ভারতীয় দলের তরুণ তারকা সরফরাজ খান (Sarfaraz Khan) প্রায় ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন এবং তাঁর এই পরিবর্তন ব্যাপকভাবে আলোচনা সৃষ্টি করেছে। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, ২ মাসেরও কম সময়ের মধ্যে সরফরাজ খান ১৭ কেজি ওজন কমিয়েছেন কঠোর খাদ্য নিয়ন্ত্রণ ও ব্যায়ামের মাধ্যমেই। আইপিএল ২০২৫’ চলাকালীন কোনো দলে জায়গা পাননি সরফরাজ। আইপিএল চলার জন্য ঘরোয়া ক্রিকেটেও কোনো প্রকার ম্যাচ চলছিল না। এই পরিস্থিতিতে সরফরাজ খান ও পিতা নৌশাদ খান মিলে কঠিন ট্রেনিং শুরু করে দিয়েছিল ২০২৫’ সালের ইংল্যান্ড সফরের জন্য।
ফিটনেস ফ্রিক হয়ে উঠেছেন সরফরাজ খান

তাঁর বাবা এবং কোচ নৌশাদ খান জানিয়েছেন, ছেলেকে ইংল্যান্ডের পরিস্থিতির জন্য প্রস্তুত করার জন্য তাঁরা স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য খেয়েছেন এবং কঠিন অনুশীলন করেছেন। রুটি, চাল, ময়দা, অতিরিক্ত চিনি ও বেকারি আইটেম এড়িয়ে, তার পরিবর্তে ব্রকলি, গাজর, শসা, স্যালাড, গ্রিল্ড ফিশ, গ্রিল্ড চিকেন, ডিম, অ্যাভোকাডো, গ্রিন টি ও গ্রিন কফি খেয়েছেন। সরফরাজ বেশ ফুডি, তিনি বিরিয়ানি প্রেমিও বটে। তবে, সরফরাজ সবকিছুই ছেড়ে দিয়েছেন বলে দাবি জানিয়েছেন নৌশাদ।
Read More: “ঘেউ ঘেউ করছো কেন ?…” আফ্রিদিকে নিয়ে ইরফান পাঠানের খোঁচা, আবারও আলোচনায় পুরনো স্মৃতি !!
সরফরাজ খানের এই পরিবর্তন দেখে মুগ্ধ ইংল্যান্ডের তারকা ব্যাটসম্যান কেভিন পিটারসেন (Kevin Pietersen)। তিনি সমাজ মাধ্যমে একটি টুইট করে পৃথ্বী শ’কে (Prithvi Shaw) সরফরাজের থেকে শেখার কথা বলেছেন। সমাজ মাধ্যমে বেশ কয়েকজন ভক্ত সরফরাজের এই পরিবর্তনের বেশ প্রশংসা করেছেন। এক ভক্ত লিখেছেন, “পাগল হয়ে গেছে নাকি সাইফু ? ২ মাসে ১৭ কিলো কমানো মুখের কথা নয়।” আর এক ভক্ত লিখেছেন, “সত্যিই, এটা একটা অস্বাভাবিক পরিবর্তন। আশা করি তিনি তাঁর এই কাজের জন্য পুরস্কার পাবেন।“
ফিটনেসও নির্বাচনে প্রভাব

দীর্ঘকাল ধরে সরফরাজের ফিটনেস নিয়ে প্রশ্ন থাকায় জাতীয় দলে তাঁর জায়গা নিশ্চিত হয়নি। একবার সরফরাজের হয়ে প্রশ্ন নির্বাচকদের কাছে প্রশ্নও তুলেছিলেন সুনীল গাভাকসার। পরে অবশ্য ইংল্যান্ড যখন ভারতে আসে তখন ভারতীয় দলে জায়গা পেয়েছিলেন তিনি। তারপর আবার কখনও দলের ভিতর আবার কখনও বাইরে থাকতে হয়েছে তাঁকে। তবে, সবকিছু উপেক্ষা করে, তাঁর এই ড্রাস্টিক পরিবর্তন হয়তো তাঁর নির্বাচনের সম্ভাবনা বাড়াবে। ওজন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে এত চর্চা, অথচ নির্বাচনে সেটি গুরুত্ব পায়নি সরফরাজ। ইংল্যান্ড সফরেই জায়গা হয়নি তাঁর। যে বিষয়টা সরফরাজ নিজেই প্রতিপাদন করেছেন। এখন BCCI কি দেখছে? ক্রিকেটারদের ফিটনেস কি আর একটা ফর্মালিটি?