২০২৩ আইপিএলের পর থেকে সবথেকে চর্চিত ক্রিকেটার হলেন রিঙ্কু সিং (Rinku Singh)। গত আইপিএলে গুজরাট টাইটান্স এর বিরুদ্ধে শেষ ওভারে প্রয়োজনীয় ২৯ রান তুলতে পাঁচটি ছক্কা হাঁকিয়ে খবরের শিরোনামে উঠে আসেন রিঙ্কু। পাশাপাশি সিজিনে জুড়ে একের পর এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলে গিয়েছেন কলকাতা দলের হয়ে। রিঙ্কু গত সিজিনে, ১৪ টি ম্যাচ মিলে ৪৭৪ রান করেছেন। তার গড় ছিল ৬০ এবং তার স্ট্রাইক রেট ছিল ১৫০।
আরও পড়ুন | পাল্টাবে না চিত্র, ফের ২০২৪ টি-২০ বিশ্বকাপে ট্রফি দিতে ব্যর্থ হবেন রাহুল দ্রাবিড় !!
KKR’এর হয়ে রিংকুই সর্বোচ্চ রান করেছেন। এমনকি, ঘরোয়া লিগেও তার ফর্ম ছিল অসাধারণ। তিনি প্রথম শ্ৰেণীর ক্রিকেটেও একাধিক রান বানিয়েছেন যে কারণেই জাতীয় দলে জলদি সুযোগ পেয়ে গিয়েছেন। তবে, ক্রিকেটে এত উন্নতির পাশাপশি তার ব্যাক্তিগত জীবনেও দেখা গিয়েছে বেশ ঝলমলে ক্যারিয়ার।
আলীগড়ে গ্যাসের কোয়ার্টারে বড় হয়েছেন রিঙ্কু
তবে আলিগড়ের রিংকুকে নাম কামাতে করতে হয়েছে কঠোর পরিশ্রম। একসময়ে তিনি তার বাবার সাথে সিলিন্ডার ক্যারিয়ার হিসেবেও কাজ করতেন এমনকি ঝাড়ুদারের কাজ করা রিঙ্কু আজকে ভারতবাসীর মুখে মুখে। সফল হয়েই নিজের জন্য বাড়ি বানিয়েছেন রিঙ্কু। কিন্তু সমস্ত সুবিধা থাকা সত্ত্বেও আজও তার বাবা-মা খান চাঁদ ও মীনা দেবী গোভিলা গ্যাস এজেন্সির তৈরি কোয়ার্টারে জীবনযাপন করছেন। এখনও রিঙ্কুর বাবা সিলিন্ডারের কাজ করে আসছেন।
পুরানো বাড়িতেই রয়ে গেছেন রিঙ্কুর পরিবার
রিঙ্কুর বাবা ও মা দুজনেই খুব সাধারণ জীবনযাপন করছেন। পিতামাতার এই চিন্তাভাবনা আজকের তরুণ প্রজন্মের জন্য একটি বড় শিক্ষা। তাদের শিক্ষা এটাই প্রমান দেয় যে, মানুষ যত বড়ই হোক না কেন যে অবস্থা থেকে মানুষ সব কিছু অর্জন করেছে সেটিকে ভুলে গেলে চলবে না। রিঙ্কুর মা বাবা প্রথম থেকেই ছোট দুই রুমের কোয়ার্টারে বসবাস করছেন।
সন্তানদের কোয়ার্টারে থাকার শিক্ষা দিয়েছেন রিঙ্কুর বাবা
এই বাড়ি সম্পর্কে মন্তব্য করে রিঙ্কুর বাবা বলেন, “আমি প্রথমে আলিগড়ের এই গ্যাস গুদামে থাকতাম। আমি প্রথম থেকেই আমার সন্তানদের এসব কোয়ার্টারে থাকতে শিখিয়েছি।” রিঙ্কু (Rinku Singh) বড় বাড়ি বানালেও তার বাবার পুরানো বাড়ির প্রতি ভালোবাসা এখনও রয়েছে। এ কারণে তিনি এসব কোয়ার্টারে বসবাস করছেন। রিঙ্কুও একজন নরম স্বভাবের মানুষ, তিনি মহুয়া খেদা স্টেডিয়ামে শিশুদের খেলার জন্য একটি হোস্টেল তৈরি করেছেন।