলতে পারবো। ওর এসব মিথ্যার বিরুদ্ধে কিছু বলার নেই।”
Read More: “৪ মিনিট আগেই বলেছিলাম..”,ভারত-পাক হ্যান্ডশেক বিতর্কের মধ্যে এবার মুখ খুললেন ম্যাচ রেফারি !!
আফ্রিদির উপর তোপ এনেছিলেন ইরফান পাঠান

সম্প্রতি পাঠান ২০০৬ সালে ভারতীয় দল পাকিস্তান সফরে গিয়েছিল, তখন করাচি থেকে লাহর যাওয়ার একটি বিমানে দুই দলের ক্রিকেটাররা উঠেছিলেন। তখন ইরফানের চুল দেখে এলোমেলো দেখে সবার সামনে ইরফানকে ‘বাচ্চা’ বলে মশকরা করেছিলেন। তবে, সেই ঘটনাটি ভালো চোখে দেখে দেখেননি ইরফান। ইরফান তখন রাজ্জাককে মজার চলে জিজ্ঞাসা করেন, “পাকিস্তানে কি ধরণের মাংস পাওয়া যায় ?” রাজ্জাক তখন তাঁর কাছে জানতে চায় কেন তিনি এই ধরনের প্রশ্ন করছেন। তখন আফ্রিদিকে নিয়ে মজার ছলে পাঠান বলেন, “এখানে কি ডগ মিট পাওয়া যায়?” পাঠানের মুখে এমন কথা শুনে রাজ্জাক ও আফ্রিদি দুজনেই চুপ হয়ে গিয়েছিল। ইরফান আরও বলেছিলেন যে, “আফ্রিদি বুঝতে পেরেছিল কথার লড়াইয়ে সে পেরে উঠবে না। তাই সে আর কথা বাড়ায়নি।”