দিল্লি: কোচের পদে আবেদন জানিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কাছে মাত্র দুই লাইনের একটি সিভি পাঠিয়েছিলেন বীরেন্দ্র সহবাগ। ভারতের কোচ হিসেবে যাত্রা শুরুর জন্য তাই তিনি কতটা আগ্রহী, তা নিয়ে প্রশ্ন থাকাটা স্বাভাবিক। তবে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কোষাধ্যক্ষ থেকে শুরু করে অনেকেই নাকি সহবাগকেই চাইছেন কোচ হিসেবে। সত্যিই কোচের আসনে বসলে অবশ্য কথাবার্তা খুব সাবধানে বলতে হবে ভারতের প্রাক্তন এই মারমুখী ব্যাটসম্যানকে।

এখানে দেখুনঃ দু’বছরের জন্য ভারতীয় দলের কোচ হলেন রাহুল দ্রাবিড়
প্রায়ই টুইটারে বিতর্কিত সব মন্তব্য করে আলোচনার কেন্দ্রে চলে আসেন সহবাগ। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির সময়ও পাকিস্তানকে ভারতের ছেলে ও বাংলাদেশকে নাতি বলে মন্তব্য করে সমালোচিত হয়েছিলেন তিনি। কোচের আসনে বসার পরও তিনি এভাবেই বেফাঁস সব কথা বলতে থাকবেন কি না, তা নিয়েও অবশ্য কিছুটা চিন্তিত দেশের ক্রিকেট মহল।

শেষ পর্যন্ত সত্যিই যদি সহবাগকে ভারতের নতুন কোচ নির্বাচন করা হয়, তাহলে তাঁকে মুখে লাগাম দিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিসিসিআই-এর এক সূত্র। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “জানি বীরু সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেক কিছু বলে। কিন্তু কোচ হিসেবে নির্বাচিত হলে তাঁকে মুখটা বন্ধ রাখতে হবে।”

অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে ঝামেলার কারনে ভারতের কোচের পদ থেকে বিদায় নিতে হয়েছে অনিল কুম্বলেকে। তার পর থেকেই নতুন কোচের সন্ধানে রয়েছে বিসিসিআই। নতুন করে কোচ নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছে বোর্ড। সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে রবি শাস্ত্রী ও সহবাগের নাম। রিচার্ড পাইবাস, ডোড্ডা গণেশ ও লালচাঁদ রাজপুত, টম মুডিও আবেদন করেছেন ভারতের প্রধান কোচের পদে। আগামী ৯ জুলাই পর্যন্ত আছে আবেদন করার সময়।

শচীন তেন্ডুলকর, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ও ভি ভি এস লক্ষ্মণকে নিয়ে গড়া ক্রিকেট অ্যাডভাইজরি কমিটি নির্বাচন করবে ভারতের নতুন কোচ। এরই মধ্যে গুজব উঠেছিল, আবারও গ্যারি কার্স্টেনকে কোচ করে নিয়ে আসছে বিসিসিআই। যদিও কার্স্টেন নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন, এটা পুরোপুরি গুজব। তিনি আর ভারতের কোচ হবেন না এখন। বর্তমান সাপোর্ট স্টাফদের চুক্তি ২০১৭-র মার্চেই শেষ হয়ে গিয়েছিল। শ্রীলঙ্কা সফরের আগেই ভারতের নতুন কোচ বেছে নেবে এই কমিটি।

এখানে দেখুনঃ কোচ হওয়ার আবেদন নিয়ে কি বললেন কার্স্টেন?