২০০৭ সালের পর দীর্ঘ ১৭ বছর পর গতবছর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বার্বাডোজে দ্বিতীয় বারের জন্য টি-টোয়েন্টি চ্যাম্পিয়ন হয়ে উঠেছিল। রোহিত শর্মার (Rohit Sharma) নেতৃত্বে ভারতীয় দলের এই প্রদর্শন ছিল চমকপ্রদ। দীর্ঘ ১৭ বছরের অপেক্ষা শেষে গত বছর সেই খেতাব ফেরত পেয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে, মেগা ফাইনালে প্রায় হেরে যাওয়া খেলাটি জিততে সক্ষম হয়েছিল ভারত। একসময়ে ভারতের জেতার সম্ভবনা ছিলই না বললেই চলে, সেই পরিস্থিতিতে ভারতীয় দল অসাধারণ কামব্যাক দেখিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেতাব জয়লাভ করে নেয়।
বিশ্বকাপ ফাইনালে জ্বলে উঠেছিলেন কোহলি

মেগা ফাইনালে ভারতীয় দলের হয়ে ৫৯ বলে ৭৬ রান খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই বিরাট ব্যাট হাতে ব্যার্থ ছিলেন। কিন্তু শেষ ম্যাচে তিনি জ্বলে ওঠেন। মেগা ফাইনালে বিরাটের ব্যাটিং ভারতীয় দলকে অক্সিজেন জুগিয়েছিল। সদ্য, স্টার স্পোর্টসকে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে রোহিত শর্মা জানিয়েছেন সেদিন বিরাটের ৭৬ রানের ইনিংসের গুরুত্ব। রোহিত সেই প্রসঙ্গে মন্তব্য করে বলেছেন, “আমাদের এমন একজনকে দরকার ছিল যিনি একদিকটা ধরে গোটা ইনিংসটা খেলতে পারেন। বিরাট সেই কাজটা করেছিলেন বলেই অক্ষর, শিবম দুবে বা হার্দিক পান্ডিয়ারা নিজেদের ভূমিকায় সফল হয়েছিলেন। ফাইনালে বিরাট সত্যি দারুন খেলেছিলেন।” বিশ্বজয়ের নেপথ্যে গোটা দলের মানসিকতা এবং অদম্য লড়াইকে কৃতিত্ব দিচ্ছেন রোহিত।
Read More: কৃতজ্ঞতা জানিয়ে একদিনের ক্রিকেটকে বিদায়, সামনে এলো রোহিত শর্মার চাঞ্চল্যকর পোস্ট !!
বিরাটের প্রশংসায় পঞ্চমুখ রোহিত

যদিও, ম্যাচের গেমচেঞ্জার হিসাবে তাঁর ভোট অক্ষরের দিকেই। ফাইনালে বল হাতে সেভাবে সফলতা পাননি অক্ষর প্যাটেল (Axar Patel)। কিন্তু ব্যাট হাতে তাঁর ইনিংসটি নিয়ে খুব বেশি চর্চা না হলেও সেদিন ভারতের সঞ্জীবনী হিসাবে কাজ করেছিল তাঁর আগ্রাসী ব্যাটিং। ইনিংসের শুরুতেই, দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে গিয়েছিল ভারতের। সেই সময় নেমে ৩১ বলে ৪৭ রানের ইনিংস খেলেছিলেন অক্ষর। রান আউট হওয়ার কারণে অর্ধশতরান করতে পারেননি অক্ষর। রোহিত মনে করছেন, ইনিংসের মাঝপথে এসে যেভাবে অক্ষর প্যাটেল ৩১ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসটা খেলে গিয়েছেন, সেটাই ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। রোহিত সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “অক্ষরের খেলা ফাইনালের ওই ইনিংসটার কথা কেউ বলেন না। কিন্তু ওর ওই ইনিংসটাই গেমচেঞ্জার। ৩ উইকেট হারানোর পর আপনি অনেক কিছু ভাবতে থাকেন, ওই কঠিন পরিস্থিতিতে যেভাবে তিনি ৪৭ রান বানিয়েছিলেন তাও আবার ৩১ বলে, তা সত্যিই প্রশংসনীয়।” অন্যদিকে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জয়ের পরেই রি ফরম্যাট থেকে আলবিদা ঘোষণা করে দিয়েছেন রোহিত ও বিরাট দুজনেই।