বিসিসিআইয়ের (BCCI) ঘোষণা করা ২১ কোটি টাকার বোনাসে যখন টিম ইন্ডিয়া নবম এশিয়া কাপ ট্রফি জয়ের আনন্দে ভাসছে, ঠিক সেই সময় সীমান্তের ওপার থেকে উঠে এসেছে এক বিব্রতকর স্মৃতি। প্রসঙ্গত, গত রবিবার পাকিস্তান দলকে পরাস্ত করে এশিয়া কাপ শিরোপা (Asia Cup 2025 results) জয় করেছে ভারত। ভারতীয় দল এবারের এশিয়া কাপের মঞ্চে মোট তিনবার পাকিস্তানকে পরাস্ত করেছে। আর পাকিস্তানের এই পারফরম্যান্স- এর পর সমাজ মাধ্যমে আরও একটি খবর বেশ জল্পনা তৈরি করেছে। পাকিস্তানের সাবেক স্পিনার সাঈদ আজমলের (Saeed Ajmal) এক পুরনো ভিডিও বেশ ভাইরাল হয়েছে। ২০০৯ সালের T20 বিশ্বকাপ জয় করেছিল পাকিস্তান দল। সেসময় খেলোয়াড়রা তাদের সরকারের থেকে বোনাস পেয়েছিল। তবে, সেই চেক ভাঙানোর সময় বাউন্স (Cheque bounce) হয়েছিল!
পাক মন্ত্রীকে তুলধোনা আজমলের

২০২৩ সালে ইউটিউবার নাদির আলীর সঙ্গে এক পডকাস্টে আজমল সেই ঘটনার কথা খোলাখুলি আলোচনা করেন এবং তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর চরিত্র সবার সামনে তুলে নিয়ে আসেন। তাঁর দাবি, ২০০৯ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, শিরোপাজয়ী দলের প্রতিটি খেলোয়াড়কে দেওয়া হবে ২৫ লক্ষ পাকিস্তানি রুপি পুরস্কার। সেই অনুযায়ী খেলোয়াড়দের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল চেক। কিন্তু গর্বের সেই মুহূর্ত মুহূর্তেই পরিণত হয় জাতীয় লজ্জায় (Shame on Pakistan)। আজমল মন্তব্য করে বলেন, “বিশ্বকাপ জেতার পর আমাদের চেক দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেটা পরে বাউন্স হয়ে যায়। আমরা অবাক ছিলাম – কিভাবে সরকারি চেক বাউন্স হতে পারে তাই ভেবে। সেই সময়ের পিসিবি চেয়ারম্যান বিষয়টি দেখবেন বলে প্রতিশ্রুতি দেন। তবে এটাও বলেন যে এটা সরকারের প্রতিশ্রুতি, বোর্ডের নয়। শেষমেশ আমরা কেবল আইসিসি থেকে পাওয়া প্রাইজমানিই হাতে পেয়েছিলাম।”
সম্মান পাননি আজমল

এই ভিডিওটি নতুন করে আলোচনায় উঠে আসে। এবারের এশিয়া কাপে (Asia Cup 2025) ট্রফি জেতার পর আজমলের ভিডিওটি বেশ ভাইরাল হয়েছিল। ফলে দুই দেশের ক্রিকেট সংস্কৃতির ফারাক নিয়েও সোশ্যাল মিডিয়ায় (Viral Video on Social Media) শুরু হয় তুমুল তুলনা। ২০২৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ভারত বিসিসিআইয়ের থেকে তিনবার এই বোনাস পেয়েছে। অন্যদিকে পাকিস্তান আজও রাবার চেকের স্মৃতিতে পুড়ছেন। আজমল আরও বলেন, “২০০৯ সালে আমি বিশ্বকাপে মোট ১২ উইকেট নিয়েছিলাম। তারপরেই ওয়ানডেতে এক নমনর বোলার হয়ে উঠেছিলাম। এরপর ২০১২ ও ২০১৩ সালে আইসিসির বর্ষসেরা দলে আমার নাম ছিল। কিন্তু এতকিছুর জন্য কখনও কোনো অর্থ বা সম্মান আমাকে দেওয়া হয়নি। আইসিসি সম্মান দেয় কিন্তু টাকা দেয়না।“