বর্তমানে টিম ইন্ডিয়া বেশ দুরন্ত ক্রিকেট খেলছে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ইংল্যান্ডের কাছে পরাজিত হলেও জয়ের খিদে কমেনি টিম ইন্ডিয়ার। বর্তমানে রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে টিম ইন্ডিয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে তিন ফরম্যাটে সিরিজ খেলছে। তবে, ভারতীয় প্লেয়ারদের এধরণের পারফরমেন্সের উপর উঠেছে প্রশ্ন, আসলে টিম ইন্ডিয়ার কিছু প্লেয়ারদের উপর সন্ধেও এনেছিল ডোপিং এজেন্সি। তাদের মতে, ভুল ওষুধ বা বেআইনি কোনো ওষুধ খেয়ে খেলতে নামে টিম ইন্ডিয়ার কয়েক প্লেয়ার। ২০২০ সাল নাগাদ পরামর্শ না নিয়ে কাশির সিরাপ খাওয়ার জন্য ডোপ টেস্টে ধরা পড়েছিলেন পৃথ্বী শ (Prithvi Shaw)। ক্রিকেটে ডোপিং করা বেআইনি, ডোপ টেস্টে ব্যার্থ হলে প্লেয়ারকে ব্যান করবে আইসিসি।
Read More: “বিরাটকে দেখে শেখো..”, ওয়েস্ট ইন্ডিজের খেলোয়াড়দের একহাত দিলেন ইয়ান বিশপ, বললেন এই কথা !!
ভারতীয় ক্রিকেটাররাও ডোপ টেস্ট করিয়েছেন
আসলে, ২০১৯ সালের আগস্টে সরকার-চালিত অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সির আওতায় ক্রিকেটকে আনা হয়। সকল ক্রিকেটারকে ন্যাশনাল অ্যান্টি-ডোপিং এজেন্সি বা নাডার দ্বারা পরীক্ষা করা হবে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এর থেকে আলাদা নয়। নাডার দ্বারা প্রদত্ত তথ্য অনুসারে ২০২১ এবং ২০২২ সালে মোট ৫৯৬১টি অ্যান্টি-ডোপিং পরীক্ষা করা হয় আর এর মধ্যে শুধুমাত্র এক চতুর্থাংশেরও কম অর্থাৎ মাত্র ১১৪টি পরীক্ষা করা হয় ক্রিকেটারদের উপর। ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে অধিনায়ক রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) উপর সবচেয়ে বেশি পরীক্ষা করা হয়েছে। ইন্ডিয়ান ক্যাপ্টেনকে ছয়বার করতে হয়েছে পরীক্ষা। এছাড়া ঋষভ পন্থ (Rishabh Pant), সূর্যকুমার যাদব (Suryakumar Yadav) এবং চেতেশ্বর পূজারা (Cheteshwar Pujara) সহ আরও সাতজন ক্রিকেটারকে মাত্র একবার করে পরীক্ষা করা হয়েছে ২০২১-২২ সালে।
১২ জন ভারতীয় প্লেয়ার করেননি কোনো টেস্ট
কিন্তু ১২ জন এমন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁদের এই দু’বছরে এক বারও ডোপ টেস্ট করা হয়নি। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। তিনি ছাড়া হার্দিক পান্ডিয়া (Hardik Pandya), মহম্মদ শামি (Mohammed Shami), মহম্মদ সিরাজ (Mohammed Siraj), উমেশ যাদব (Umesh Yadav), শার্দূল ঠাকুর (Shardul Thakur), আরশদীপ সিংহ (Arshdeep Singh), শ্রেয়স আয়ার (Shreyas Iyer), দীপক হুডা (Deepak Hooda), সঞ্জু স্যামসন (Sanju Samson), শ্রীকর ভরত ও ওয়াশিংটন সুন্দরের এক বারও ডোপ টেস্ট করা হয়নি।