২০১৩ সালে প্রথমবার রাজস্থান রয়্যালসের (RR) জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। মাঝে ২০১৫ থেকে ২০১৭ অবধি দিল্লীতে গেলেও ২০১৮তে কেরলের ক্রিকেট তারকা ফের যোগ দেন রাজস্থানেই। তারপর থেকে গোলাপি-নীল জার্সিতেই নিয়মিত তিনি। ২০২১-এ সঞ্জুর (Sanju Samson) হাতে নেতৃত্ব ভার’ও তুলে দেয় ফ্র্যাঞ্চাইজি। তার হাত ধরে ২০২২-এ ফাইনালে পৌঁছেছিলো দল। ২০২৪-এও প্লে-অফের যোগ্যতা অর্জন করেছিলো রাজস্থান। তবে রাহুল দ্রাবিড় কোচ হয়ে আসার পরেই বদলেছে পরিস্থিতি। কোচ ও অধিনায়কের মনোমালিন্যের খবর মিলেছিলো অষ্টাদশতম মরসুমের মাঝপথেই। সঙ্কট দেখা দিয়েছিলো নেতৃত্ব নিয়েও। সিংহাসনের দাবীদার হয়ে উঠেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল, রিয়ান পরাগরা। এমতাবস্থায় ২০২৬-এর আইপিএলের আগে তিনি রাজস্থান ত্যাগ করতে পারেন বলে জোর গুঞ্জন ক্রিকেটমহলে।
Read More: চললো না জয় শাহের দাদাগিরি, এশিয়া কাপে অংশ নিতে হচ্ছে টিম ইন্ডিয়াকে !!
নতুন লীগে নাম লেখাচ্ছেন সঞ্জু-

আইপিএলে সঞ্জু’র (Sanju Samson) ভবিষ্যত ঠিক কি তা এখনও স্পষ্ট নয়। জল্পনা রয়েছে যে চেন্নাই সুপার কিংসে যোগ দিতে আগ্রহী উইকেটরক্ষক-ব্যাটার স্বয়ং। তাঁর জন্য রাজস্থান রয়্যালসকে ট্রেডিং-এর প্রস্তাব দিতে পারে মহেন্দ্র সিং ধোনিদের ফ্র্যাঞ্চাইজি। যদি রাজস্থান তাতে রাজী হয় তাহলে হলুদ জার্সিতে দেখা যাবে কেরলের ক্রিকেটারকে। আর যদি তারা রাজী না হয় সেক্ষেত্রে ‘রিলিজ’ নিয়ে ডিসেম্বরের মিনি নিলামে নাম লেখাতে পারেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। তাঁকে পাওয়ার জন্য চেন্নাইয়ের (CSK) পাশাপাশি তখন আসরে নামতে পারে কলকাতা নাইট রাইডার্স’ও। ২০২৫-এর আইপিএলে নাইট অধিনায়ক হিসেবে সফল হন নি অজিঙ্কা রাহানে, উইকেটরক্ষক ও ওপেনার হিসেবে বিশেষ সাফল্য পান নি ক্যুইন্টন ডি কক বা রহমানুল্লাহ গুরবাজরাও। সঞ্জুকে নিয়ে এক ঢিলে তিন পাখি মারার চেষ্টা করতে পারে শাহরুখ খানের দল।
আইপিএল ভবিষ্যত ঘিরে অনিশ্চয়তার মধ্যেই ক্রিকেট কেরিয়ারের এক নয়া অধ্যায় শুরু করতে চলেছেন সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson)। কেরল রাজ্য ক্রিকেট সংস্থা আয়োজিত কেরল ক্রিকেট লীগ (কেসিএল)-এর দ্বিতীয় সংস্করণের জন্য নাম নথিভুক্ত করিয়েছেন তিনি। আগামী ২২ অগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে টুর্নামেন্ট। চলবে ৭ সেপ্টেম্বর অবধি। বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৭ অগস্ট থেকে ৩১ অগস্ট অবধি ওয়ান ডে ও টি-২০ সিরিজ হওয়ার কথা রয়েছে ভারতীয় দলের। যদি সাদা বলের দুই ফর্ম্যাটেই সুযোগ পান সঞ্জু (Sanju Samson), সেক্ষেত্রে কেসিএলের (KCL) গ্রুপ পর্বে খেলতে পারবেন না তিনি। কেবলমাত্র প্লে-অফ পর্বে দেখা যাবে তাঁকে। তবে যদি শুধুমাত্র টি-২০ স্কোয়াডে ডাক পান সেক্ষেত্রে গ্রুপ পর্বের একটি ম্যাচ খেলতে পারবেন বাংলাদেশ যাওয়ার আগে। ফিরে এসে অংশ নেবেন প্লে-অফে।
দ্বিতীয় মরসুমে কেরল ক্রিকেট লীগ-

আইপিএলের সাফল্যের পর বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাগুলিও নিজস্ব ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-২০ লীগ আয়োজন শুরু করেছে। ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে তামিলনাড়ু প্রিমিয়ার লীগ, বেঙ্গল প্রো টি-২০ লীগ বা ইউপি টি-২০’র মত টুর্নামেন্টগুলি। গত বছর থেকে ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ (KCL) আয়োজন করছে কেরল ক্রিকেট সংস্থাও। ২০২৪-এ শচীন বেবি’র নেতৃত্বাধীন কোল্লাম সেলর্স চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো। এবারও মাঠে দেখা যাবে তাদের। সঙ্গে থাকছে আরও পাঁচটি দল-কালিকট গ্লোবস্টার্স, আলেপ্পি রিপ্লস, কোচি ব্লু টাইগার্স, ত্রিশূর টাইটান্স ও ত্রিবান্দ্রম রয়্যালস। গত ২৬ জুন একটি বৈঠকে বসেছিলেন ছয় ফ্র্যাঞ্চাইজির কর্মকর্তারা। আগামী ৫ জুলাই আয়োজিত হতে চলেছে নিলামপর্ব। প্রথম মরসুমে ১৬৮ জন ক্রিকেটার নাম লিখিয়েছিলেন নিলামে। তাদের মধ্যে ১১৪ জনের ভাগ্যে শিকে ছিঁড়েছিলো। গড়ে ৪০ লক্ষ টাকা করে খরচ করেছিলো দলগুলি।
Also Read: রঞ্জি খেলারও যোগ্য নন এই খেলোয়াড়, কিন্তু কোচ গম্ভীর দ্বিতীয় টেস্টেও দেবেন সুযোগ !!