SA vs IND: ভারতীয় ক্রিকেট দলে বর্তমানে টেস্ট ক্রিকেটে এমন কোন উইকেটরক্ষক নেই যে দলের হয়ে ঋষভ পন্থের মতো ভূমিকা পালন করতে পারে। গত বছরের ডিসেম্বরে ঋষভ পন্থের দুর্ঘটনার পর ইশান কিষাণকে টেস্টে চেষ্টা করা হলেও তিনি খুব একটা প্রভাব ফেলতে পারেনি। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট ফরম্যাটে ভারতের হয়ে উইকেটরক্ষকের ভূমিকায় এখন কেএল রাহুলের ওপরই ভরসা রাখলো টিম ম্যানেজমেন্ট। অন্যদিকে, সাইডলাইনে বসেই সময় কাটাতে হচ্ছে কেএস ভরতকে।
কেএল রাহুল সীমিত ওভারের ফর্ম্যাটে তার উইকেটকিপিংয়ে মুগ্ধ করেন এবং ২০২৩ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার কাজের প্রতি সম্পূর্ণ ন্যায়বিচার করতে দেখা গেছে। উইকেটের পিছন থেকে ডিআরএস সিদ্ধান্ত হোক বা বোলারদের সাহায্য করা, তিনি দলকে সবরকম সাহায্য করেছেন। এখন, তার যোগ্যতার কারণে তাকে টেস্টেও এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে উইকেটরক্ষক হিসাবে অভিষেক করলেন এই খেলোয়াড়।
প্রথম দলে সুযোগ নেই কেএস ভরতের
দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে প্রথম টেস্ট ম্যাচ ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয়েছে। প্রথম ম্যাচে ভারতের হয়ে কে এস ভরত নাকি কেএল রাহুল কে উইকেট কিপ করবেন, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন ছিলই। ম্যাচের আগেরদিনই কেএস ভরতকে স্লিপে ফিল্ডিং করতে দেখা যাওয়ায় পুরো ছবিটাই পরিস্কার হয়ে যায়। তাকে এই ম্যাচে বসতে হবে। কেএস ভরত এর আগে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে হোম টেস্ট সিরিজে সুযোগ পেলেও বিশেষ কিছু করতে পারেননি। সেটাকে মাথায় রেখেই এই ম্যাচে কেএল রাহুলকে উইকেটরক্ষকের দায়িত্বটা দেওয়া হয়েছে।
রাহুলকে দায়িত্ব দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে ফেললো ভারত?
কেএল রাহুল ইতিমধ্যেই ওয়ানডে এবং ওয়ানডে বিশ্বকাপে তার কিপিং এবং ডিআরএস দক্ষতায় সবাইকে মুগ্ধ করেছেন। তবে তার ফিটনেস উদ্বেগের বিষয় রয়ে গেছে কারণ তাকে একদিনে ৯০ ওভার পর্যন্ত কিপিং করতে হবে। মনে করা হচ্ছে টিম ইন্ডিয়া তার সাথে জুয়া খেলছে। এই দায়িত্বটা কষ্টকর হবে কেএল রাহুলের পক্ষে কারণ তিনি খারাপ ফর্মের কারণে টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েছিলেন এবং এখন তিনি আবার সুযোগ পেয়েছেন। এখন দেখার বিষয় ওয়ানডের মতো টেস্টেও কিপিংয়ে তিনি মুগ্ধ করতে পারেন কি না।