আইপিএল ২০২৬ (IPL 2026) আসর শুরু হতে এখনও প্রায় তিন মাস বাঁকি রয়েছে। তবে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই বেশ বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে এসেছে বাংলাদেশের বাঁহাতি পেসার মুস্তাফিজুর রহমান (Mustafizur Rahman)। গত ১৬ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত আইপিএল নিলামের মঞ্চে কলকাতা নাইট রাইডার্স (KKR) তাকে ৯ কোটি ২০ লাখ টাকায় দলে শামিল করেছিল। কিন্তু নিলামের সেই উত্তেজনা খুব দ্রুতই রূপ নেয় উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তায়। সম্প্রতি বাংলাদেশের হিন্দুদের পরিস্থিতির কথা বিচার করে বেশ ক্ষুব্ধ পুরো ভারতবর্ষ।
মুস্তাফিজুরকে খেলানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে

আসলে, ভারতের মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়িনীর কয়েকজন ধর্মীয় নেতা মোস্তাফিজকে মাঠে নামানোর বিরোধিতা করেছেন এবং প্রকাশ্যে হুমকিও দিয়েছেন। এই আপত্তির পেছনে রয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া কয়েকটি হত্যাকাণ্ড, যেগুলোকে ঘিরে সংখ্যালঘু নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। ১৮ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে দীপু চন্দ্র দাস নামে এক হিন্দু শ্রমিক নিহত হন। ঘটনায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগ উঠলেও তার কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। এর কয়েক দিন পর ২৪ ডিসেম্বর রাজবাড়িতে অমৃত মন্ডল নামে আরেকজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী নিহত হন।
উজ্জয়িনীর রিণমুক্তেশ্বর মহাদেব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহাবীর নাথ বলেন, বিসিসিআই ও আইপিএল কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে নীরব থাকলে তারা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন। তিনি আরও দাবি করেন, প্রয়োজনে একাধিক ধর্মীয় সংগঠন একত্র হয়ে কেকেআর বয়কটের ডাক দিতে পারে। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা আইএএনএসের তথ্য অনুযায়ী ঋণমুক্তেশ্বর মহাদেব মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মহাবীর নাথ বলেছেন, “বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর যে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে সে বিষয়ে বিসিসিআই ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নীরব থাকায় তাঁরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবেন।“
শাহরুখ খানকে প্রকাশ্যে মারার হুমকি

শুধু মুস্তাফিজের আইপিএল খেলা বন্ধ নয়, শাহরুখ খানকে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মহাবীর। সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে মন্তব্য করে মহাবীর আরও বলেন, “মুস্তাফিজুরকে যে মাঠে খেলানো হবে সেই মাঠে গিয়ে মারবো। আর শাহরুখ খানকেও মারবো যদি ওকে খেলানো হয়।” তিনি আরও বলেন, “সবথেকে বেশি টাকার যে সিনেমা বানায় সঞ্জয় লীলা বানসলি, আর সঞ্জয় লীলা বানসলিকে ৮ ঘন্টা ধরে মেরেছিলাম, পদ্মাবদ সিনেমায় কালি মাকে অপমান করার জন্য। তারপর অমিত শাহের ফোন আসে ওকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য, তারপরেও এক ঘন্টা মেরেছিলাম।” এই মন্তব্যের পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেকেআর বয়কটের আহ্বান ছড়িয়ে পড়ে। যদিও এখন পর্যন্ত আইপিএল কর্তৃপক্ষ কিংবা কেকেআর ব্যবস্থাপনা পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবুও পরিস্থিতি স্পষ্টতই অস্বস্তিকর।