ভারতকে নাস্তানাবুদ করে অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠলেও এক বিরাট ব্যবধানে পাকিস্তানের কাছে হারতে হয়েছে ভারতীয় তরুণ ক্রিকেট দলকে। ভারতকে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সাথে সাথেই বেশ খোশ মেজাজে রয়েছে পাকিস্তান। বড়রা যা পারেনি ছোটরা সেটাই করে দেখিয়েছে, এমনটাই বক্তব্য দলের মেন্টর সরফরাজ আহমেদের (Sarfaraz Ahmed)। পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ছিলেন যুব পাকিস্তান দলের কোচ। তাঁর নেতৃত্বে ২০১৭ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির বিজেতা হয়েছিল পাকিস্তান এবং সেই সরফরাজের মেন্টরশিপে আবার ভারতকে শিরোপা জয় করলো পাকিস্তান দল। কয়েকদিন আগেই এমার্জিং এশিয়া কাপে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল পাকিস্তান। তবে সেখানেও গ্রুপ পর্যায়ের ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে হেরেছিল ভারত।
অনূর্ধ্ব ১৯ এশিয়া কাপে পাকিস্তানের জয়

তরুণ ক্রিকেটাররা ইসলামাবাদে ফিরতেই বিমানবন্দরের বাইরেই রীতিমতো উৎসবের উন্মাদনা দেখা দিয়েছে। এই খুশিতে দলের মেন্টর সারফারাজ আহমেদ সংবাদ মাধ্যমে জানান পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক প্লেয়ারকে পাকিস্তানি টাকায় ১০ মিলিয়ন পুরস্কার দেবেন যা ভারতীয় টাকায় প্রায় ৩২ লক্ষ টাকা। এমনকি পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ প্লেয়ার এবং দলের কোচিং স্টাফদের সঙ্গে দেখাও পর্যন্ত করেন। তবে এত উন্মাদনার মধ্যেও ভারতের অনূর্ধ্ব ১৯ দলের আচরণে খুশি নন পাকিস্তানের কোচ সরফরাজ আহমেদ।
Read More: নেতৃত্বের রদবদল, দিল্লি ক্যাপিটালস দলের নতুন ক্যাপ্টেন হচ্ছেন KL রাহুল !!
প্রসঙ্গত পেহেলগাঁও জঙ্গি হামলা এবং অপারেশন সিঁদুরের পর থেকেই ভারত পাকিস্তান ক্রিকেট সম্পর্ক একদমই জোরালো নয়। সূর্যকুমার যাদবরা (Suryakumar Yadav) এশিয়া কাপে পাকিস্তানের প্লেয়ারদের সঙ্গে একবারও করমর্দন করেনি। এবার তরুণদের এশিয়া কাপে তার ব্যতিক্রম হয়নি। সরফরাজ আহমেদ (Sarfaraz Ahmed) জানান, ম্যাচের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে ভারতীয় দলের কয়েকজন খেলোয়াড়ের আচরণ ক্রীড়াসুলভ মানসিকতার পরিপন্থী ছিল।
মস্ত বড় মন্তব্য দিলেন সরফরাজ আহমেদ

তাঁর মতে, অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে খেলোয়াড়দের শুধু দক্ষতা নয়, শালীনতা ও আত্মসংযম বজায় রাখাও অত্যন্ত জরুরি, কারণ এই স্তর থেকেই ভবিষ্যৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার তৈরি হয়। এই মন্তব্য ঘিরে ক্রিকেট মহলে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। তবে এখনো পর্যন্ত ভারতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। একরকম পাকিস্তান ক্রিকেটারদের উপেক্ষাই করেছেন আয়ূষেরা। সূর্যকুমার যাদবদের মত এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি এবং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান মহসিন নকবির কাছ থেকে রানার্স আপ মেডেল পুরস্কার নেননি আয়ূষেরা।
রবিবার ফাইনালে দু’দলের ক্রিকেটারদের মধ্যে একাধিকবার উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। মন্তব্য করে সরফরাজ বলেছেন, “ম্যাচে ভারতীয়দের আচরণ একেবারেই ভালো ছিল না। ক্রিকেটীয় আচরণ ছিল অনৈতিক। ফাইনালের পর আমরা খেলোয়াড় সুলভ মানসিকতা বজায় রেখে উৎসব করেছি। আমি মনে করি ক্রিকেটে স্বাভাবিক সৌজন্যতা বজার রাখার প্রয়োজন। মাঠে মধ্যে খেলোয়াড় সুলভ মনোভাব থাকাটা দরকার। কিন্তু ভারতীয় দল তা করেনি। ওরা ওদের মতো ছিল।“